প্রিয় কবি অনীক মজুমদার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত কবিতা "নিজের মতো করে" উত্তর দিতে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


ছেঁড়া কাথা (তিন)


হেই বুলবুল হেথায় দেখ কইলো কবি কি
লিখতে সময় যায় যে বয়ে
সাঁজের বেলাটি।
কাজের কাজ কিচ্ছুটি না-পেনের গোড়ে প্রাণ,
পাইসা নাই টাইসা নাই কাব্য গাথার
গান।
হোথায় ঘরে অগ্নি ঝরে-গিন্নি যে দেয় গাল
লজ্জায় মুখ নিচের দিকে-রংটি
মেখে লাল।
তুই বুলবুল শিষ বাজিয়ে করিস ছেলেখেলা
ছাল ছাড়িয়ে মুখরা কথায়-আমায়
বানায় আটার দলা।
গলার কাছে বিঁধতে বুল-চক্ষু ধরা সর্ষে ফুল
গিন্নি আমার কোমর বাধে-আমি হলেম
চক্ষুশূল।
বুঝাই তারে আদর ধরে এই পেশাতে শুধুই হৃদ
নোবেল প্রাইজ আনবো আমি-হয় না রে বুল
হয়না সুহৃদ।
তাও কি গান বন্ধ করা! শিষ বাজাতে নেইকো মানা
বুঝলি বুল ছেঁড়া কাথাই-ভাবছি হবে-
হতেই আমার শেষ
ঠিকানা।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "কাব্যে ভরে না পেট-(ব্যঙ্গ) কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


শব্দ


ওহো কত্তা কন কি! কন কি!
ভুঁড়ি বেচাল বড্ড
অতি।
আহা! সময় হলেই গানটি ধরে
ছুচোর মতোই রব সে
গতি।
তার সে প্রীতি খাদ্য খাবার
না পাইলেই মারতে
ডন,
হাওয়া আর জল যোগেতে
রবেন কত্তা
কতক্ষণ!
ফোনে ফোনেই কাজ কত্তা
পেমেন্ট ইন্টার-
নেট,
কাব্যগাথায় পাবেন এমন-
তেমন রকম দারুন
ভেট।
গিন্নি সবে কাব্য বোঝে
নোটের গোনা শব্দ
সেই,
কাব্যগাথা অপরাধী-
বুঝেন কত্তা সেই
দোষেই।


প্রিয় কবি অনিরুদ্ধ বুলবুল মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "সময়" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


পারাবার


সময় কি অসময় ভাসিয়া বেড়ায় বড়ই চঞ্চল,
ক্ষণিতো যাপিত পল,
লহমাতে গতি ধায়-বারিকো নাহিকো রুধিবারে
কাল।
পলেতে পলেতে লিপিতে কাহিনী কতনা কথা সার,
আবার কতনা কাহিনী দুখের-
পারাবার
সংসার।
এ দহনে উদিত গরল কিবা ক্ষণ অমৃত সম,
শত ধায় গতি পায় ক্ষণিকো বিরতি নাহি,
অন্তর ভেসে যায় কভু ভাঙ্গিতে হৃদয়-
কভু আনন্দ ঘন।
গাহিনু সে গীতি মম পরিচিতি ক্ষণ সে প্রবাহ কাল,
কেড়ে নিতে সুখ লহমাতে দুখ
চঞ্চল অঞ্চল।
পলেতে পলেতে লিপিতে কাহিনী কতনা কথা সার,
আবার কতনা কাহিনী দুখের-
পারাবার
সংসার।


প্রিয় কবি শুভ্ম প্রামাণিক মহাশয়ের সেদিনে কবিতার উত্তরে সেদিন কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা (ফাউ কবিতা)


কেউটে


না না না! কেউটে বড় বিষে ভরা
কক্ষোনো না হতেই নয়,
বাপ রে বাপ! বাপ রে বাপ!
শুনেই আমার লাগছে
ভয়।


উড়িবাব্বা! যেমন তেমন দিতেই রব
পরাণ আমার গেলই উড়ে,
বুলবুল তুই কোথায় গেলিস
আয়না রে বুল রাখনা আমায়-
দারুন করে জাপটে
ধরে।


কেউটে যদি হলোই তবে
আসর টাকে দিতেই পাড়ি,
কান্না পায় বুল যে আমায়
হতেই যদি ছাড়া
ছাড়ি।