(পদ্যছন্দ বনাম গদ্যছন্দ, কোনটা ভালো লাগলো আপনার)


“জীবন”


মনের মিলন না হলে অধরাই থাকে আঙুর
টক টক বলে কাঁটাতে হয় দিন ক্ষণ।
মেকি সৌহাদ্যে্র বহমান নদীতে
জেগে ওঠে বেদনার
বালুচর।


চোরা বালিতে ডুবতে চায় মন।


বাহ্যিক আরম্বরেই সুখের সুলুক তলাস;
প্রদীপের তলদেশে ঘনীভূত হতে থাকে
আঁধার।
অশ্রু গঙ্গার তীরে বসে ভানুকরের সন্ধানেই
কেটে যায় জীবন।


“ফলা”
(বাল্যে বিবাহ হলে একটি মেয়ের মনে প্রাণে কী বিষম ব্যথা জাগে কবিতায় তা বলারই প্রচেষ্টা)


অভাগিনী এক নীরবে কাঁদিছে; ক্ষর বায়ে হৃদে
প্রলয় গ্রাসেতে মেদিনী হরিছে, ক্লান্তি ও
অবসাদে।
বিষের বীণেতে লহুতে ঝরিছে; হতাশা করিছে গ্রাস
অলোক অমোঘ নিদানে সমাজ, নিরালাতে
বসবাস।
বাল্য সে কাল ধূলায় মিটিলো ধূম্র করাল জালে
বর সে জুটিলো গৃহস্বামী তার, আছড়ে পরিল
ভালে।
দুহিতা সে নাই বঁধুর বেশেতে কপোল জড়ায়ে বারি
অশ্রু সে দান ভালেতে সিঁদুর; তীক্ষ্ণ ফলায়
তারি।
নীরবেতে রয় স্তব্ধ হৃদয় নাহি কেহ শুনিবারে
করুণ আঁখিতে সজলো সে হৃদ শূন্য সে
পারাবারে।


“কর্মকারের হাতুর”


ফুস মন্তর অনেক হলো এবার সিধে পথে
ধরবো চিঁপে চুলের মুঠি; ভগ্ন মনো-
রথে।
রথের চাকায় পিষ্ট হবে যতেক পিলা গেলা
লাথ মেরে আজ ভাঙবো কোমর, চমকে দিব
পিলা!
প্যাদায় দাদা বৃন্দাবনে ছাল উঠানোর ব্রত
কর্মকারের হাতুর দিয়ে; হানবো অবি-
রত।
তাও জুদি না ছাড়লো সে ছাল
এসিড দিব ঢেলে; কর্মকার জুগান দিবে
হাসতে অব-
হেলে।