(আজ খুব ব্যস্ত ছিলাম। সব কবির সব কবিতা পাঠ করতে পারি নাই।তবুও গোটা ৩০ টার মত পাঠ করতে পেরেছি। দুইটি কলি প্রকাশ দেবার পর দেখব চেষ্টা করে।সেজন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আজ সবগুলিই পদ্যছন্দে লেখা তরল হাসাত্মক কবিতা। আশা করি খুব ভাল লাগবে)


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "সুখে নয় সুখ বাটা" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
হরিবোল


হায় রে বিধি বিধান তব জন্মিতে ধরা-
জরা শিশু অবোধ সে কাল-মাঝে কর্ম সুফলা।
স্বল্প সে সময়েতে আধা যায় নিদে-
তাও বিধি ভাম কেন-বেদনাতে দুখ দিতে।
তব দোরে মায়া দয়া-হিসেব কি নাই কোনো-
ছলনাতে দুখ দিতে-ক্ষত জ্বালা প্রাণে বোঁনো।
ও হরি পায়ে পড়ি-বিষান্ত কেন প্রাণ-
করো জোড়ে মাথা ঠুকি-সুখ দাও ভগবান।
নাই যদি দেবে তবে-মন্দির কেন পূজা-
শত ধায় শত বুলি-কেন তুমি দশভূজা।
ভূজঙ্গ ভুলভুলে কাঁদে মন কাঁদে প্রাণ-
সুখ যদি নাই দিলে-তুলে নাও শয়তান।
হায় রে বিধি বিধান তব জন্মিতে ধরা-
জরা শিশু অবোধ সে কাল-মাঝে কর্ম সুফলা।
স্বল্প সে সময়েতে আধা যায় নিদে-
তাও বিধি ভাম কেন-বেদনাতে দুখ দিতে।
হরিবোল হরিবোল।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের গতকাল প্রকাশিত "ভাল কখনো কালো" কবিতায় উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
চ্যাংদোলা


মোহময় সংসার-ভাল থাকা বড় দায়-
শ্বাপদেরা দিকে দিকে নখ থাবা খামচায়।
ভাল পেলে বলে ভাল-দাও ভাল মারা যাবে-
পদে পদে দিকে দিকে-যেথা যাবে খামচাবে।
জুতসই করে ছাল-ছিল ছিল ছিলেবেই-
কাঁঠালটা জোর করে-কিল দিয়ে পাকাবেই।
হেলাফেলা সারাবেলা-কান দিয়ে ধুমা দিবে-
চ্যাংদোলা করে চাঁদু-খিঁচলিয়ে জান নেবে।
ল্যাং মেরে ফেলে দেবে-বাড়িতে বা অফিসেতে-
টলোমলো টাল খাবে-হাটে ঘাটে রাস্তাতে।
বুলবুলি শিগগিড়ি কবিটারে বুঝা ভাই-
ভাল হয়ে থাকা নয়-হাতে প্রাণ বাঁচা তাই।
মোহময় সংসার ভাল থাকা বয় দায়-
শ্বাপদেরা দিকে দিকে নখ থাবা খামচায়।


প্রিয় কবি অনীক মজুমদারের আসরে প্রকাশিত "ফিরে আই" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
সর্ষে ফুল


ওনাদের কথা মানলেই মঙ্গল নচেৎ থুড়ো বুড়া-
হা পিত্যেস জীবন তবে-চোখে সর্ষে ফুলের বড়া।
গোল গোল আর লম্বা লম্বা চৌকোনাতে কিছু-
ঢ্যামনা বুড়া কাজ নাইকো-গিন্নি নেবে পিছু।
মর না মরদ বলতে মুখে-ছাই পাশ সব বুলি-
যেমন তেমন না হয় কবি-উচ্চে সুর তুলি।
ভাত দেবে না বলবে তাস-গেলনা পাজি বুড়া-
বলবে যখন গিলতে তাস-হবেই থুড়থুড়া।
তাস খেলা কি কাজটি ভাল-জুয়াচারীর দাও-
বলছি সময় থাকতে কবি-দারুন ভুলে যাও।


প্রিয় কবি আজগর আলী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "জীবন থেকে নেওয়া দুটি কবিতা"র উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
(ফাউ কবিতা)
নরক ফাঁদ


রে বুলবুল কান্না পায়-এমন গতি কবির কেন-
পদে পদে চলতে বিপদ জীবন নরক হচ্ছে যেন।
শুনলি কি তুই কাব্যগুলি তাইতো বন্ধ হলো শিস-
হায় আল্লাহ হায় ভগবান-দে না বাবা একটু আশীষ।
তাই কি বুল এই ধরাতে আসতে সবাই দারুন কাঁদে-
ভীষণ জ্বালা কষ্ট দারুন-জীবন কেমন নরক ফাঁদে।
ওরে বাবা লাগছে রে ভয়-বুলবুলি তুই ধরনা গান-
তাও তো জুড়াক হৃদয় খানি-করছে রে প্রাণ আনচান।
কবি তুমি এগিয়ে যাও-ধন্য জীবন করতে চাই-
আকাশ ফাগুন রংবেরং এর-শক্ত হাতে গড়তে তাই।
ওই মদনা কানাই শুন-কবির একটু রাখিস ধ্যান-
কেউ নাই অর এই ধরাতে-ভগবান কি শয়তান।