(আর মাত্র দুইটি দুইটি কলি বাকি আছে তাই আজ যা লিখেছি সব প্রকাশ দিলাম। যার যেটুকু ইচ্ছে পাঠ করবেন।)


৭/২৩ মিঃ রাত পুনঃ নির্মান হলো ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে রবিঠাকুরের "আজু সখি মুহু মুহু" কবিতাটি


"আজু সখি মুহু মুহু"


আজু সখি, মুহু মুহু
      হরা হৃদ প্রাণ তুহু,
গাহিবারে মন কুহু
            গুঞ্জনে প্রাণে বয়।


মৃগাঙ্ক আঁখিছায়ে
      অনন্ত জ্যোছনায়ে,
পরন্ত নিশিকালে
       অবডালে তরুছায়।
আজি মন মুহু মুহু
       গাহে পাখি গুহু গুহু
    অন্তর মম তায়।


জাগে প্রাণ নিশাচর
          কম্পিত অন্তর
কামনাতে মন।
আজি সখি তোহে চায়
       নিশিরাতে আরোধায়,
          চাহে তনু
        আরাধন।


আজু সখি, মুহু মুহু
      হরা হৃদ প্রাণ তুহু,
গাহিবারে মন কুহু
       গুঞ্জনে প্রাণে বয়।


স্বপ্ন


আজ সংবাদপত্রে দেখলাম ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে অবাধ যাতায়াতের স্বার্থে ভিসা ব্যবস্থা তুলে দেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখছে দুই দেশই। সেক্ষেত্রে ভারতীয় নাগরিকরা আধারকার্ড ও বাংলাদেশি নাগরিকরা জাতীয় নথিভুক্তি সংক্রান্ত তথ্য দেখিয়ে সীমান্ত পারাপার করতে পারবেন। তবে এক দুবছর সময় লাগবে। তাও মনটা যেন প্রফুল্ল হয়ে উঠলো। বাবার থেকে শুনেছিলাম সিরাজগঞ্জ জেলায় উল্লাপাড়ায় আমাদের বাড়ি ছিল। ঠাকুরদাদার ছিল চালের ব্যবসা। যমুনা নদীতে একবার নৌকাডুবিতে ঠাকুরদাদার সব চাল নদীতে ভেসে গিয়েছিল। বাবা আর আমার এক জ্যাঠতাত দাদা (দুজনেই এখন নেই) সাঁতরে যমুনা পার হয়েছিলেন। তবে আমি সাঁতার জানি না। পিসতুতো এক দাদা (যারা এখনো বাংলাদেশেই থাকেন) তাদের থেকে শুনেছিলাম উল্লাপাড়ায় নাকি ইউনিভার্সিটি হয়েছে আমাদের জমি নাকি সেখানেই গেছে। ঠাকুরদার সেই কাঠের দোতালা বাড়িটি নাকি এখনো আছে। (জানিনা কতটা সত্য)। বহুদিন থেকে যেন স্বপ্ন একবার সেখানে যাবার চাক্ষুস দেখবার। আমার মতই স্মৃতিমেদুরতায় ভোগেন এই দুই ভূখন্ডের মানুষ জন। এখনো এ রাজ্যের আর ওদেশের বহু মানুষের নাড়ির টান রয়ে গিয়েছে দুই দেশে। অনেকেই বাপঠাকুরদার ভিটেদর্শনে আগ্রহী। তাই দুই দেশের মধ্যে ভিসাহীন যাতায়াত চালু হলে বহু স্বপ্নই পূর্ণ হবে।


স্বপ্ন আমার আঁখির পাতে সেই দিশাতে চাইতে রই,
কোথায় গেল কোথায় গেল-বাপ ঠাকুরের
ভিটা কই!
সেই লগনে উড়তে প্রাণ আকাশ পানে চাইতে রই,
দেশ বিভাগের কান্না বুকে-হৃদমাঝারে
ধরতে সই।
অশ্রুজলে ভাসতে পরাণ-নাড়ির টানে ওই দেশেতে,
ভাসতে পাখির ডানায় মিলে-স্বপ্নজড়া
সেই দেশেতে।
দে-না মাগো দ্বারটি খুলে পরাণ ভরে দেখতে ভিটা,
কান্না মাগো অশ্রুনীড়ে-হৃদমাঝারে
জুরাই ব্যাথা।


প্রিয় কবি শেখ লিটন সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "লিমেরি-১০" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
(কিছু কারনে সংলাপটাও দেওয়া হলো)


প্রদীপ


সুন্দর ভাবনার প্রস্তাবনা। তবে (অন্তমিল) ছন্দ ছাড়াও কবিতা হয় প্রিয় কবি। একটা লিখে দেখাচ্ছি।
(গদ্যছন্দ কিন্ত গদ্য নহে)


প্রেমের সূর্য পশ্চিমে ঢলে গেছে
সংসার মহিমায়।
প্রিয়তমা তুমি কি এখনো ভালোবাসো
আমায়।
কিছুই কি দিতে পেরেছি তোমায়
বাড়ি গাড়ি অট্টালিকা,
তবুও তুমি ছাড়নি আমায়
দাওনি কভু কুপিত চাহুনি-
ওগো প্রিয়তমা।
তোমার আগুনে ফাগুনের রঙ্গে
রাঙ্গিয়েছি শত খেলা,
পেরেছি কি কভু দিতে
আঁদুরেতে বাধা সুখ-
ওগো প্রিয়তমা।
স্বয়নে স্বপনে এঁকেছো প্রদীপ
জ্বেলেছো জীবন সরলতা,
জনম জনম পূজিবো তোমারে-
ওগো প্রিয়তমা।


আন্তরিক শুভকামনা রইল প্রিয় কবি।


জন্মদিনে


প্রিয় কবি সমীর প্রামাণিক মহাশয়ের আজ প্রকাশিত প্রাপ্তি কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


সমীর বাবু ব্যস্ত কি খুব
দয়া করে তাকান
না,
জন্মদিনের একটু পায়েস
বাটিত আমায় দ্যান
না।
সেই পায়েসে হৃদয় ভরি
আর্শীবাদের ঢলটি
দেব,
একশো বরষ পার করে মন,
আয়ুস্মান গাইতে
রব।
ফুল কমলে পাঁপরি দলে
সৌরভেতে মিলতে
প্রাণ,
আমরা আসর সবাই কবি,
গাইতে তব-
জয়োগান।
পায়েস কথায় পরলো মনে
একটু আমার
মাতা,
বছর কালে এই দিনেতে
কাঁদছি আমি ও
বিধাতা।
ভাসতে জলে আঁখির পাতা
জীবন জ্বালা
যন্ত্রণা,
শুভদিনে জানাই তোহে
লম্বা জীয়ন
প্রর্থনা।


প্রিয় কবি সরকার পল্লব মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "কবিতার অপমৃত্যু" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


কবিতা


অনন্ত অসীমেতে ধেয়ে যায় মন,
গোলকেতে দোলা দিতে
জাগে হৃদ
প্রাণ।
আনন্দ হরষেতে কভু কান্নাতে কান্নাতে,
কভু বিষাদেতে-কবিতার
আহ্বান।
দোলে প্রাণ ঝিকিমিকি তারাদের উঁকিঝুকি
টিপটিপ নিভে জ্বলে,
সুর তুলি মন ভুলি-
কবিতার সুর
গলে।
নদী বহে কুলুকুলু জলরাশি স্নিগ্ধ,
মেলে প্রাণ মোহনাতে-
কবিতার
শব্দ।
শব্দেতে শৃঙ্খলা নাই কোনো শৃঙ্খল,
মিলি প্রাণ ঈশ্বরে-কবিতার
জয়োগান।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত কবিতা "পলায়ন বৃথা-(ব্যঙ্গ)" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


একতা


বলো জয় একতার নাহি লাগে মোক্তার,
চলো যাই ভেঙ্গে দিতে -থাক থাক
মুনাফার।
সারি সারি প্যারালাল দাও জোরে খুব গাল,
গনগনে লকলকে আগুনেতে দাও
জ্বাল।
জ্বাল ফেলে জুয়াচুরি মেরে দিতে জোচ্চুরি,
চল যাই রব তুলি-ভেঙ্গে দিতে
তালা তারি।
দ্বার যত মজুদের ভান্ডার গুদামের,
হাতে হাত হাত ধরো
করে দিতে
সুদামের।
বলো জয় একতার নাহি লাগে মোক্তার,
চলো যাই ভেঙ্গে দিতে -থাক থাক
মুনাফার।