সেদিন বেকার যুবক দের নিয়ে যে আন্দোলন শুরু করেছিলাম, শুরুতেই জিতে নিয়েছি। জলপাইগুড়ির ডি এম সাহেব জেলা শিল্প কেন্দ্রের জি এম সাহেবকে শুধু ধাতানীই দেন নাই; যে ডি এল টি এফ সি মিটিং নয় দশ মাসে একবার হতো না আর লোন প্রোপজালগুলি অনেক নয় ছয় করে জেলা শিল্প কেন্দ্র থেকে ব্যাঙ্কে স্নসর হতো, তা এবার থেকে প্রতি মাসে হবে বলে তাকে হুকুম দিয়েছেন। তবে তিনি এখানেই পার পাবেন না কারণ আমি সে কম্পেন  খাদি ভিলেজ ইন্ডাস্টির ডাইরেক্টর থেকে শুরু করে জয়েন্ট সেক্রেটারি, এম এস এম ই মুম্বাই থেকে শুরু করে প্রধান মন্ত্রীর অফিসেও পাঠিয়ে দিয়েছি। কম্পেনের বয়ান এরকম।


To,      Date:  01/10/2019
The Jt. Secretary
MSME
New Delhi
                                 Sub: Harassment to PMEGP entrepreneur
         Ref: PMEGP entrepreneur of Jalpaiguri District
(West Bengal)
Sir,


We, the entrepreneur of PMEGP of different places of Jalpaiguri district (W.B) have submitted our Loan proposal under this scheme 7-8 Months ego.
The General Manager of D.I.C , Jalpaiguri repeatedly asking us to contact with him for interview but in this nine month  no DLTFC meeting neither held nor any proposal sponsored to any bank.
We have gone through the guidelines of PMEGP Scheme through internet search and came to know that DLTFC meeting should be held at least once in a month and if possible another one in the same month.
We understand that the GM-DIC, Jalpaiguri (W.B), is doing harassments to us and making  unnecessary delay to sponsor the loan proposal to the bank and abide by no rules & regulation of PMEGP and so, we lodge a complaint against him duly signed by 50 (fifty) PMEGP entrepreneur to the honorable District Magistrate.
We therefore, would like to request you to kindly take necessary action and oblize.
Thanking you.


Yours faithfully
                                                                                        
                              (Sanjay Karmakar & other PMEGP entrepreneur)


Enclosure:  Copy of Complaint lodge to DM, Jalpaiguri, (W.B)  duly signed by fifty PMEGP entrepreneur.


(বিঃদ্রঃ আজ লোকাল নিউজ পেপারেও সে খবর ছাপা হয়েছে)


আগামী ৪ তারিখে এল ডি এম (lead district manager) ঘেরাও অভিযান  চলবে আমার। প্রায় দু'শ জন এন্টারপ্রেনুয়ার নিয়ে তাকে ধরবো আর ব্যাঙ্ক গুলিকে যাদের সিকিউরিটি দেবার ক্ষমতা নেই তাদের CGTMSE তে অন্তভুক্ত করে লোন দেবার ব্যাবস্থা করে দেব। CGTMSE (CREDIT GUARANTEE FOR MICRO & SMALL INDUSTRIES), যেখানে এক কোটি টাকা অবধি লোন ব্যাঙ্ক বিনা সিকিউরিটিতে দিতে পারে। তাই বলছি কবিবন্ধুরা;-


জায়গা মত কায়দা করে
ধরলে চুলের মুঠি,
ভ্রষ্টাচার ও ভ্রষ্টাচারীর
কোমড় যে যায়
টুটি।
বজ্র আটুন ফস্কা গেড়ো
ভ্রষ্টাচারীর চাল,
জটিলতা কুটিলতায়; তারা,
ফেলতে চলে
জাল।
সে জালেতে নেই কো জোর
মাকরসার ওই বাসা;
লালার সাথে ধূলা মেখেই
রঙ তামাসা
ঠাসা।
হল্লা বোলে জয় মা বলে
মারলে পুরান জুতা,
সে জাল ছিঁড়ে যায় নিমেশেই
বন্ধ হাগা
মোতা।
তাই সদলে চলুন আজি
উলোট পুরান লিখি,
আজ থেকে জাল ছিঁড়তে পথে
বন্ধ লেখা
লেখি।


(আন্দোলন শুরু করবার দিন আমার লেখা)


রম্য বিদ্রোহী লেখা, "কালা রে কালা"
- সঞ্জয় কর্মকার
(ভ্রষ্টাচারের বিরুদ্ধে এবার সরাসরি স্ংঘাতে নেমেই গেলাম। জলপাইগুড়ি জেলা শিল্প কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার। পি এম ই জি পি এন্টারপ্রেনুয়ার দের লোন প্রপোজাল দীর্ঘ নয় মাস ধরে আটকে রেখেছেন। যেখানে গাইডলাইন অনুসারে এক মাসের মধ্যেই যে কোনও প্রপোজাল ব্যাঙ্কে স্পন্সর করতে হয়। আমি এসব লোন এর প্রোজেক্ট রিপোর্ট তৈরি করে থাকি। তার সাথে কথা বলবার জন্যে আমি নিজের নামেও একটা প্রপোজাল জমা করে দেই। সেটা খুব কাজে লেগেছিল কারণ তিনি আমাকে প্রথমেই জিজ্ঞাসা করেছিলেন, আপনি কে? আমার সাফ জবাব, আমি বেনিফিসিয়ারী। কাগজ তার মুখে ছুড়ে দি। আজ ৫০ জন বেনিফিসিয়ারী নিয়ে তাকে আর সার্কুলার নিয়ে তাকে তার চেম্বারেই আটক করি। প্রতিনিধি হিসাবে আমিই কথা বলি। সে আমার কোনও কথার সদুত্তর দিতে পারে নাই। তার মুখের ওপরেই তাকে বলি এবার আমরা ডি এম থেকে সমস্ত সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আপনার নামে কম্প্লেন করবো। যথারীতি ডি এম সাহেবকে লিখিত কম্পেন দেই সবাইকে নিয়ে গিয়ে তারপর মিডিয়া অফিসে জানানো হয়। আমি ঠিক করেছি, সার্কুলার অনুযায়ী প্রতি মাসে লোন প্রোপজাল স্পন্সর করবার ব্যবস্থা করেই থামবো। ফিরে এসে সরাসরি এখানেই লেখাটি লিখলাম।)


কালা রে কালা! জানিস কী তুই তোর পিছনে পড়লো কে!
ঠ্যাং ভেঙ্গে তোর চামড়া ছাড়ায়,
উথাল পাথাল করবে
রে।
জল ঘোলা তুই করলি অনেক এবার তার ঐ মাসুল চুকা
চেয়ার টা তোর কেড়েই নিবে,
মরবি রে তুই সদল
ভুখা।
ভুলভুলিতে বুলবুলিতে খেলিস রে তুই বেকার নিয়ে
শালিক টিয়া হাসছে রে দ্যাখ,
তোর বদনে সুসু
দিয়ে।
হার হাভাগা পিণ্ডি গিলে; আটকে রে তোর গেছেই গলে
রাম ছাগলের পো বানাবো, তোকে;
পায়ের তলায় জ্যান্ত
ফেলে।