বটগাছ গাছের রাজা আর কালবৈশাখী
প্রাকৃতিক বিপর্ষয় এর রাজা।  
দুজনের মধ্যে যুদ্ধ চলছে।
কালবৈশাখী তার সমস্ত শক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে বৃক্ষরাজের উপর  
বৃক্ষরাজ ইউক্রেনের মত তার কাছে হার মানতে
রাজি নয়।
শাখা তার লুটিয়ে পড়ছে ভূমিতে আবার সে সোজা হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।
রাজায় রাজায় এ যুদ্ধে
গরিব মানুষের বাড়ি ঘর ভেঙে তছনছ হয়ে পড়ছে।
কবি আগ্রহভরে উপভোগ করে সে অসম যুদ্ধ দেখে যাচ্ছে।
তার হাতে মালা।
বিজয়ীর গলায় কবি মালাটি পড়িয়ে দেবেন।
একসময় বৃক্ষরাজ ধরাশায়ী হলো আর মূলসমেত উপড়ে পরে গেল।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী কালবৈশাখীর গলায়
কবির মালাটি পড়িয়ে দেবার কথা থাকলেও
সে পারলো না তা করতে।
তার মন ভেঙে গেছে, মুখ বিবর্ণ হয়ে পড়েছে,
হাত থেকে তার মালা পড়ে গিয়েছে,
কারণ কবি মনে প্রাণে চাইছিলেন যে বৃক্ষরাজের যেন কোন ক্ষতি
কালবৈশাখী করতে না পারে।
যে কালবৈশাখী গরিব লোকের ঘর ভেঙে দিয়েছে ,
তছনছ করে তান্ডব মাতিয়ে এত ক্ষতিসাধন করেছে
তার গলায় কবি কী করে
মালা পড়াতে পারে?
কবি তার মাহাত্ম্য হরিয়ে ফেললো
আর তাতে তার মাথা হেট হয়ে গেলেও,
তার সম্ভ্রম নষ্ট হলেও সে পারলো না
কালবৈশাখীর গলায় বিজয়ীর মালা পড়াতে।
কবি যেন রুদ্ধ কারার বীরের মত হতে হলো আজ।
বীর রুদ্ধ কারায় থাকলে যেমন যুদ্ধ করতে অক্ষম হয় তেমনিই
কবি মানবিক অনুশাসনের বন্ধনে আবদ্ধ আর তাই
যে গরিব মানুষের ক্ষতিসাধন করেছে
তার গলায় সে মালা দিতে পারলো না
অনুশাসনের বন্ধনে আবদ্ধ থাকার
কারণে।


আজকালকালকার বিখ্যাত লেখকেরা এভাবে কবিতা লিখে থাকেন। তাদের পথ অনুসরণ করে লিখলাম যদি বিখ্যাত হতে পারি তাই।