(সময়াভাবে আজ চেক করতে পারি নাই। কিছু ভুল থাকলে কাল ঠিক করে দেব। আজ যেটুকু সময় পেয়েছি কয়েকটা লেখা আর অন্য কবিগণের কবিতা পাঠ করতে সে সময় চলে গিয়েছে। সবার পাতায় আজ যেতে পারি নাই। সেজন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত)


রবি ঠাকুরের পর ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে আজ এইমাত্র পুনঃ রচিত হলো "আকাশের চাঁদ"


"আকাশের চাঁদ"


আকাশের চাঁদ স্নিগ্ধ মধুর দোলা দেয় প্রাণ,
হাতের তালুতে লইতে তাহারে
মন করে আনচান।


জীবনের দেশে জীবন চরিতে
আকাশের চাঁদ চাই হাতে,
তাহারি লাগিয়া জীবন ফিরিনু
প্রাণ কাঁদে অবসাদে।


তুফান বারিতে দারুনো ছুটিতে
হলাহল ধরি বিষ,
আকাশের চাঁদ হাতের তালুতে
আনিতে অহঃর্নিশ।
পদতলে কুচলিত শত পার্থিব সমাহার
বারিকো নাহিকো সুবাস তাহারি,
গলে নিতে মণি হার।
আকাশের চাঁদ করতলে মাগিনু সে সুখেরো দিশা,
দিকে ফিরে ক্রন্দনে হেরিনু সে
তমানিশা।


যৌবনে মৌবনে মধুভরা মৌতাত হেরিনু চন্দ্রমুখি,
দিবানিশি আরাধনা বিনিদ্র যৌবন
উড়ে গেল করে দুখি।
মৃগাঙ্কে প্রাণ ছুটিনু সে পথ দুর্বার দুর্জয়,
শশীপানে ধাবিত পরা্ণ
মানিনু সে পরাজয়।
গ্লানিতে বেদনাতে জীবন বাঁধিনু তাসের ঘর,
অনলে পুড়িনু কত জ্বালা শত সয়ে
অবশেষে পরাজয়।


তারুণ্যে ধরিতে শশী বিষয় আসয়ে দিনু রব,
হিল্লোলে কল্লোলে শত ধায়-
শত কলরব।
আকাশের চাঁদ ধরিতে ফিরিনু স্বপ্নের নাহি অবসান,
মৃগাঙ্ক জ্যোছনাত ছুটিয়া ফিরিনু
গাহিতে তাহারি গান।


দিন ঢলে রবি যায় পশ্চিমে পড়ন্ত,
বায়ু জল হাওয়া মাটি
দূর হতে বসন্ত।
জরা গ্রাস নিল প্রাণ তারুণ্য দিল ছুটি,
শশীটাই পাই নাই-মন প্রাণ
গেল টুটি।


আকাশটা নেমে এম পাদুকার কিনারেতে,
চোখ মেলি হৃদয়টা-যেন পেল
প্রাণ তাতে।
হেরিনু সে প্রভা চাঁদ আপনারি জন মাঝে,
কাঁদি মন ভ্রমে ছিনু-আকাশের
চাঁদ খোজে।


প্রিয় কবি laxman bhandari মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "জাগো ভারতের নারী" যুগান্তকারী কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


আহ্বান


নারীসম্ভ্রম ভূলুন্ঠিত আজিকে জাগিতে রব তোল দিকে,
রাবণেতে ভরিয়াছে দেশ পলে পলে বাণ বিঁধে বুকে।
মাতার জাতি ঘন ক্রন্দনে আজিকে দিশেহারা পল,
ওঠো জাগো অরুণ তরুণ গড়িতে সৈন্যদল।


দীন মোরা ধনেতে-কভু বলেতে নাহিকো হীন,
দুর্বার রণসাঁজ ধরিতে আজিকে আসিছে সে দিন।
কান্ডারি সাথী হৃদয় ভরিতে বক্ষে তুলিতে তুফান ঝড়,
হল্লার বোলে মল্লার তালে ছুটে এসো ঘর হতে ঘর।


বাজিছে মাদল বাতায়ন খোল থেক নাকো দূরে,
আজিকে যুঝিতে রক্ষ রিপুতে ফেলিতে দূরেতে  ছুড়ে।
ভাতৃ হৃদয় লেপিতে প্রলেপ রক্ষ বধিতে আজি
হুঙ্কার দিতে ঢঙ্কারে মেতে-শিঙ্গা ফুঁকিতে কাজি।


শঙ্খধ্বনিতে আশীষ মাগিতে-মাতৃকমল চলো ছুতে চলি,
হিন্দু মুসলিম জাতপাত ভুলে-চলো আজিকে রণ খেলা খেলি।
রণচন্ডির রূপে ভৈরবে মেতে আজিকে রক্ত সোপান তলে,
হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ জৈন-এস আজি দলে দলে।


রক্ত তুলিলে লিখিব আজিকে দানবের ইতিকথা
ভাতৃসম্ভম ফিরাতে আজিকে মুছিতে মাতার ব্যথা।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "যম নিশ্চিন্ত-(ব্যঙ্গ)" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা ব্যঙ্গ কবিতা।


ওম শান্তি


হায় হায় হায় হায়! ধরা গেল রসাতল,
রাজকাজে দিশা নাই-মশা বলে
কত জল।


হাতি ঘোড়া লস্কর শান সেনা ভাস্কর,
দিকে ভিতে রব কেন!
বলে সবে তস্কর।


মা বোন ঈজ্জৎ বাতি দিতে হাল নাই,
বাপান্ত রাজকাজ-তিল ধরা
পল নাই।


দশ দিশা বাতি দিতে হাওয়াতেই উড়ে থাকি,
দেশ হতে দেশ যেতে-শত বোল
হাসি মাতি।


শান্তির আখরাতে বুলি দিতে রোল তুলি,
এত বড় দেশ তাই মাঝে মাঝে-
চোখ ভুলি।


দেখি নাই দেখি নাই-কান পেতে শোনা নাই,
ঘর দেশ সংসারে-মাঝে মাঝে
হবে ভাই।


তাই কেন হল্লাতে-দেশ জুরে প্রজা মাতে,
ঘর দোর বার নাই-স্থান কত
ফুটপাতে।


চাল ডাল ভাত নাই-রোল কেন কান্না,
কচু আছে ঘেচু কত-দিকে ভিতে
বন্যা।


কাজ নাই খই ভাজো-কচু ঘেচু খেয়ে নেয়ে,
ফুটপাতে শুয়ে যাও-সুখ সারি
কাঁথা গায়ে।


শান্তিতে দেশ ভাসে-রোল কভু তুলো নাকো,
খেয়ে নেয়ে শান্তিতে-কাঁথা গায়ে
শুয়ে থাকো।


প্রিয় কবি মোনায়েম সাহিত্য মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "কথা অমৃত - ১২৫" এর উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


গোলাপ


দিশাহীন জীবনে শুধুই রোদন আর রোদন,
বেদনাক্লিষ্ট মন আপনারে ভুলে
নসীবকে দুষে যায় শুধুই।


শুধাই তোরে কি তোর মান কি দিলি আপনারে,
জীবন চরিত লিখিতে গোলাপ
কর্ষণ দিলি কি জীবনেরে।


যে নদী হারালো স্রোত শৈবালধাম বাঁধে তারে,
কি হবে জীবনে আকূল রোদনে
দোষ দিতে দেবতারে।