একমাত্র ভগবানই জানেন আজ কিভাবে দুইটি কলি ফুঁটলো। প্রণাম ঈশ্বর।


রবি ঠাকুরের পর ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে আজ এইমাত্র পুনঃ রচিত হলো "আকূল আহ্বান"
"আকূল আহ্বান"


আয় মামনি সোনামণি-কই  গেলি তুই  চলে,
পিতৃ হৃদয় কাঁদছে পরাণ কই গেলি -
ফাঁক গলে,
আয় রে মণি সোনামণি-কোন গলি সে গেলি ভুলে,
কেহ  নাই কেহ নাই মোর আপনার জনা
কেহ নাই-কেহ নাই-
সুকঠিন ধরনীর
তলে।


আয় মামনি আয় রে কাছে-কোথা তুই গেলি চলে,
তব বিহনে দিবানিশি মম-বেদনার
অশ্রু তলে।


সেদিন ঘন রাত সে ধরা-জ্যোছনাত আলোকিত ছিল ফুঁটে,
ছিল নাতো ঘন ঘোর কালো
অশনিত বিদ্যুতে।
সাদরে পরমো নিয়েছিনু কোলে অধর চুমিতে তোর,
কেন কেন কেন-কালো হলো ধরা
আজিকে শূন্য এ
বাহুডোর।


আলোকিত ছিল ধরা-জ্যোছনাত মাধুরিত বেশে,
শতেকো রজনী এ বাহুতে রেখেছিনু তোরে,
উল্লাসে উল্লাসে।
আধো আধো বোল যবে এসেছিল তোর মুখে,
ভাসিনু গগনে সেদিনো ফাগুনে
হরষেতে হরষেতে।
প্রাণস্রোতে ভাসিনু সে আনন্দ গান সনে,
বা! বা! বা!-বা! বা! বা!
কথাকলি তোর শুনে।
আজিকে ভাসিনু হৃদয় বহিতে দুচোখেতে ধারা সনে,
অশনিত ঘন ঘোর-বেদনার
গীতি গানে।


আয় রে মামনি আয় কোলে তুলি-কেন তুই গেলি ভুলে,
কেহ নাই কেহ নাই মোর একান্ত আপন
কেহ নাই কেহ নাই-এই
ধরনীর তলে।
স্বয়ণে স্বপনে দিবা কিবা রাতে চমকিত শিহরণ,
চকিত চাহুনি যেন তোরি ডাক শুনি
একান্ত আপন।
কান্নায় ভেঙ্গে পরি অঝোরেতে দ্বীপ গড়ি,
নির্ঝরে ঝরে যায়-সাগরের
গড়াগড়ি।
দিকে দিকে রব শুনি বা! বা! বা!-বা! বা! বা!
মাথা ঠুকি দেওয়ালেতে-রব
যেন থামে না।


আয় রে মণি সোনামণি-কোথা তুই গেলি চলে,
পিতৃ হৃদয় কাঁদিছে পরাণ কই গেলি
ফাঁক গলে,


কে তোরে বাঁধিছে কে তোরে রুধিছে রব তুলে খুকি বল,
আজিকে হানিতে ঈশ্বর শুনে রাখো ছারখার করিতে
আসিতেছে পিতা তার-স্বর্গ মর্ত
পাতাল।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "দোষ নাই" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


রাজা


কিসের নিয়ম নিষ্টা কিসের আহা বালাই ষাট,
আইন কানুন পায়ের তলায়-ফেলায় দিতে ঝাট।
দম্ভভরে দাপাই রাজা আকাশ ধরি চাঁদ,
নিয়ম কানুন জীবন খাতে সোনার মধ্যে খাদ।


খাদ দেখিনা ফেলায় দিছি হেলায় মারি চল চুটকি,
দাবরে বেড়াই আকাশ উড়ি দুই চাকাতে ভুটভুট্টি।
গলায় ঢালি হেচকা মোটা একশো গ্রামের হারখানি,
কবিগুলান কাজ নাই কি-লিখতে চলে কাব্য বাণী।


চম্পাকলি উড়ায় চলি বাঁজের মতন মারতে ছোঁ,
হ করলে মারতে বাড়ি-আঁধার চোখে দেখতে গো।
শনশনানি বনবনানি-দুল দুলানি রূপের রানী,
খাবলা মেরে তুলতে চলি-কলেজ থেকে বাস ফেরানি।


পুলিশ টুলিস টুলটুলানি-পকেট গেছেই অনেক আগে,
খুন করবো লুট করবো-জগাই মাধাই মরবে ভুগে।
এই দেশেতে আমরা রাজা-হরিবোলের লুটটা লুটি,
অনেক কথা দিলেন কয়ে-পথটা ধরুন গুটিগুটি।


সময় ছিল না বলে প্রথম লাইনটা লিখে ছেড়ে দিয়েছিলাম প্রিয় কবি এম, এস, বাশার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "অঘোষিত কারাগার" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে। এইমাত্র লেখাটি স্বতন্ত্র ভাবে সম্পূর্ণ করলাম।


অজ্ঞান


আজ মানুষের বিবেক অধোগতি প্রাপ্ত-
শুস্ক মরুভূমি,
ঘন কালো ধরা হৃদ-দ্বারেতে ঘরেতে
বারিকো নাহি পাণ-অনন্ত
দুঃখের ধ্বনি শুনি।


কেঁপে কেঁপে উঠিতে বক্ষ-
পরাণেতে নাই সুর,
বারে বারে হানা দিতে-
দ্বারে ঘরে
নরাসুর।


স্তম্ভিত প্রাণ ধর্ষিত হৃদ-
পথে ঘাটে কাঁদে মাতা,
এই কি তোমার সৃষ্টি শ্রে্ষ্ট-এই কি!
এই কি!-শুধাই তোমারে
হে বিধাতা।


তোমারি দ্বারেতে বিকার হেলাতে
দুর্জনে গাহে গীত,
শুনিতে কি পেয়েছো প্রভু-কর্ণ কূহরো,
ভুলিছো কি হিতাহিত।


ধ্বনিত আকাশে বাতাসে ভাসে
তোমাতে ধরিতে প্রাণ,
আজি কি তুমি ভরা কলকিতে
হলে প্রভু অজ্ঞান।


প্রিয় কবি মৌলিক মজুমদার মহাশয়ার প্রকাশিত "মধ্যরাতের পিং ১৩" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে সেদিন লেখা কবিতা।
(ফাউ কবিতা)


প্রজাপতি


এখনকার দিনে সবাই
পকেটে প্রজাপতি রেখেই ঘোরে।
কামনার তেজ সে সব
প্রজাপ্রতির ডানায়-
আগুনের দিকে উড়ে চলে।
ট্রামে বাসে লেখা হয় ইতিহাস আর-
কবিতা কেঁদে ফেরে।