ছেড়া কাঁথা (দুই)


হেই বুলবুল এই বুদ্ধি কাজ চাপলে পিঠের পরে,
কাব্যগাথায় আর কি মন ভীষণ
রকম দারি পরে।
পাইসা চাই পাইসা চাই নইলে খাবার দেব কি দিবে!
লগন মুখর মুখরা ছুটে দামরা ছাল
ছাড়ায় নেবে।
সেই চিন্তা তোর কি আছে সারাটা দিন বাজাস শিষ,
কাব্যগাথায় চলতে আমি দারুন রকম
হচ্ছি ফিনিস।
তাও কি জানিস ইলেকটিরি হাজার দশেক বিলটা পাই,
বাদুরঝোলা ঝুলছি রে বুল হরপা বানে
কাব্যে রই।
বাজা বাজা দিন তো তরি তরিৎ গতি দেখতে পরী,
দেখ রে ভাই কাব্যগাথা্য় করতে ভীষণ
বাড়াবাড়ি।
তাই রে ভাবি বলনা বুল দুইটি কলি দিতেই দারি,
নইলে বুল সময় ঘনায়-মাটির সাথে
গড়াগড়ি।
নইলে ফাঁসির ফান্দে রে বুল-লটকে যেতেই গলা,
একদম না একদম না শিষটি দিয়ে বাতটি
বলা।
তাও কেবলি-মন যে ভাগে দিতেই দৌড় কাব্যগাথা,
বললাম না কালকে আমি দিতেই গায়ে
ছেড়া কাঁথা।


প্রিয় কবি রীনা বিশ্বাস (হাসি) মহাশয়ার গতকাল প্রকাশিত পরমাণুর মতো [২৪] এর উত্তর প্রত্যুত্তরে কমেন্ট বক্সে আজ লেখা কবিতা।


কি হবে!


কি হবে কোন্দলে ধর্মেরি ধন্দেতে,
প্রাণ তো ছেড়ে যাবে দেহ একদিন-
নাহিকো বাঁধিতে শত
ফান্দেতে।


বৃথা কোন্দলে জীবনো লহরো হিংসা ও দ্বেষ বিষ
কেন প্রাণ হৃদ মন-ছোবলেতে
কেড়ে নিস।


দিকে দিকে বিষাক্ত বিদ্বেষ ভরা লহু,
কেন কেন কেন-সততা ও প্রেম ভাব
ধর্মেতে লেখা বহু।


লহুঝরা হৃদয়েতে শত প্রাণ কাঁদে ধরা,
কেন নিতে কেড়ে প্রাণ-ঘূর্ণিত
পাঁক জড়া।


দহনেতে দশ দিশা-ঘন রোল ধরা বায়ু,
পারবিনে পারবিনে-বাঁধিতে এ
প্রাণবায়ু।


কি হবে কোন্দলে ধর্মেরি ধন্দেতে,
প্রাণ তো ছেড়ে যাবে দেহ একদিন-
নাহিকো বাঁধিতে শত
ফান্দেতে।


প্রিয় কবি মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান মহাশয়ের সেদিন প্রকাশিত "যার যত প্রয়োজন সে তত আপন" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


উন্মিলন


যুগে যুগে কালে কালে একই রূপ তার-
বিচিত্র এ সংসার।
সারেরো মোহতে মোহনার পানে চলি বেয়ে-
কেউ নাই কেউ নাই-
রাখে নাই
অন্তরে।


যাহারি লাগিয়া জীবন ধরিনু-গাহিতে নিলয়ো প্রেম-
জাগতিক উল্লাসে মেতে-
সম্পদ করে
লেনদেন।


জীবনো অসার কাঁদিয়া ভাসিনু-রিক্ত হৃদয় মন-
হে ঈশ্বর হে ঈশ্বর-
কবে দিতে বলো হৃদয়ের
উন্মিলন।