“হয়তো বা............”


তখন আমার বিশ বছর বয়স হবে, ইলেকট্রিকাল ঠিকাদারি করি,
মালদা বহরমপূর রায়গঞ্জ ইত্যাদি জায়গায় কাজ হ'ত।
সেদিন বাসে করে মালদা যাচ্ছিলাম,
অন্য সিটে একটি সুন্দরী মেয়ে বসেছিল-সে একা ছিল।
বেশ কয়েকবার চোখাচোখি হয়েছিল তার সাথে।
মালদা পৌছনোর ঠিক কিছুটা আগেই সে আমার পাশে এসে বলে,
ভাল মানুষের মত দেখতে ছিলাম তো!
তাই বোধহয় সে আমায় বিশ্বাস করেছিল,
আমায় বলেছিল-আমি একা এসেছি
আমার বোনের মালদা কলেজে অনার্স নিয়ে ভর্তি করবার ব্যাপার নিয়ে।
আমায় একটু হেল্প করতে পারবেন।
এমন হাতে পাওয়া স্বর্গ কেউ কী ছাড়ে! বললাম ঠিক আছে,
আমি এখানে সব চিনি, সব ব্যাবস্থা হয়ে যাবে।
যাই হোক বাস থেকে নামলাম,
তাকে নিয়েই প্রথমে ব্যাঙ্কে গিয়ে টাকা তুললাম তারপর
আমি যেই হোটেলে উঠতাম, বিশু ছিল সে হোটেলের কর্মচারী-
নামটা ছিল মালদা লজ, সেখানে সিঙ্গেল রুম নিলাম।
আশ্বর্য্য, মেয়েটি একটুকও দ্বিধা না করে আমার রুমেও গিয়েছিল।
ফ্রেস হয়ে তাকে নিয়ে মালদা কলেজে গিয়ে তার সমস্ত কাজ করে দি।
জানতে পারি সে কোচবিহারে নার্সিং ট্রেনিং নিচ্ছে।
সন্ধ্যায় তাকে কোচবিহারের গাড়িতে তুলে দিতে যাই।
তাকে বাসে তুলে দিয়ে কেমন যেন শূন্যতা অনুভব হয়েছিল আর
স্বপ্নাবিষ্টের মতই যেন বলে ফেলি-এড্যেসটা দেবে না!
সে একটা কাগজে তার এড্যেস লিখে দেয়-তখন তো মোবাইল ছিল না!
আমিও আমার শিলিগুড়ির এড্যেস তাকে লিখে দি। সে চলে যায়।
তারপর বেশ কয়েক বছর চিঠিপত্র লেনদেন হয়েছিল,
প্রেম কাহিনী কখনই শুরু হয়নি, শুধু শুভেচ্ছা বিনিময় আর
তারপর একদিন চিঠিপত্র লেনদেন বন্ধ হয়ে যায় হটাৎ করেই।
তার লেখা চিঠিতেই জেনেছিলাম সে কোচবিহার
জামালদহ হসপিটালে চাকরি পেয়ে গেছে।
তারপর ধীরে ধীরে ভুলে যাই তাকে-
কিন্তু আজও হৃদয় থেকে তাকে ভুলতে পারিনি।
হাসপাতালে কোনও পেশেন্ট নিয়ে গেলে সেই চেনা মুখটা খুঁজতে থাকি।
জানিনা, সে যুগে মোবাইল থাকলে কী হত!
হয়তো বা............।।


“ভালোবাসা ভরে অন্তর”


ভালোবাসা ভরে অন্ত….র-নিরন্ত…..র
নব দল কিশলয়ে দলে দলে সৌরভে
পাতায় পাতায়, সবুজের সমা..রোহে
হরিত বলয়ে ঘিরে প্রা………….ন্তর।
ভালোবাসা ভরে অন্ত….র-নিরন্ত…..র।


কূলে কূলে শাখে শাখে গুঞ্জনে বিহু নাচে,
গুঞ্জনে বিহু নাচে, শাখে পাখি ডাকে গাছে,
কূহু কূহ ডাকে ওঠে হি………….ল্লোল।


পল্লবে পল্লবে প্রদীপ্ত দীপে দীপে,
আঁখিতারা জেগে ওঠে জ্যোছ……..নার পাদপিঠে
হৃদায়ত ক……….ল্লোল।


মদিরাতে মন মিলে শতদলে কলি খেলে
দিব্য সে সুরভিতে ভরে যায় প্রা…ন্তর,


ভালোবাসা ভরে অন্ত….র-নিরন্ত…..র
নব দল কিশলয়ে দলে দলে সৌরভে
পাতায় পাতায়, সবুজের সমা..রোহে
হরিত বলয়ে ঘিরে প্রা………….ন্তর।
ভালোবাসা ভরে অন্ত….র-নিরন্ত…..র।


“ভব সাগরের গতি”


জীবনের খেলা, রঙ পাল্টায় ক্ষণে ক্ষণে,
কখনো বা ঊষার আলোক, কখনো
ঢাকা পরে যায় বাদল
বরিষণে।
জীবনের খেলা, রঙ পাল্টায় ক্ষণে ক্ষণে।
দীপ্তিতে রই প্রাপ্তিতে খেই খুশির জোয়ার প্রাণ,
হারিয়ে গিয়ে সাতমহলায়, ভালোবাসার
গান। ভালোবাসার গান।
ভাঙতে মোহ বেশ ভূষণে দুঃখেতে হই জেরবার,
পাল্টে সে রঙ হরিত কোমল
ক্ষণে ক্ষণেই বার-
বার।
মল্লার গান দাঁর বেয়ে হাল একতারার ঐ গান,
মধুর স্বরে হালকা বোলে
বাসতে ভাল
প্রাণ।
আর ঘন মেঘ জমলো আকাশ সুর কেটে যায় বীণ,
তার ছিঁড়ে যায় একতারার ঐ
দুঃখে কাটে
দিন।
বিচ্ছেদ আর সংযোগেতে জীবন মধুর অতি,
কান্না হাসি দুঃখ বেদন
ভব সাগরের
গতি।
জীবনের খেলা, রঙ পাল্টায় ক্ষণে ক্ষণে,
কখনো বা ঊষার আলোক, কখনো
ঢাকা পরে যায় বাদল
বরিষণে।