(গতকাল বিকালেই শিলিগুড়ি থেকে রওনা দিয়েছি কলকাতা আর তাই রাতে দিগন্তে প্রকাশ দিতে পারি নাই বা কারোর লেখা পাঠ করতে পারি নাই। ৮।৩০ মিঃ সকালেই গড়িয়া পৌছে গেছি। বেলা ১০ টার দিকে একটি সাইবার কাফে খোলবার পর এখানে বসেই এসকল লেখা। সময় মত প্রকাশ দিতে না পারবার জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত)
(অনেক কবিবন্ধুই অনুরোধ করেছিলেন খুকু কবিতাটির পরের অংশটুকু লিখে লেখাটিকে সম্পূর্ণ করবার জন্য। তাই সে অংশটুকু লিখে লেখাটি সম্পূর্ণ করলাম)


“খুকু”(দিগন্তে ৮৬ তম'তে প্রকাশিত)


খুকু গেল নদীর ঘাটে
পদ্ম ফুটেছে,
তার লাগে সে পদ্মকলি
তাই সে ছুটে-
ছে।
মা দিল রব খুখুমনি
কোথায় গেলি তুই,
পাইনে যে-খুজে তোরে
আসমান আর
ভূঁই।
খুখু খুকু করে মায়
দশ দরিয়ার পানি,
হটাৎ খুকু উদয় হলো
হাতে পদ্ম
খানি।


(২য় অংশ)


বুক ফেঁটে যায় আর্ত মায়ের
শঙ্কাতে বয় প্রাণ,
খুকুর সে ফুল পদ্মকলি
ভাঙতে রে আস-
মান।
আর্ত রবে সে ফুল খুকুর
কুচল করে মায়,
নয়ন ঝরে অশ্রু ধারায়
প্রহার করে
তায়।
ছোট্ট খুকু বয়স যে তার
মাত্র হ'ল চার,
পদ্মকলি তুলতে জলে
যায় না যেন
আর।
তারপর সে কান্নায় বয়
অঝোর আঁখির পাতে,
জড়িয়ে ধরে খুকুর বদন
সোহাগ দিতে
মাতে।


"মিলন গান" (কবি সাহিত্যিকের মাসিক মিলন মেলার গান)


আজ এসেছি ডাকছে মধুর-ঝিলমিল্ প্রাণ রোদ্দুরে....,
আজ এসেছি সিন্ধু প্রেমের-
মিলন গানে মিলতে রে....। মিলন গানে মিলতে রে.....।
দিল দরিয়ায় খুশির তুফান, বইছে সাগর মিলন মে...লা,
ধূপ ছায় রোদ আকাশ বারি-লহর তারি
প্রেমের খেলা.....।লহর তারি প্রেমের খেলা......।
আকাশ গাঙে বান ডেকেছে-মধুর কল.....তান,
সাত সাগরের মিলন মেলায়;
উছল ডাগর প্রা..ণ। সাত সাগরের মিলন ধারায়;
উছল ডাগর প্রা..ণ।
স্নিগ্ধ কলি আর ফুটে রয় দল দলে'তে উল্লাসে..তে,
প্রশান্তিরই শ্রুভ্র প্রভায়-গুঞ্জনেতে আর
প্রেমে...তে। প্রশান্তিরই শ্রুভ্র প্রভায়-গুঞ্জনেতে আর
প্রেমেতে।
আজ এসেছি ডাকছে মধুর-ঝিলমিল্ প্রাণ রোদ্দুরে....,
আজ এসেছি সিন্ধু প্রেমের-
মিলন গানে মিলতে রে....। মিলন গানে
মিলতে রে.....।


“মুক্তরাশি”


নদ নদী জল বাংলার তল-মুক্তরাশির ধারা,
সাগর পাহার বন বনানী-
শস্য শ্যামল
ধরা।  
চৌদিকে রব সোনার রবি; দেয় হানা ওই-ধানের ক্ষেতে,
সবুজ সরল প্রাণ সে মোদের
প্রেম ধরি প্রীত গগন
মেতে।
লাস্যময়ী হাস্য মাতা-সন্তান সব বীর যে তার,
বীর্যে আর শৌর্যে মেতে-
ছিনিয়ে যে নেয়
অধিকার।
অধীনতার পাদ প্রদীপে-রইতে না সয় বীর সবেতে,
মুষ্টিতে প্রাণ মন ঢেলে দেয়
ভাষার তরে হৃদয়
মেতে।
বন্যা ক্ষরা দাবদাহ-অঙ্গুলিতে আর ধরে নেয়,
সব সয়ে নেয় বদান্যতায়-
আর্ত কী'বা ঘাতক
বায়।
হাত ধরে হাত আর্তজনায়-প্রেম সাগরে দিতেই পাড়ি,
গগন তলে বঙ্গের শান
নাই উপমা কোথাও
তারি।