আজ ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে রচিত হল রবি ঠাকুরের "অঙ্গের বাঁধনে বাঁধাপড়া আমার প্রাণ" কবিতাটি


"অঙ্গের বাঁধনে বাঁধাপড়া আমার প্রাণ"


আকাশ আমি ভাসতে আছি দূর গগনে লহর দিশা,
প্রেম সে আঁকুল ভাসিয়ে দুকূল
গহীন লোকের
তমানিশা।
বইতে তরী জীবন সাগর চপার বাড়ি যন্ত্রণা,
কান্না অনেক বুকের ধরা
হাজার শতেক
মন্ত্রণা।
প্রেম পুষ্প খিলতে কলি-প্রিয়ার আঁচল শক্ত ধরি,
উড়তে গগন মিলতে ডানা
আকাশ দিলেম
গড়াগড়ি।
অঙ্গে অঙ্গে রূপের র্চ্ছটা-যেমন লহর সাগর তোলে,
মৌতাতে ওই অলির ভেষে
জীবন দারুন গেলাম
ভুলে।
বৈতরণীর সেই খেয়াতে-গনগনে আঁচ ভুলতে নারি,
দুলতে তরী দারুন ঝড়ে
সেই ব্যথা কি সইতে
পারি।
আকাশ আগুন উঠলো শিখা দাবানলের ধ্বংস নীতি,
আঁচ গনগন আকাশ ছুঁলো,
উঠলো প্রেমের প্রলয়
গীতি।
কাঁপলো ধরা-থর থর থর-মর্মর তান উঠলো জেগে,
ভৈরব কাল রূপ সে ধরা,
অশ্বারহীর প্রবল
বেগে।
মৃত্যু হৃদয় সেই পলেতে রহিত হলো গান,
আর কিছু নেই আর কিছু নেই-
অঙ্গের বাঁধনে বাঁধাপড়া
আমার প্রাণ।


প্রিয় কবি অনীক মজুমদার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "rag bhangate
"( টাইপ সমস্যা) কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


বিবাহ বার্ষিকী


বার্ষিকীতে পান কেন পানশালাতে ঢুকুন না,
পোস্ত  পোলাও বিরিয়ানি অর্ডার
দিয়ে দিন না।
দুচার পেগ উড়িয়ে দিতে আসতে বেশ মস্তি ভালো,
ক্যান বিয়ারের ঢাকনা খুলে
রং খুশিতে জমতে
আলো।
জাকজমানি বিবাহতে পতপতানি উড়তে দিশা,
বইতে লগন আকাশ ফাগুন
কেমন দারুন প্রেমের
নেশা।
গনগনিয়ে উড়তে চলুন পাহার কিংবা নদীর ধারে,
বনবনিয়ে দাবরে গাড়ি শনশনিয়ে
আকাশ পারে।
দিগন্তে ওই নীল আকাশে মেলতে দারুন পাখনা ডানা,
আজ আদুরে বার্ষিকীতে না প্রিয়া না-
মানা দারুন করবে
না।
আজ দিনটি আকাশ ধরা ফল্গু নদীর ওই কিনারে,
দিনের শেষে শ্যম্পেনেতে
দারুন ধরে রাত
ডিনারে।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "মরুভূমি" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা গীতি কবিতা।


প্রাণের সীমানা


অরুনো প্রভাতে তরুণো দল কদম কদম এগিয়ে চল,
এই ধরনীর বন্ধ্যা অচল,
শীর্ণ মায়ের দীর্ণ প্রাণে-আনতে শান বাঁধতে
আঁচল।


গড়তে শহর নগর বসত ধরতে গগন চুম্বি আকাশ,
জনলোকের বিষ্ফোরণে কাঁদছে মাতা
হারিয়ে বাতাস।


অরুনো প্রভাতে তরুণো দল কদম কদম এগিয়ে চল,
রুক্ষতারই অবসানে বৃক্ষ ছায়ে
ভরিয়ে ভুতল।


গড়তে শ্যামল রুক্ষ ভূমি স্নিগ্ধ কায়া মা জননী,
প্রাণবায়ুতে ভরিয়ে আকাশ
স্নিগ্ধ শ্যামল সুনীল
বাতাস,


গাইতে পাখি সুখের নীড়ে-দে কিছু গাছ দে লাগিয়ে,
গরল বাতাস আজ যে বহে
প্রাণের সীমানায়।


অরুনো প্রভাতে তরুণো দল কদম কদম এগিয়ে চল,
এই ধরনীর বন্ধ্যা অচল,
শীর্ণ মায়ের দীর্ণ প্রাণে-আনতে শান বাঁধতে
আঁচল।


প্রিয় কবি জয় ভাদুড়ী মহাশয়ের সেদিন প্রকাশিত কবিতা "আমার লক্ষ্মী" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা। (ফাউ কবিতা)


জয় মা লক্ষী


জয় মা লক্ষী।
কাছে থেকো কোলে রেখো
কভূ যাইয়ো না
ছাড়িয়া,
মাগো দয়া ধরো মাফ করো-
দিও নাকো
দরিয়া।
ভাসি নাই জানি নাই
সাঁতার তো ওগো
মাগো,
দরিয়ায় ভেসে গেলে-
ওগো মাগো মরে
যাব।
কান্নায় ডুবে যাই
চিন্তনে তুমি
নাই,
যেন প্রাণে হিল্লোল
দোলাদুলি কিছু
নাই।
মাগো তুমি কাছে থেক কোলে রেখো-
ধন বাঢ়
ধান্যে-
জোড় করে মাথা ঠুকি-
ঠেলে ফেলে দিও
নাকো-অরন্যে।