রবি ঠাকুরের পর ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে আজ এইমাত্র পুনঃ রচিত হলো "আকাশপ্রদীপ"


"আকাশপ্রদীপ"
(গীতিকাব্য, গান গাইতে গাইতে লেখা)


আজ নয়নে নয়ন গেল ভেসে
পূবাকাশের আলোক যেথায় হাসে,
ছড়িয়ে কিরণ মধুর বরণ-
দ্যুতির ঝলক-প্রাণের সীমানাতে।
আজ নয়নে নয়ন গেল ভেসে।


হৃদয় প্রবন বায়ুর অবকাশ-
মুক্তো ঝরা বইতে মনোকাশ,
উড়িয়ে ধূলো ঝরিয়ে পাতা,
গোপন হৃদের অনেক ব্যথা,
গুপ্ত প্রেমের-গোপন অভিসার।


আজ নয়নে নয়ন গেল ভেসে
দূর আকাশে জ্যোছনা দিল হেসে।
আকাশপ্রদীপ জ্বালিয়ে দিলেম হৃদে,
খুশির জোয়ার পাখনা মেলি;
দূর বহুদূর দিলেম ছুড়ে-
দুঃখ দরদ কাঁদে।


ময়ূরপঙ্খী ডানায় গেলাম উড়ে
বক্ষ আমার প্রেমের সাগর জুরে,
আলিঙ্গনে তোমায় চুমে-
ভাসতে আকাশ ভূমে


আজ নয়নে নয়ন গেল ভেসে
পূবাকাশের আলোক যেথায় হাসে
ছড়িয়ে কিরণ মধুর বরণ,
দ্যুতির ঝলক-প্রাণের সীমানাতে।
আজ নয়নে নয়ন গেল ভেসে।


আজ আকাশে আকাশপ্রদীপ জ্বালো,
প্রেমের জোয়ায়-ভাসতে ভুবন ভোলো,
দূর গগনে এই লগনে-আজকে আমার দিশা;
দূর হলো দূর তোমায় পেয়ে-
গহীন তমানিশা।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "সময়" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


পুষ্টি


আজিকে বাজিতে অমর সঙ্গীত দেহ কলা পুষ্টি,
ধরিতে দেহীতে প্রাণেতে বহিতে
চির অমলিন কৃষ্টি।


মম দৃষ্টিতে লভিতে শোভিতে বন্দনা গীতি কাল,
কালেরো গহ্বরে অন্তরো উন্মিলনে
প্রস্ফুটিত মহাকাল।


কাল স্থিতি লয় মিলে যায় যথা অন্তর চিত্ত মম,
আহা! আহা! সে পরমো মিলনো মেলায়-
অলকোনন্দা বারি ধারা সম।


জীবনো গাহিনু কতনা সহিনু শোক তাপ বারিধারা,
কতনা রোদন করিলাম পান-
গরলো সে বিষয়ো ধারা।


অজ্ঞান মন কাঁদিয়া ফিরিতে যথা তপ্ত অন্তরো গীতি,
ভাসিলাম মন গরলো বাতাসে-
সকরুণো পরিনতি।


ভাবি নাই কাল ঘন ভৈরব দিশা শ্বাশত চিরন্তন,
ভাবি নাই ভাবি নাই মিলিতে তথায়-
বৃথা করি ক্রন্দন।


আজিকে বাজিতে অমর সঙ্গীত দেহ কলা পুষ্টি
ধরিতে দেহীতে প্রাণেতে বহিতে
চির অমলিন কৃষ্টি।


প্রিয় কবি সঞ্চয়িতা রায় মহাশয়ার গতকাল প্রকাশিত "প্রত্যয়" কবিতার উত্তরে গতকাল কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


আচারি ধর্ম


আত্মবিশ্বাস আর দৃঢ় কঠিন সংকল্প
জীবন পথের দিশা,
যে জন করিতে আচারি ধর্ম-
দূর হয় অমানিশা।


হৃদয় দিয়েছেন ঈশ্বর স্বয়ং
রচিতে কতকথা,
শক্ত সবল দিয়েছেন কায়া-
গাহিতে জীবন গাথা।


ধরিতে আকাশ বহিতে ফাগুন
বুদ্ধি বিবেক বলে,
যাপিত যামিনী শতেক কামিনী-
কামনায় রাশ টেনে।


স্বপ্নীন দরিয়াতে ঘূর্ণিত পাঁক বহে
কান্না অনেক ধরা,
প্রজাপতি রং বাসিতে ভাল-ইন্দ্রধনুস
আকাশেতে মনোহরা।


জীবনো সাধনে কঠিনো পণেতে
রোদনেতে নাই দিশা,
যে জন করিতে আচারি ধর্ম-
দূর হয় তমানিশা।


প্রিয় কবি পিনাকী অধিকারী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "ঘৃণ্য" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
(ফাউ কবিতা)
শিক্ষা বেদি


ইস! বুলবুল তুই বলিস কি!
হাতের কাছে পেতাম যদি;
আহা! তুই আর আমি
ছাল ছাড়াতাম,
বানিয়ে দিতেম-
শিক্ষা বেদি।


সেই বেদিতে শতেক কুকুর
পা উঁচিতে দিতেই জল,
জল দিতে ওই
দিন রাতেতে-
তুই বাজাবি শামুক খোল,
আমি বাজাই ঢোল-
করতাল।