কোনও মানবিক আহ্বাণে সারা দিতে গিয়ে কিছুক্ষণ দেরি হয়ে গেল। তাই ক্ষমা পার্থী।


রবি ঠাকুরের পর ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে আজ পুনঃ রচিত হলো "অধরা"
"অধরা"


বিজনো কাননে ওগো বিদেশিনী
বাঁধিনু বাসা মোর
অধরাকে ধরিতে গানে পুষ্পিত কাঞ্চন বনে-
মাগিনু সে বাহুডোর।
হৃদয় মঞ্জুরি কল কাকলিত ঝুমুরো ঝুমুরো ধ্বনি
অধরে সে উষ্ণ পরশ ধরিতে-
ওগো বিদেশিনী।
সে গানে চঞ্চল প্রাণ
গগনো ভেদিয়া উঠিছে ধ্বনি;
ব্যাকুলো সে বিহঙ্গ-কাকলিত সুরোগানে
উদিছে সৌরভ বিধুরো কাল গত,
শত সহস্র হাজারো বিনিদ্র রজনী-
ওগো বিদেশিনী।
ওষ্ঠ লিপিতে লেপিতে লিখিতে শুনিছো কি রব;
হরষে সাজিতে ডালিতে ফুলিতে
হার্দিক কলরব।
নয়নে নয়ন পড়িতে সে গাথা হৃদয় কি রুদ্ধ ডোর
অধরাকে ধরা ধরিতে গগন
মাগিনু সে বাহুডোর।  


প্রিয় কবি মনোজ ভৌমিক(দুর্নিবার কবি) মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "বাঁচতে গেলে হাসতে হবে" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
বিভ্রাট


হাসির রোলে হারিয়ে গেলাম ব্যাপারখানি তুচ্ছ নহে
হাসির জ্বালা রকম ফেরে নরম গরম হাওয়া বহে।
মুচকি হাসি অট্টহাসি খিল খিলে দাঁত বার করা
স্বপ্নে হাসি বিকট রকম বিভ্রাটেতে অনেক ভরা।
হাসতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে হাসফাসিয়ে উথল জীবন
হাসতে কি আর ইচ্ছে করে মন হারিয়ে তপ্ত ভুবন।
আজকালেতে দিন কাল যা চৌদিকেতে তাকান না
গরল তরল দারুন বিষ-পদে পদেই কান্না।
সাত সকালে ব্যাগ হাকিয়ে বাজার পানে গনগনা ঐ
আলু পটল উচ্ছে মূলো-খাবেন খাঁবি দেশী কৈ।
উব্ধ গগন ধরণী তল-জীবন জ্বালা যন্ত্রণা
হাক্কি দিয়ে হাঁকায় সখী-অলঙ্কারের বায়না।
দশটা থেকে পাঁচটা তাদের দারুন কাঁটে সুখে
এমনি কি আর ঘুসটা নেন-জীবন তারণ দুখে।
চাকরি পেতে বলছে সোনা লাগবে লাখ দশ
চারচাকাটা লাগবে সখীর মানছে না ও বশ।
হাসবো কখন বলুন দাদা হাফ হাফিয়ে উঠছি হেঁপে
তারি মাঝে ডেঙ্গি হানায়-বলছে সবাই খেতে পেঁপে।
এমন করুণ দিলেন ধরা কান্না কাঁদন বয়েই চলে
হাসবো কেমন হাসতে কি কেউ অট্টহাসি উচ্চ রোলে।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত রুচিবান-(ব্যঙ্গ) কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
জুতসই


হক কথা হক কথা শুধু ভাল ভাল নাই
রব ধ্বনি কথাকলি-জুতসই ভাবি নাই।
আলো আছে তাই কালো চাঁদ তারা আকাশেতে
বুঝি তাই ভালো টাই কালো হতে খুজে নিতে।
জীবনেতে গহীনেতে আঁখি পাতি মন ভুলি
ছলনাতে প্রাণ মেতে শত কত ভুলভুলি।
চিন্তনে ডুব দিতে ভাবনাতে মন মেলি
ভুলভুলি ভুল গুলি ছিল তাই সিধে চলি।
তাই ভুল মেনে নিতে আকাশটা হৃদে ধরি
সাত কথা সাত ফেরে-ভাল তাই মনে করি।
রবি দিল ধূপ ছায়া মৃগাঙ্ক স্মিত কায়া
জ্যোছনার আলোকেতে ধরে প্রাণ শত মায়া।
কালো রাত আকাশেতে টিপ টিপ জ্বল জ্বল
তারি মাঝে ধ্রুবতারা শত কত উজ্জ্বল।
ছোট নদী বড় নদী শত কত নদ নদী
পাপ হরা স্রোতস্বীনি-মাতা সে-তো জাহ্নবী।
শত রব কলরোল নানা ধারা নানা লেখা
কবিতার ধ্রুবতারা রবি গান সোনা দেখা।
হক কথা হক কথা শুধু ভাল ভাল নাই
রব ধ্বনি কথাকলি-জুতসই ভাবি নাই।
আলো আছে তাই কালো চাঁদ তারা আকাশেতে
বুঝি তাই ভালো টাই কালো হতে খুজে নিতে।


প্রিয়কবি মোঃ আল আমিন সাব্বির কবিতা "ভাল লাগে" উত্তরে বেশ কিছুদিন আগে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


ভাল লাগে এই ধরাতে-সবার মুখে হাসি-
ভাল লাগে দেখতে ধরায় সবাই হাসিখুশী।
ভাল লাগে স্বপ্ন দেখা শান্তি শুভ গান-
ভাল লাগে বলনা সখী হিংসা দ্বেষ প্রাণ?
ভাল লাগে উষার আলো মাতৃ কোমল বন্দনা-
ভাল লাগে মিষ্টি কথা-বলছি তোমায় চন্দনা।
ভাল লাগে ছোট্ট খোকার-আধো আধো বুলি-
ভাল লাগে মন যে চায়-মিষ্টি কোলে তুলি।
ভাল লাগে মন্দিরেতে পূজা পাঠ অর্চনা-
ভাল লাগে দান খয়রাত মধুর প্রাণের মুর্ছনা।
ভাল লাগে প্রেম প্রীতি ওই ভালবাসার মধুর সুর-
ভাল লাগে বলনা সখী-কেন চলে যাচ্ছে দুর?
ভাল লাগে ভাল লাগে-তোর সুরেতে ভাসলে পরে-
ভাল লাগে বলনা সখী-যাস কেন তুই ওই সুদূরে!
ভাল লাগে জড়িয়ে তোরে-সুখ সোহাগের মধুর দোল-
ভাল লাগে বলনা সখী-তুই যদি হোস দুর অতল?