"শাপলা"
ভয় লাগে দুধে ভাতে
কতদিন আর যাবে;
করোনার দেশ হতে
কবে সবে ছাড়া
পাবে।
হানদায় শান দায়
টেনে টেনে লম্বা;
গ্রীবা তার ছিলছিলে
বলে ছিল
বুম্বা।
একটানে হেঁইয়ো
দুইটানে আরো বাড়ে
তিন টানে ভেঁউ ভেঁউ
কাঁদে সবে ঘরে
ঘরে।
রেশনের আটা চালে
স্ত্রীর নাই ভক্তি;
মুদি তাই লাল চোখ
মেপে নেয়
শক্তি।
শক্তি তো ক্ষয়ে ক্ষয়ে
ফুটা হলে টোপলা;
কি জে হবে ভাবি তাই
খাব কি গো
শাপলা।
"চলে এসো"
চলে এসো আজি এ ধরা; ক্রন্দনে বাহিত কূল
চলে এসো আজি এ ধরা ছায়িছে শতেকো ধূল।
চলে এসো আজি এ ধরা স্বস্তি নাহিকো পল
চলে এসো আজি এ ধরা হারায়েছে
বাহুবল।
চলে এসো আজি এ ধরা বেদনার পারাবারে
চলে এসো আজি এ ধরা রুধিতে নাহিকো পারে।
চলে এসো আজি এ ধরা স্তম্ভিত হলাহলে
চলে এসো আজি এ ধরা মৃত্যুর
পদতলে।
চলে এসো আজি এ ধরা ধরিতে সে হাল দাঁড়
চলে এসো আজি এ ধরা, এসো হে সখী;
দীনো জনে করি
উদ্ধার।
"কলঙ্কিত চাঁদের ইতিহাস"
অসহায় নিপীড়িত জনগনের মাথার উপর দিয়ে বইছে জল।
শুরু হতে চলেছে কঠিন জীবন সংগ্রাম।
খাদ্য অন্বেষণের সংগাম।
সেদিন, সেদিন লুণ্ঠিত হবে রাজ।
চাবুকে চাবুকে লোহিত হবে হিংস্র কুলাঙ্গার ভ্রষ্ট পথের দিশারী।
রক্তিম ভুমে রচয়িত হবে জীবনের উপকথা।
জ্যোছনা বাসরে লিখিত হবে কলঙ্কিত
চাঁদের ইতিহাস।
সেদিন, সেদিন আমার পিছে
ডাক দিও না
মাগো।