"হাসুন আর সুস্থ থাকুন"


"বুমেরাং"


ধূর্তজি সেন চালাক অতি পাহাড় লাগান বন্দরে,
লোক লস্কর হাতি ঘোড়া-লাটিম ঘোরান
মন্দ রে।
মন প্রতি মন কাঁকর পাঁচ-কিলোর হিসেব সিধেসাধা,
পটল রাঙান সবুজ খুনি-রঙ সবুজের
গোলক ধাঁধা।
চায়না হতে আমদানী ডিম-খানদানী সব হাতে গড়া,
আর মুনাফা তার গদি ভার-পাইসা গুনেন
ঘড়া ঘড়া।
মস্ত বড় গোডাউনে-ডলোমাইটের পাহাড় লাগে,
দিন রাত মান কাজ চলে তার-কাটতে সিমেন্ট;
ব্যাগে ব্যাগে।
কাটিং খানি হামবড়া ভাব সুহৃদ তার বন্ধু নেতা,
আর পুলিশে হাত বড় তার-আছে অনেক
মন্ত্রী কেতা।
হরহরিয়ে গড়গড়িয়ে ব্যাবসাখানি রমরমা তার,
চোর পুলিশে মামু খালু-ভীষণ রকম
ব্যাপার স্যাপার।
সেদিন ভায়া কান্ড বড় ধূর্তজি সেন ব্রিজের তলে,
গাড়িখানি চ্যাপ্টা চিঁরে-হার গিলগিল
সদলবলে।
ব্যাপার খানি তেমন কিছুই-বুঝতে কেন! পার না ভাই,
তার ঘাপলা তারি সিমেন্ট-ঠিকাদারের
রোশনাই।


“জ্বালা”


কই কী আমি, কইব কথা-কই আমি ভাই কাহারে,
দুই দুইখান সুরমা টানা-হলুদ বরণ
বাহারে।
হলদেটে রঙ সোনার বদন হীরে মোতির দলা রে,
ওষ্ট কোমল অঙ্গ ললিত কন্ঠ মধুর
ভালা রে।
কইতে কথা ভয় লাগে ভাই সতীন বড় জ্বালা রে,
দুই দুইখান ঘার মটকায়-ফেলায় দিবে
হ্যালা রে।
তাই তো ভয়ে দুরেই থাকি দারুন কঠিন প্যালা রে,
পালাই পালাই এ থান হতে-আইসে বোধহয়
পরলো রে!


“সন্যাস”


ফুট ফুট কাঁদো ক্যান
ফুট ফুটে জ্যোছনায়,
কূট কূট হুল কেন
প্রেম ধারা বাস-
নায়।
নাই কলি উড়ে গেছে
তের নদী পারেতে,
হাল ছেঁড়া পাল ভাঙা
বল নাই দাঁ-
রেতে।
দারি মুচ রাখো ভাই
সন্যাস ভাবেতে,
হরি হরি বোল তোল
মালা নাও গ-
লেতে।
বুঝিলেন কত্তা।