“অঞ্জলি”


কি অপরূপ হেরিনু ঊষায় প্রভাতিক শোভা,
লুব্ধ নয়নে চাহিয়া রহিনু-প্রদ্যুত
ক্ষণপ্রভা।
গাঁ'এরই ভূমেতে শস্য শ্যামলো স্বর্ণালী অঙ্গেতে,
রঙ্গ বিহারী নেহারি সে রূপ
মাতে বঙ্গেতে।
নয়নো লোভিত মুক্তির গীত কুসুমো গাহিছে গীতি,
লাবন্যে মাতে দশ দিশা মান
হৃদায়ত সম্পৃতি।
কুঞ্জে কুঞ্জে গাহিছে বিহগ পুঞ্জে পুঞ্জে অলি,
শঙ্খচিলেতে সে গাঙ বহিছে
দিতেছে অঞ্জলি।
পারাবার ধাম গোকুলো নিবাসো প্রণমি তোমায় মাতে,
জন্মে হেথায় বসুধা স্বর্গে-আজিকে
মাতিনু প্রাতে।


“আলোছায়া”


আলোছায়া মাতোয়ারা অজয়ের কুলু জল
হাটু নদী পার হয় গরু গাড়ি
সারি ঢল।
মাঝি তারা নাও ধরা বৈঠাতে ধরা বয়
ছোট ছোট ছেলে মেয়ে কচি কচি
কথা কয়।
বঁধু তারা কলসিতে ঝুরু ঝুরু পানি ভরে
ধোপানিরা ধাপ ধাপ কাপড়েতে
পানি ধরে।
কুল কুল গতি তায় অজয়ের জলোধারা
ঊষাকালে সরু সরু সাদা সাদা
বক ধরা।
জুল জুল জোনাকিতে সাঁজকালে পাটে সই
কালুমিঁয়া জাল হাতে মাছ আর
পেল কই!
বক বক করে তাই দিন নাকি ভাল নাই
কুপি ধরে বল্লাতে রাতে মাছ
ধরে তাই।
ফুল ফুল সাদা সাদা রাধা কাশ বনে যায়
কানু মিঁয়া পিছে পিছে চুপি চুপি
পিছু নেয়।
রাত ভাই বেশ হ'লো আর বেশি হবে নাকো
আজ তাই এইটুকু নিয়ে ভাই
খুশি থাকো।


“প্রেম”


যুগান্তরের ঘূর্ণিপাঁকে-কালের স্রোতের আঁকে বাঁকে,
সেই চোরা মন অবুঝ আমি-স্বপ্নগাঁথায়
ছবি আঁকে।
চোরাবালির ভুলভুলিতে ধান খেয়েছে বুলবুলিতে,
খাজনা কী সে দেই, সখী আমার হৃদ চেয়েছে;
প্রাণ কেন নয় সই?
পরান আমার আর কেঁদে যায়-যুগ হতে যুগ ধরে,
কেমন করে বোঝাই সখী, প্রেম জেগেছে
ওরে!
ভ্রমরা যেমন সিক্ত কলি শতদলের দল দ'লেতে,
জ্যোছনা যেমন আলোক ছড়ায়
নাচতে ময়ূর মেঘের দোলে।
সজল ঘন প্রেমের বারি উছল নদের জলের ধারা,
বাঁচতে রে সই কেমন করে-তোমার বিনে
উজল ধারা।
তাও কী রে সই মন ধরে না-হৃদ দরিয়া্য় ক্ষরা,
চাইলে সখী মুষ্টিতে হৃদ-প্রাণটি
হাতে ধরা।