রবি ঠাকুরের পর ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে আজ পুনঃ রচিত হলো "অন্তর্যামী"
অন্তর্যামী
(গত প্রত্যুষে দেখা স্বপ্নের বিশ্লেষণে লেখা কবিতা)


স্বপণে দেখিনু ঘন কুন্ডলিত
প্রলয়ো অগ্নি শতধায় বিকশিত,
ধুম্র জ্যোতি প্রকাশ-
সে ভীষণ কায়া,
দিকে দিকে শত সহস্র-
অগ্নিশিখা প্রজ্জ্বলিত।


ত্রস্ত জীবকূল ছিন্নভিন্ন ভয়াত্র কম্পমান;
প্রলয়ো নাচন অগ্নি সমিপে-
বাঁচিবার ক্ষীণ অভিপ্রায়ে-
করিছে সমর্পণ।


কে তুমি হে অন্তর্যামি সৃষ্টি বিনাশিতে
প্রলয়ো নাচন করিছো প্রকট ভয়াল;
প্রকটিত সমূহ অগ্নি রূপেতে,
জীবকূলে জীবকূলে হেন রূপ-
হে প্রভু-
কেন হে দয়াল।

অব্যয় অব্যাক্ত অসীম অনন্ত ভাবি মন
হে জগৎ স্বামী,
হৃদপ্রাণে ওঠে আলোরন;
সৃষ্টি সৃজনে মাতিছো কভু-কভু
ধ্বংসের ধরা তান।  


দেখি নাই জানি নাই বুঝি নাই অজ্ঞান মন
ধন ও ভোগ কাম ও রতি
সদা করে উদয়ণ।
সহস্র পাঁকে পঙ্কিল জলময় সেবিতে জীবন
অগ্নি স্বরূপ হিংসা ও দ্বেষ-
উঁচু আসমান।


ক্রোধাক্ত বহ্নি দিকে দিকে-
ভুতলে উঠায়েছে শিখা;
তোমারি বাণীতে তোমারে দানিতে,
ধ্বংসের ইতিকথা।


প্রলয়ো নাচনে দেশে দেশে-
দিকে দিকে মানবতা-
তুমি কি প্রভু শুনিতে চেয়েছো,
ধ্বংসের বারতা।


তোমারি অনুভবে জাগিতে এ প্রাণ মম
প্রতি পলে পলে;
জোড় করে সঁপিতে তোমারে-
অন্তর দেহ বলে।


হে প্রভু অন্তর্যামী,
জানি নাহি জানি নাহি কিবা কাজ-
কি বা সে তোমারই মতি,
পাঠাইলা ভুমে ধরণীর তলে-
এ দেহে কবির হৃদয় আঁকি।
কিবা পরিনাম জানি নাই কভু-
দেখি নাই তব কায়া,
যুগে যুগে কালে কালে বারে বারে-
পাঠাইলে ধরা।


আজিকে দয়াল দেখিনু সে রূপ-
ফিরাইতে মানবতা,
হে প্রভু হেরিনু সে শিশু ভুমিষ্ঠ আজ প্রাতে-
দানবের রূপে জঠরে দানবেরি-
হরণেতে দানবতা।  


কদাকার কুৎসিত সে শিশু
হুকারে আকাশ বাতাস,
শায়িত করিতে ভুতলে মেলিতে-
ফেলিতে গরলো নিঃশ্বাস।
দাবানলে দাবানলে ত্রস্ত ধরায়
সে দারুনো মহরণে,
নিমেষে চকিতে নিবারিত বহ্নি-
ধরা সুর আনন্দ গানে।


বিকশিত কলি গুঞ্জণে অলি
শান্তি সোপান উছলিত ধরা,
কুৎসিত শিশু হলো ভুপাতিত-
নিমেষে রপ নেয় মনোহরা।


অয়ি স্বর্গ অয়ি সুন্দর অয়ি ঈশ্বর
কান্তি বরুণো কায়া,
যুগে যুগে কালে কালে হে অর্ন্তযামী
বুঝিতে পারি নাই,
বুঝিতে পারি নাই তব-
মহামায়া।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "ঞ্জান শিক্ষা" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
কান্ড


এ কি কান্ড প্রকান্ড!
ভিখারি চেনে সে জন
কে বা মেকি সাধু আর,
কে বা গুণীজন।


সার ও অসার এ জগতের-
ভিক্ষুক  চিনিতে ভালো,
কি কান্ড এ-কি! একি!
ভিখারি চিনিলো আলো।


আলো নাই আলো নাই-
দিবানিশি কালো সে জগৎ হরা
যেথা প্রাচুর্য ঝরে ঝরে নির্ঝরে,
নিশিদিন-দিবারাত মনোহরা।


তাই কি পৃথিবী কান্নাতে মাতে-
মাতমো করুণো সুর,
ধ্বংসের গানে বহিতে এ প্রাণে-
বেদনা বিধুর।  


প্রিয় কবি laxman bhandari মহাশয়ের আসরে প্রকাশিত "গাঁয়ের তালদিঘি" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
তালদিঘি


তালদিঘি তালদিঘি তাল গাছ দিয়ে ঘেরা
কত শত স্মৃতি মনে হৃদয়েতে ঘোরাফেরা।
ছায়া ঘেরা তালদিঘি টলো টলো কালো জল-
তারি বুকে ছেলে মেয়ে হেসে খেলে উচ্ছল।


তালদিঘি প্রাণদিঘি প্রাণ দিয়ে গ্রাম গড়া
স্নিগ্ধ সে নির্জন ছবি যেন মন ভরা।
প্রভাত ও সাঁজকালে আলো ছায়া টলো মলে
ঝিরি ঝিরি কম্পনে তাল গাছ হেলে দোলে।


নিত্য সে দুই বেলা সার দিয়ে পাড়ে মেলা
সারি সারি বকগুলি গুলগুলি করে খেলা।
তালদিঘি তালদিঘি তালে তালে ভরা গাছ
পাঁকা তাল কাঁচা তাল দিয়ে যায় বারোমাস।


কচি কাঁচা বুড়া বুড়ি সোনা খুকি ছোড়াছুড়ি
খাওয়া নাওয়া সেরে ফেলে তালদিঘি ঘোরাফেরি।
ছায়া ছায়া মায়া জ্বরা তালদিঘি তোলে রোল
সানন্দ উৎসবে চারি পাড়ে জনরোল।


তালদিঘি যেন প্রাণ আমাদেরি গ্রামখানি
তালদিঘি সোনা দিঘি-এ গাঁয়ের নয়নমণি।


প্রিয় কবি পি এম জাহিদ মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "ভুল নয় বাস্তবতা" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।(ফাউ কবিতা)
পরী


রে বুলবুল দেখ ছুটে আয়-
দেখতে যদি পরীর রূপ-
চিপা গলি আর যাবিনা-
দেখলে পরে অপরূপ।


কি হলো বে থ মেরে তুই-
কোথায় গেলি হারিয়ে রে!
শীস বাজানো বন্ধ কেন-
হ এর মত মুখটা যে।


তুই বুলবুল পলক নড়া-
লাগছে আমার ভয় যে বড়-
হার্টটা আবার চলছে তো বে-
করছে তো ভাই নড়ো চড়ো।