“ফল্গুধারা”


অঙ্কে অঙ্কে জীবন গাঁথা-অঙ্কুরে হয় চারা,
তরল গরল হার হিমেতে
জটিলতায় ভরা।
জন্মে ধরায় হিংসার গীত বিদ্বেষেরই বাণ,
পল ভর মা সুখ না পেলাম
দুঃখেতে হয়রান।
সংসারেতে ঝঙ্কারেতে আশ মেটেনা মা,
দাউ কুড়ালে গরল মতি
আর সে বাসনা।
দিক বিদিকে বেড়াই ছুটি-মন্থনেরই গান,
গাইতে নারি সইতে নারি
বইতে নারি প্রাণ।
আজ সে দিশা পেলাম মা'গো-আকাশ নাদে বাণী,
দুঃখ দরদ চূর্ণ রে মা, আর না
ঘানি টানি।
রবের দেশে শান্ত বেশে হৃদ আকাশে চলি,
কাব্য গাঁথায় ফল্গু ধারায়
ঈশ্বরেতে মিলি।


“কৃষ্ণকলি”


কী হব রে কৃষ্ণকলি,
পরের ধনে হাত বাড়ালি,
ঝোপ বুঝে কোপ সেই মেরে তুই
কন্ঠে মধুর ব্রজ-
বুলি।
কী হবে রে কৃষ্ণ কলি
আর মনে তুই হার কাঙালি,
জাত বজ্জাত হারামজাদা,
শাক দিয়ে মাছ রঙ-
রাঙালি।  
শ'কোটি 'হা লাগবে তোর ওই,
করিস না ধন-আর সে বড়াই।
পাল তোলা তোর ডুববে ডিঙি,
আর পলেতে খল সে
লড়াই।
জেলের ঘানি তেল কশা দিন,
আর নয় রে-খুব বেশি দিন।
জপবি রামের নামটি ভবে,
করুণ রসে সিক্ত
সেদিন।
কী হব রে কৃষ্ণকলি,
পরের ধনে হা্ত বাড়ালি,
ঝোপ বুঝে কোপ সেই মেরে তুই
কন্ঠে মধুর ব্রজ-
বুলি।


“সম্ভোগ”


ডুবন্ত কবিতার পাতা,ধরতে রে সই-আমার অন্তরে,
আর ঝড়েতে কাব্য বানে
হৃদয় প্রান্তরে।
আয় রে খোকন গান গেয়ে যা-সুর তুলে দে লিপি,
আর সে দৌড় ভাগতে রে সই
লিখতে দিনোলিপি।
শিশির কণা চোখ তুলে কয় আমায় লিখো বাপু,
পাইসা তো-দেয় না রে ভাই, কাব্যতে ছাই
ভোপু।
ভোপুর সুরে লগন মাতি খিস্তি খামার খাই,
ইস্তিরি মোর গান মানে না
খাদ্য খাবার চাই।
তাই কী শুধু রঙের বাহার-ঠাট বাট তার মতি,
বুঝলে কবি, কয় সে শুধু, কাব্য
ভীমরতি।
পাইসা চাই, আর শানেতে-আউট লুকে ভক্তি তার,
আর জ্বালাতন সইতে নারি
কাব্যেরই কারবার।
চিকেন মটন আর বিরানি, পোলাও পায়েস ভোগ,
দুচোখ ধারা বইতে আমার
কাব্যেরই সম্ভোগ।