রবি ঠাকুরের পর আজ (৯/০৩ রাত) ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে রচিত হলো "আকাশে চেয়ে দেখি"


"আকাশে চেয়ে দেখি"


বসন্তের সবুজ পাতার সমারোহ
প্রাণের উন্মেষ,
চেয়ে প্রাণ নিখিলো ভুবন
অনিমেষ।


প্রাণেরো মেলায় ডুবিনু হৃদয় অনিকেত,
কত দুখ কত ব্যথা সাগরো হেরিনু
হৃদয় বন্ধন।
সে তারে গাঁথিনু মালা শত কত অবহেলা,
সুষমো গাহিতে প্রাণেরো নীড়েতে
সাঁজ ও প্রভাতে নিত্য সে
ক্রন্দন।


গাহিতে ফিরিনু অরুণো গীতি
শত আশা লগনো প্রীতি-
বন্ধন প্রাণ।
বক্ষে ধরিনু ব্যথারো সে তান
ভালোবাসা ভালোবাসা
মেলিতে বন্ধন,
গাহিতে বিহগো মধুরো কলতান
আঁধারো ঘুচিতে আলোকো প্রীতিতে
জীবনের জয়োগান।


ফেনিলো গরলো বিষাক্ত বাস
ডুবিতে ত্বরিতে মানবতা নাশ,
কন্ঠ রহিতো নির্মম শ্বাস
আকাশ চেয়ে
দেখি।


বাতাসে ঘনিতো বিষ সে বাণী
দশ দিশা দশ কোণে শুনি,
হাসিতেছে উচ্চগ্রামে
নয়নে ঝরিতে লহু সে প্রাণে,
শাণিতো সে বান হৃদর হরিতে
অশনিত বায়ু বিষ বিদ্যুতে,
যেন ধরা নাই প্রাণ-দিকে ভিতে অঙ্গান
অশান্ত ধরা।


রুধিত প্রশ্বাস মম হৃদ কুচলিত
আকাশেতে রই চেয়ে-
আনন্দ হাসি গান চেয়েছিনু ধরা
আলোকো সে ফল্গুধারা
বহিতে অন্তর।


নাই নাই নাই দিশা নাই
ঈশানো কোনেতে দেখিতে লহুর
কান্না জড়ানো হৃদ,
আজিকে ফাগুন লোহিতে লোহিতে
ধ্বংসের ধরা গীত।


আকাশে চেয়ে দেখি সে রক্ত বাদল
মিটিমিটি তারা
জ্বলে নাই,
ভালোবাসা ধূপ ছায়া-
ধ্বংস সোপানে গড়িতে সে সেতু
অন্ধ প্রাণেতে-ভালোবাসা গীত
গাই।


প্রিয় কবি খলিলুর রহমান মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


গুপ্ত খাতা


কেউ জানেনা কেউ জানেনা গুপ্ত যে তার খাতা,
একূল ওকূল ভাসায় কভু-
কভু উল্টায় না
পাতা।
দিন দুনিয়ায় ভাসতে অনেক দুঃখ সুখের রব,
আকাশ কভু ধরতে পাখি-
কভু কান্না
কলরব।
ভাসতে আছি লগন ধরি সমুন্দরের দেশে,
হাসতে আছি কাদতে আছি
স্বপ্ন রঙ্গিন
ভেষে।
লহর তুলি কান্না ভুলি আকাশ অনেক উড়ি,
দরবেশেতে দড় কষেতে-
গড়তে আকাশ
বাড়ি।
জীবন তুলি রং মাখানো সায়াহ্নেতে জরার দেশ,
প্রাণটি ভুলি কান্না তুলি-
ধরতে জীবন
অবশেষ।
আকুল করা রব সে তুলি প্রভুর পানে চাই,
জীবন ঠাকুর পার করে দাও-
আর না কিছু
চাই।
চাইতে ঠাকুর হৃদয় প্রাণে কোন দিশাতে তোমার দল,
পাইনা খুজে কূল কিনারা
রয় না মনোবল।
কেউ কি জানে তার ঠিকানা গুপ্ত যে তার খাতা,
একূল ওকূল ভাসায় কভু-
কভু উল্টায় না
পাতা।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "কপাল-(ব্যঙ্গ)" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


বাপু রে বাপু


বাপু রে বাপু-কেমন গুতা দিতেই রব
আকাশ ঝরে কান্না অনেক,
অশ্রু ঝরে দশ দিশাতে
বাতাস করে
কলরব।
বাপু রে বাপু-তোর গোয়ালে লাগতে ফাগুন
দশ হাতেতে চিটিং মারিস,
পরের ঘরে লাগতে আগুন
পাপের ধনে আকাশ
ধরিস।
বাপু রে বাপু তোর গোলাতে সোনার রবি
ভরতে গোলা তুলতে ফসল,
তোরাই হলি সাহেব বিবি
কাজটি মোরা করি
আসল।
আজ আকাশ নামতে ঢল অভিশাপের বন্যা,
নামতে ঢল তুঙ্গ রবে-
দিতেই তোদের
কান্না।  
আজ পাল্লা ভারি পাপের ঝুকিয়ে দিতেই বল,
আজ দেবতার চোখ খুলেছে
নইকো হীনোবল।
আজ ইমারত ভাঙ্গতে পাপের আগুন দিতেই ঘর,
আজ কাঙ্গালি বর পেয়েছে,
উড়িয়ে দিতে গুড়িয়ে ধূলো-
করতে ছারখার।


প্রিয় কবি মনোজ ভৌমিক(দুর্নিবার কবি)মহাশয়ের আজ প্রকাশিত কবিতা কথা বলতে জানে না কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


কবিতা


সৃষ্টি স্থিতি লয় সবই কবিতায় সমাহিত
যুগে যুগে কালে কালে
কবিতা গর্বিত।


মাথা উঁচু করে জেগে রয় কুমারী কাঞ্চনজঞ্জা
শোভিত অঙ্গে ঢেউ তুলে দিয়ে যায়
দিয়ে যায়-উছলিত
আলোক্গঙ্গা।


উর্বর ধানক্ষেতে সোনালী ফসলেতে
তরঙ্গে হিলে দুলে-হিলে দুলে
জেগে রয় কবিতাতে।


বায়ু বহে মন্দ কি আনন্দ কি আনন্দ
সানন্দে রব তুলে-রঙ্গ কি
ভঙ্গ।


আহা! আহা! কি রব কি ধ্বনি তোলে
প্রেম ব্যথা বিরহেতে-আহা
কাল ধরা তাল তোলে
কবিতাতে কবিতাতে।