“পারাবার”


জীবন দূরুহ বেদনার কলি হেলায় করিনু পার,
সংগ্রাম এক দারুন কঠিন
অশান্ত পারা-
বার।
অভিষ্ট লভিতে কাঁদিনু গাহিনু রচিত মাল্য ফুলে,
সহসা ধাবিত ঝড় সে আকূল
সজ্ঞানে যায়
ভুলে।
হার না মেনেছি গাঁথিনু সে ফুল রজ্জুতে পারাবার,
জ্ঞান সে চক্ষু মেলিনু সহসা
নাহি কিছু হারা-
বার।
প্রেমেতে সিক্ত হৃদয় বহিনু নাহি ক্ষেদ বিচ্ছেদে,
মোহ মায়া ক্ষোভ লভিতে সিদ্ধি
নাই সে প্রাণেতে
ক্ষেদে।
জীবন দূরুহ বেদনার কলি হেলায় করিনু পার,
সংগ্রাম এক দারুন কঠিন
অশান্ত পারা-
বার।


“ভোটসাগর”


বাহ রে বাহ!
বুলবুলি রে বুলবুলি, আয় না দেখি সুর তুলি,
প্রেম পিড়িতির বাঁধন খুলে
চল না আজি ভোট
খেলি।
মিহিন গলার পাল তুলে দি, ভোটসাগরের মিলন মাঠে,
প্রতিশ্রুতির বন্যা দিতে
চল না আজি মাঠে
ঘাটে।
রাস্তা হবে মাখন মাখা সাঁকোর গড়াগড়ি,
রইবে না আর আর্ত আতুর
চল না আজি পায়ে
পরি।
পরীর দেশ গড়তে ধরায় লন্ডন কী ভেনিস ওরে,
চল না আজি খেলনা খেলি
আজ সকাসে দোরে
দোরে।
বাহ রে বাহ!
জিতলে ভোটে রইবে না আর পকেট গরম রবে,
বাড়ি গাড়ি দালান কোঠা
আর বাংলো
হবে।
আধেক টাকা প্রকল্পেরই বুলবুলি তুই নিস,
বাকি আধেক অর্ধ আমার
হাত করে নিশ-
পিশ।হাত করে নিশপিশ।
বাহ রে বাহ!
বুলবুলি রে বুলবুলি, আয় না দেখি সুর তুলি,
প্রেম পিড়িতির বাঁধন খুলে
চল না আজি ভোট
খেলি।ভোট খেলি।
খেলি রে বাবা,
খেলি।


“গো মাতা”


গো মাতা গো চোনা ও গোবর,
কাল বিকালে হল্লা দারুন
আজব গজব খবর।
কেউ তার মান খুবলে খেল আর মান্যতা,
শূন্য বুকে আর্তনাদের সুরের
পূর্ণতা।
আর ফরিয়াদ উঠল সে ঝড় বইল বায়ু বেগে,
দশ দিশা মান কাঁপলো ধরার
উঠল সবাই রেগে।
গাই যে মাতা দুগ্ধ সে দেয় গোবর অমৃত,
পাঁক ঘরেতে পাঁকায় খাবার
দীন গরীবে যত।
সুষম আহার পুষ্টি দিতে গাই যে মোদের মাতা,
শির চরণে ঠেকাই যে তার
লিখতে তারই গাঁথা।
রোগ জীবাণু আর দূরে রয় গোবর দাওয়ায় লেপি,
আর বিতানে শস্য ক্ষেতে-লিখতে
দিনলিপি।
মন্দির যে ঠাই দি তাই গাই যে মোদের মাতা,
চোনায় তারি পুষ্পে ধরি-চরণামৃতের
কথা।
তাই অপবাদ সইতে নারি গাইলে কটু কথা,
লিখতে চলি গর্ব বুকে-গাই সে
উপকথা।