চোর জামাই


দত্তবাড়ির আস্ত জামাই-দিনদুপুরে হলো গুম-
এদিক ওদিক ছোটাছুটি-দত্তবাড়ির ছোটে ঘুম।
সেই সকালে কাক ভোরেতে-
একটুখানি ঘাম ঝরাতে বেড়িয়েছিল বর-
দুপুর দুটো পেড়িয়ে গেলেও-
ফিরলো না সে ঘর।
ফিসফিসানি ঘুসঘুসানি পাড়ায় হলো শুরু-
বরের চালের চিন্তা সবার-
কুঁচকে খানিক ভুরু।
এই তো সেদিন বিয়ে হলো-গুনলে দশ দিন-
বলল সবাই-জামাই বাড়ি-
একটু খবর নিন।
শশুরমশাই তড়িঘড়ি-গেলেন ছুটে খরিবাড়ি-
দেখিয়েছিল বাড়ি যেটি-
আস্ত দালান পরিপাটি।
ভাড়ার ছিল নাকি সেটি-বিয়ের পরেই বোচকা বেঁধে-
খাটখামারি বোঁচকা আর বস্তা বেঁধে-
কেউ জানেনা-কোথা গেছে উবে।
বাবা মা আত্মীয় যারা পাকা কথা দিল-
নাই কেউ নাই সেই গাঁয়ে-
উপর নিচে ডানে বায়ে।
বাড়ি ফিরে সোজা খুলে-আলমারি আর ভল্ট-
পাট পাট হয়ে গেল-খোলা নাট বোল্ট।
সোনা যা দিয়েছিল-আরও বহু টাকা ছিল-
ছিল নানা অলঙ্কার-
বুকে কিছু বিঁধে তার-হাত পা হল হিম-
শ্বাসরোধ হলো তার।


জামাই চুরি


দত্তবাড়ির হবু জামাই-সহজ সরল বোকা-
দিন কয়েকেই মন কেড়েছে-
সবাই ডাকে খোকা।
দেখতে ভারি সোনা সোনা-ফর্সা গোলগাল-
ভীষণ ভারি লাজুক স্বভাব-
শান্ত বোল তাল।
খায়না কিছুই বিড়ি সিগার-হট ফেবারিট দারুন ফিগার-
ব্যাবসা দারুন-মনটি দেদার।
গর্বে ভরা দত্তবাড়ি-জামাই নিয়ে গর্ব ভারি।
অল্পদিনেই হবে বিয়ে-বাজি এবং পটকা দিয়ে-
ধুমধামেতে টেক্কা দিয়ে-
সবার চোখে তাক লাগিয়ে।
হটাৎ থানার ফোন এল-দত্তবাড়ির ঘুম গেল-
থানায় গেলে দেখতে পেল-
রূপসী এক কন্যা-
জামাই বাড়ির প্রবেশ দ্বারে দিয়ে নাকি ধর্ণা-
সাত দিনেতে খায়নি কিছুই-
শুধুই চোখের জলের বন্যা।
দত্তবাড়ির হবু জামাই-তাকে ভালোবেসে নাকি-
দত্তবাড়ির মেয়েকে নেবে-
দিয়ে তাকে দারুন ফাঁকি।
পুলিশ শালিস নিয়ে এবার-গল্প হল শুরু-
সেই সভাতে বলল সবাই-
দত্ত নাটের গুরু।
দত্তবাড়ির হবু জামাই-হয়ে গেল চুরি-
দত্তবাড়ির বুক ফেঁটে যায়-
বৃথাই দৌড়াদৌড়ি।