লেখক-শ্রাবনী সিংহ


সব বাড়িই নতুনত্ব চায়, সে আপন বসতই হোক
অথবা রেন্টাল
জং-ধরা পুরানো কপাট একটু একটু করে ক্ষয়ে আচমকাই একদিন
আলগা হয়ে আসে স্ক্রুসমেত
হাঁ-মুখ খুলে দেখায় তালবেতাল সময়ের সরাসরি সম্প্রচার  


নতুনের চেয়ে
পুরানোর সংস্করণ দরকার খুবই, পয়োজনে জং-ধরা মনেরও
নতুন নির্মাণে বিষবাষ্প ধুয়ে হোক সবরমতি।


সবরমতি মানে যেখানে সমস্ত নিয়ম কানুন অধিনস্ত বা ন্যায়ের সাগর যেথা। যেখানে থাকে না কোনোও কলুষতা, কোনও গ্লানি। পুরাতন কে ভুলে গিয়ে কবি একদিকে যেমন নতুনকে স্বাগত জানিয়েছেন তেমনই তিনি উদার মানবিক হৃদে এমন এক পৃথিবী গড়তে চেয়েছেন যেখানে নব্য চেতনায় নব্য আধুনিক জীবন ভাবনায়, এক সুখের সবরমতি গড়তে আহ্বান জানিয়েছেন এই বৈষম্য ভ্রষ্টাচার আর জাত পাতের বিভিন্নতা তৎসহ বীভৎসতার সর্বনাশা সঙ্কট মোচনে, এক সুস্থ আধুনিক সুষমা মন্ডিত এক পৃথিবী গড়তে।


উপমা সমন্বিত এ লেখাতে তিনি বলেছেন দিনে দিনে কালে কালে নতুন নতুন উদ্ভাবনে সেকেলে ঘরানার পরিবর্তন ঘটে চলে অহরহঃ। প্রয়োজনে তাকে স্বীকার করে নিতে হবেই। তবে তাই বলে প্রযুক্তির উন্নতির কারণে বিষবাষ্পে মন নিয়োজিত করতে নেই বরঞ্চ তাঁর প্রয়োজনীয়তার দিকগুলি গ্রহণ করতে পারতে বা শিখতে হবে নতুবা ওই হাঁ-মুখ খুলে যা তালবেতাল সম্প্রচার দেখা যায় তাতে মনোনিবেশ করে উচ্ছন্নে যেতে হবে সমাজ সকলকে।


লেখাটি শিক্ষামূলক। আজকাল বাবা মায়েরা ইন্টারনেট সংযোগ সহকারে স্ম্রাট সেলফোন তুলে দেয় তাদের শিশুদিগকে। বাচ্চারা বিভিন্ন গেমে মগ্ন থাকে আর মায়েরা একটু রসে বসে থাকতে পারেন, দূরে থাকতে পারেন বাচ্চাদের বিভিন্ন ভাবে মাকে বিরক্ত করা পরিস্থিতি থেকে। এর মারাত্মক পরিণতি কী হতে পারে, কল্পনা করতে পারেন!! এমন হাজারটা উদাহরণ আজ রয়েছে যা লিখতে গেলে হাজার পাতার ইতিহাস রচিত হতে পারে।


তবে, আজকাল প্রযুক্তির শিখরে তা নিংড়ে নিয়ে সুখ ভোগ করতে বাবা মায়েরা পিছপা নন। আর সেই কারণেই পুরো সমাজ সংস্কৃতি আর কৃষ্টিতে তাঁর বিপরীত প্রভাব আজ অনস্বীকার্য। অহরহঃ তাই আজকাল বলি হয় মানবিকতার, সংস্কারের আর কৃষ্টির।


কবি বলছেন না যে, আধুনিক এই সমাজ ব্যবস্থা ছুঁড়ে ফেলে দিতে হবে বরঞ্চ তিনি তা সমাদরে গ্রহণ করতে উৎসাহিত করেছেন সমাজ সকলকে তবে সে সবের যা ক্ষতিকর দিক তা তিনি বিসর্জন দিয়েই তাঁকে গ্রহণ করতে উৎসাহিত করেছেন সকলকে।


লেখাটি নিয়ে পাতার পর পাতা লেখা যেতে পারে তবে আসল কথায় আলোচনা সীমাবদ্ধ রাখলাম।


অতি উত্তম একটি লেখা উপহার দেবার জন্য লেখক কবির জন্য রইল আমার আন্তরিক অভিনন্দন।