“সাধন”


সৃষ্টি স্থিতি ও লয় মহাকালের অমোঘ নিয়মে হয়,
সত্য দ্বাপর ত্রেতা আধুনা
কলিতে প্রলয়।
ধ্বংস সোপান শক্তির গান ভক্তির নাই লেশ,
ল্যাজ গোবরে হ্যাচরে টানা
দানবতার ভেষ।
নাদ সে ঘন ঘূর্ণি পাঁকে তত্ত্ব প্রলয় গীত,
মত্ত মরুৎ ধ্বংসের গান-গনগনে আঁচ
ভিত।
আচম্বিতে শিউরে উঠি রক্ত গরল বহে,
অশ্রুতে প্রাণ লকলকে জিভ
ধ্বংস কথা কহে।
মাগো তোমার দু'চোখ ধারা সইতে নারি প্রাণ,
ভয় নেই মা ছাড়বো মসি-
কোতল দিতেই জান।
সাধ্য না হয় সাধব সাধন বাঁধন খুলে দে'না মা'রে,
দুই হাতে দুই কৃপাণ দে'রে-
আর ঝুলিতে অস্ত্র
ভরে।


“আয়োজন”


দুঃখের সাগরে না ভাসলে সুখ পাওয়া যায় না।


বৃথা কেন করিছো রোদন,
সুখ লাগি তব-এ অশুভ
আয়োজন।


প্রিয় জন যবে দুখের ভবেতে, ছোবলেতে করে হিস,
দানিতে অরূপ রতন ধরা সে-
গরল অহঃর্নিশ।


ক্লান্ত হৃদেতে সরোবর কলি, পঙ্কেতে শতদল,
লাবন্য মানিতে দানিতে অরূপ-
শান্ত ও নির্মল।


দুঃখের সাগরে না ভাসলে সুখ পাওয়া যায় না।


বৃথা কেন করিছো রোদন,
সুখ লাগি তব-এ অশুভ
আয়োজন।


“প্রশ্ন”


মন হারালাম অজয় নদী-কল্লোলিনী রূপে,
আর গাই সে কাব্যগাঁথা-গর্ব ধরি
বুকে।
বইছে নদী পাগলপারা-হৃদয় দোলে গাই,
স্বপ্ন যেমন মন মোহিনী-আর প্রেমেতে
রাঈ।
উছল গাঙে বাঁধ ভাঙা তার ভৈরবেতে লয়,
পার ভাঙে সে-ঝঙ্কারে প্রাণ;
রূপখানি তার ভয়।
রুষ্ট নদী হুহুঙ্কারে জবাব দিতেই জাগে,
নাইরে কেন বৃক্ষরাজি? প্রশ্ন যেন
বাজে।
দুকূল ভেঙে দুঃখে মাতা শীর্ণ রূপে বয়,
তির তির তার জলের ধারা
নরম হয়ে যায়।
গাইছি মাতে তোমার গাঁথা গর্বে ধরে বুক,
তোমার নামে ঊষার আলোক
উজ্জ্বল হয় মুখ।