“দূত”


আল্লার দান পাহার প্রমাণ-স্কন্ধে গরল বাস,
ধর্ম সোপান রক্ত লহু-হিংস্র
করাল গ্রাস।
ক্ষুব্ধ পাষাণ হিংস্রক প্রাণ-আঁধার তমায় দিশা,
মন্দির আর মসজিদ ধ্যান
ভ্রান্ত তমা নিশা।
রক্তের স্রোত আর মেদিনী অশ্রুঝরা প্রাণ,
নাই ইজ্জত নাই রে দয়া
দানবতার গান।
তপ্ত ধরা লৌহ কঠিন অধর্মেতে মতি,
আর গরলে হৃদয় ভরা
কঠোর কঠিন অতি।
আকাশ কাঁদে রক্তঝরা নাফ সে লহু বান,
রক্ত লহর ঝঞ্ঝা তলে-ধর্মেতে
অজ্ঞান।
ক্ষুব্ধ পাষাণ হিংস্রক প্রাণ-আঁধার তমায় দিশা,
মন্দির আর মসজিদ ধ্যান
ভ্রান্ত তমা নিশা।
আয় মিলে দি পরান মোদের-মুষ্টিতে মজবুত,
চল রণে দি আজকে পাড়ি
জান্নাতের ওই
দূত।


“ঝড় উঠেছে-চতুর্থ তম"


ঝড় আজিকে হৃদ মনেতে-প্রবল বেগে বয়,
খান খান রব-ভাঙতে হৃদয়
পলক লহমায়।
ঝড় উঠেছে তুফান বারি-ঝঞ্ঝা প্রবল বেগ,
ঝর্ণাধারায় বইছে লহু-গরল
ভাবাবেগ।
ঝড় উঠেছে, ঝড় উঠেছে, ঝড় উঠেছে ভাই,
তড়িৎ গতি বজ্র তুফান-লাটিম গুটাই
তাই।
ঝড় উঠেছে, ঝড় উঠেছে-লহর প্রহর কাল,
সইতে নারি কী নিদারুণ-বৈঠা মাঝির
হাল।
ভাসলো তরী প্রলয় প্রাণে আঁধার তমানিশা,
ধূল ধুসরিত গাঙ সে মরা
নাইকো পথের দিশা।
ভাঙলো রে ঘর চৌচিরেতে-হাস্য খলো-রব,
বাজ তুফানে বাস্তু পানে
করতে কলরব।
ঝড় আজিকে হৃদ মনেতে-প্রবল বেগে বয়,
খান খান রব-ভাঙতে হৃদয়
পলক লহমায়।
ঝড় উঠেছে তুফান বারি-ঝঞ্ঝা প্রবল বেগ,
ঝর্ণাধারায় বইছে লহু-গরল
ভাবাবেগ।
ঝড় উঠেছে, ঝড় উঠেছে-
ঝড় উঠেছে আজ।


“নাগিনীর নাচ”


হিংসার বানে তপ্ত মেদিনী দৃপ্ত কন্ঠে তাই,
বিশ্বশান্তি মানবতার, গানে সে গেয়ে
যাই।
আছিছে ধেয়ে করাল রবে-তেজস্ক্রিয় জ্বালা,
মিটিতে নিশান মানব সমাজ
করিতে ফালা ফালা।
নাগিনীর নাচ হলাহলে প্রাণ-প্রলয়ের সঙ্গীত,
রুদ্রবীণাতে প্রাণ ধারাতে, আতঙ্ক
ভয় ভীত।
পদে পদে ভয় শ্বাপদো শঙ্কা-ঢঙ্কা নিনাদ রব,
ঈশ্বরেতে আর ডেকে যাই-শান্ত
করো ভব।
নিখিলো ব্যোমেতে অশ্রুর বান-গহনো নিশায় তমা,
বেদুইন প্রাণ গরলো থাবাতে-লহরো
প্রহর গোনা।
বিশ্বদেবেতে আজি আমি কহি-হামবড়া ফেল ছুড়ে,
মানবো দেশেতে মানবের লাগি
উঠিতে দাঁড়াতে ঘুরে।
ঘূর্ণিত ঝড়ে কুন্ডলি কাখ-ধ্বংস প্রলয় গীত,
রুধিত করো-সে করাল কুপিত
দানবতা সঙ্গীত।
ভ্রষ্ট লগন দুষ্ট দিশা-খল মতি জান প্রাণ,
জাগতে রে ভাই সরল পথে
গাই সে প্রেমের গান।
গাই সে প্রেমের
গান।