রবি ঠাকুরের পর আজ (৯/৩০ মিঃ রাত) ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে রচিত হলো "অভিলাষ"


"অভিলাষ"


অভিলাষে কাঁদে মন নির্ঝর আহ্বান;
মম চিত্তে নাহিকো বারিকো
সুখরো পল-কাঁদিতে
অনুক্ষণ,
কেঁড়ে নিতে অবনীতে
অভিলাষে শত মেতে-
লভিতে সে সোনা
ধন।


কাননো পুষ্পিত মম-কাঞ্চনো বারিধারা,
আকাঙ্খা নাহি মিটে
শতদল যেন
হারা,
গাহি গীতি প্রসস্তি-প্রশান্ত গীতিধারা,
লভিতে সে উঁচু প্রাণ শশাঙ্ক
মনোহরা।


ক্ষণিকো জীবনে কামনার রাশি
অভিলাষ শত কত,
গাহি গান মর্মরে-বেদনাতে
আশাহত।
দশদিশা ভাবি ভুঁই-অনন্ত চাহিদাতে,
উড়ে ঘুরে পুড়ে মরি অনন্ত
অভিলাষে।


কামনাতে হৃদ ভরি-কায় মন ধ্যান ধন,
বহু কিছু প্রাপ্তিতে-মানে নাতো
কাঁদে প্রাণ।
ক্ষয়িষ্ণু জীবনেতে আরোহেতে পল্লবী,
আকর্ষে আকর্ষে রচি শত
রং তুলি।  
বুলবুলি ডাকে প্রাণ শিষ দিয়ে উদ্যত,
বলে যায় শত বার-আশা আর
আর কত!


নাই থামা অবিরাম আশা মন অতিকায়,
বাসনা ও রতি সনে-দশ দিশা
শত ধায়।
উঁচা দেখি উচাটন উঁচুপ্রাণে সদা মন,
চাঁদ তারা-তারি লাগি-
অন্তর সমাপন।


বসন্ত বিয়োগেতে হেমন্তে পাতা ঝরা,
চৈত্র সে ক্ষরা কাঁদি,
যেন প্রাণ গেনু
ধরা।
আশা শত হত হৃদ-কাল স্রোত প্রবাহেতে,
ভুলে গেনু নিভে ভানু-
দিন গেলে রাত
হতে।


অভিলাষ অভিলাষ-শত জ্বাল কত বোনে,
প্রাপ্তি ও স্বপ্নেতে-কায় তনু
মন প্রাণে-
অবসানে শত- সার্বিক
শ্মশানে।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "ভাল মন্দ-(ব্যঙ্গ) কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


অপরূপ


বিচিত্র এ দুনিয়া বিচিত্র তার রঙ্গ রূপ,
ধরিতে গাহিতে বুঝিতে নাড়িতে
হেরিতে অপরূপ।
অঙ্গে অঙ্গে ধাবিত কোমল পত্র পুস্প যথা,
ধুতুরা সেথায় গরলো সে বিষ-
বেদনার ইতিকথা।
আকাশ শোভিত রামধেনু রং চন্দ্র খচিত তারা,
ভৈরব বেশে সে দেশে আসিতে
ঘন মেঘ দিশেহারা।
সাগর শোভিতে সৈকত গানে লহরো তরঙ্গ,
সুনামী ধাবিত অঞ্চল প্রাণ কেড়ে নিতে
মত্ত মাতঙ্গ।
বিচিত্র এ দুনিয়া বিচিত্র তার রঙ্গ রূপ,
অঙ্গে অঙ্গে ধাবিত কোমল পত্র পুস্প যথা,
ধুতুরা সেথায় গরলো সে বিষ-
বেদনার ইতিকথা।


প্রিয় কবি ড. শাহানার মশিউর মহাশয়ার সেদিন প্রকাশিত "হৃদয়ের টুকরো রিসাইকেল" কবিতার উত্তরে কথোপকথনে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


ভূষণ


জীবন পথে চলতে গেলে
তুফান ভারি অনেক মেলে,
তাই কি হাল ছাড়তে লহু-
বেদনাতে প্রাণটি
মিলে।


দুঃখ জীবন হৃদয় ভূষণ
অঙ্গে অঙ্গে রইতে বল,
টুটতে নারি বইতে জানি-
কঠিন দৃঢ়
মনোবল।


জোড় করেতে ঈশ্বরেতে
মিলতে ডানা উড়তে আকাশ,
বিন্দু মাঝে সিন্ধু মিলে-
গড়তে হৃদয়
মনোকাশ।


প্রিয় কবি শাহীন আহমদ রেজা মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "রাজার ঘোড়া" কবিতা উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
(ফাউ কবিতা)
অশ্বডিম্ব


অশ্বডিমের গল্প শুনে উঠলো হৃদয় নেচে,
গাছের ডগায় অনেক উঁচু-
উঠলো গরু গাছে।
যেন না ওঠা ভীমরুলটা-গিলেই ফেলে দিলো,
সেই ক্ষনেতে সিংঘ মামা-
দৌড়ে উড়ে এলো।
নদীর ধারে ছাগল মামা একটা বাঘ ধরতে দৌড়,
শিয়াল তখন খাচ্ছিলো ঘাস
কালো ভীষন রদ্দুর।
তুমুল রণে ভঙ্গ দেয় সিংঘ মামার কোমর ব্যাকা,
দৌড়ে এসে বন মুরগি-
শিয়াল টাকে দিতেই
বকা।
ছাগল মামা ধরলো বাঘ দাঁত দিয়ে সেই খুবলে খেতে,
আর কিছুটা মাংস বাঘের-
বন মুরগির দিলোই
পাতে।
একটা কবি ভাবের দেশে কাঁচাকলায় দৃষ্টি ছিল,
রাতের আলোয় ঝক ঝকা ঝক
বাঁচতে গগল্স পরেছিল।
তুলকালামের গল্প শেষে আসরটা সেই দুলছিল,
দুইটা চোর সেই মারেতে-
তিনটে পুলিশ
ধরেছিল।