Sanjay Karmakar
· 3 mins ·
(কবি যোগীন্দ্রনাথ সরকার মহাশয় তাঁর লেখা কবিতায় এক এক করে হারাধনের নয়টি ছেলেকে মেরে ফেলেছিলেন, আমি আমার মন্ত্রগুণে একে একে নয়টি ছেলেকেই বাঁচিয়ে ফেরত নিয়ে এলাম)
হারাধনের শেষ যে ছেলে
বনের পথে যায়,
বৃক্ষ তলে তাপস সে এক
মুণির দেখা পায়।
নয়টি ভায়ের দুখের কথা
মুণির কাছে বলে,
জয় মা তারা, বলেই মুণি
তুললো তাঁকে কোলে।
ত্রিশুল হাতে চললো মুণি
বোয়াল যে ছাও খেলো,
মন্ত্র ফুঁকে জল ছিঁটাতেই
ছাও, পেট হতে বের হলো।
হারাধনের দুইটি ছেলে
জীবন পেলো দান,
আছাড় খেয়ে মরলো যে ছাও
সেও পেলো বরদান।
হারাধনের তিনটি ছেলে
তা ধিন তা ধিন নাচে,
মন্ত্র সে তাঁর মুণির গুণে
আর এক ছাওয়াল বাঁচে।
হারাধনের চারটি ছেলে
বাঁচলো একে একে,
আর এক ছেলে আনলো মুণি
ব্যোম বোলা বোল ডাকে।
হারাধনের পাঁচটি ছেলে
নৌকা বাইচ খেলে,
দু হাত জলে ডুবিয়ে মুণি
আর এক ছেলে তোলে।
হারাধনের ছয়টি ছেলে
গাছের তলে গেলে,
ভষ্ম ও রাখ, ছিটায় মুণি
একটা জীবন পেলে।
হারাধনের সাতটি ছেলে
দাওয়ায় বসে খেলে,
পেট ফাঁটা যে ছাও সেটা
জীবন মুণি দিলে।
হারাধনের আটটি ছেলে
হারিয়েছিল যেটা,
হিং ক্রিং ছট মন্ত্র ফুঁকে
আনলো মুণি সেটা।
হারাধনের নয়টি ছেলে
মুণির গৃহে যায়,
কুড়াল কাটা সে ভাই যেটা
সেইটা ফিরে পায়।
হারাধনের দশটি ছেলে
একটি হলো পেলে,
একটি হলো মন্ত্রী দেশের
আটটি এখন জেলে।