"আগুন দল-২"


আজিকে সোপান ধ্বংস তলে ফেনাইছে গরলো বিষ,
মৃত্যু পলেতে মাতম মানায়
হিংসা অহর্নিশ।
দিকে দিকে ধায় অশান্ত বায় বারুদের নিশানাতে,
আবাল বৃদ্ধ বনিতা শিশু, আজিকে
খাদের কিনারাতে।
গৃদ্ধ আকাশ কেড়েছে বাতাস নিঃশ্বাসে নাই প্রাণ,
দানব আজিকে চরাচর বায়
হিংসা দ্বেষের গান।
আয় রে আজি ধরিতে বাজি প্রাণ সে মুষ্ঠি ধরি,
আয় রে আয় বীর সবে আয়
আগুন সে দল গড়ি।
আসবি কি'না বল দিকিনি কৃপাণ হাতে আজকে ধরা,
জয় মা বোলে আগুন তলে
রক্ত লহু তপ্ত করা।
মা বোনেদের আর শিশুপ্রাণ মারছে যারা মুক্ত হাতে,
রক্ত নদী আজ ঝরাব, আজ
সমরে মুলাকাতে।
আয় রে আজি ধরিতে বাজি প্রাণ সে মুষ্ঠি ধরি,
আয় রে আয় বীর সবে আয়
আগুন সে দল
গড়ি।


“কবিরা কখনও ব্যর্থ হয় না”


কবিরা কখনও ব্যর্থ হয় না।কবিরা কখনও ব্যর্থ হয় না।
এক দিন না একদিন ঊষার আলোকে অবশ্যই ছেয়ে যাবে পৃথিবী,
অপার সৌন্দর্য্যের ডালি সাজাবে বিশ্বকর্মা,
চকিত শিহরণে জাগৃত হবে শতদল,
কোমলে কোমলে ছেয়ে যাবে অন্তর,
সুবাসিত প্রাণে জলতরঙ্গ ঢেউ খেলে যাবে সুধাবারি,
সুখের প্লাবণে ভেসে যাবে বসুন্ধরা।


কবিরা কখনো ব্যর্থ হয় না, কবিরা কখনো ব্যর্থ হয় না।


হাহাকার অবসানে হরিৎ ক্ষেত্রে
ঢেউ খেলে যাবে কনক রাজির প্লাবন,
পত্র পুষ্প সজ্জিত হবে বৃক্ষরাজি
বিহগ কলতানে ভেসে যাবে ধরাতল
এক সাগর বেদনার অবসানে
চির বসন্তের হবে সমাগম।


কবিরা কখনো ব্যর্থ হয় না, কবিরা কখনো ব্যর্থ হয় না।
এক দিন না একদিন দূরীভূত হবে কুসংস্কারের তমস কালো শৃঙ্খল,
ধর্ম বিদ্বেষ হীনতার হবে চির পরিসমাপ্তি,
উল্লাসে হেসে উঠবে মেদিনী,
প্রাণে প্রাণে জেগে উঠবে অনন্ত প্রেমের ফল্গুধারা,
আনন্দে অশ্রুসিক্ত হবে বসুন্ধরা,
মায়ের মুখে ফুটে উঠবে হাসি,
ভগ্নী তনয়া কন্যা, মুছে যাবে কলঙ্ক শৃঙ্খল
প্রাণের আকাশ মিলে দিবে শ্রুভ্র বলাকার সারি,
সানন্দে ঘোষনা হবে সগৌরব বিজয়ের গাঁথা।
আমরা শ্রেষ্ট, আমরাই এ জগতের শ্রষ্ট জীব
পাসবিক নই, পাসবিক নই, মানুষ আমরা।
গাহিবে কবির জয়োগান।


আজিকে তাই ফরিয়াদে ভাই গর্জন দেই ধরা,
জীর্ণ যতেকো ছিঁড়ে ফেলে দি
গড়িতে মধুর বসুন্ধরা।
আজিকে তালেতে রুদ্র প্রহর ঢঙ্কার দেই রণ,
আজিকে পাষাণ মর্মর প্রাণ
সাধিতে কঠিন পন।
মল্লার বেগ বৈঠা হাতে কান্ডারি দেই সাথ,
রিক্ত ধরা কান্না ঝরা-আকুল
বাড়াই হাত।
শৌর্য শান শৌকত আর প্রেমের দেখাই দিশা,
কঠিন বাঢ়ে বুক ভেঙে দি
ঘুচাই তমানিশা।
অন্ধ যতেক ধনের তলে শ্মশান দেখাই পল,
এক পৃথিবীর জ্ঞানের আলোক
দেখাই তাদের বল।
কান্না হাসির দ্যোদুল দোলে ব্যথায় তাদের বাইতে রই,
বৈঠাখানি হাল না ছেড়ে-অমরাবতীর
সীমাই ছুঁই।  


“খল”


সকালে উঠিয়া আমি পেন্টোড্যাক গিলি
গিলি গিলি গিলি গিলি ফেনা ভাত গিলি।
তার পরে সুক্রাল দুই ছিপি মুখেতে
এমোক্সিসিলিন আর ক্ল্যরিথ্রোমাইসিন
খাই বড় দুখেতে।
বোতলেতে জল আছে ঢক ঢক করে গিলি,
সারাদিন ধরে আমি করি জলকেলি।
সবেতেই আছে মানা ফুক ফুক তবু খাই
লুকোচুরি লুকোচুরি সারাদিন করে যাই।
আলু আর পেপেতে চাল দিয়ে মেপেতে
প্রেসারেতে সিটি দিয়ে ঘোল দিয়ে খাওয়াতে।
রাতে কড়া নজরটা উঁকি ঝুঁকি মারে সে,
শরাবেতে পানি আর নাহি আর জোটে রে।
মনে হয় জীবনটা যেন ভাতি ঘন ধরা,
আঁধারেতে কদাকার যেন প্রাণ হৃদ হরা।
রোগ ভোগ অতিকায় কেন দাও মহাশয়
আজি মন যেন কয় তুমি খল অতিশয়।


“শুপারি”


দে বাড়ির ওই ক্ষ্যান্তপিশি
দল বল তার মস্ত বেশ,
দে না নানা দে হুলিয়ে
দেমাক নানির ছাড়তে
রেশ।
দাঁ দিয়ে ঐ কাটবে শালায়
দে না নানা দে শুপারি,
দেখবে নানি জল চোখেতে
দিল হবে তার ভয়
ব্যাপারী।
দিনের আলোর মতই নানা
দিলাম তোরে ছবিগুলি,
দেখতে কি রে পাস না নানা
কেমন তেমন কোলা-
কুলি।
দিতেই যদি শিক্ষা নানা
দে বাড়ির ওই রাস্তা ধর,
দেয়াল ঘেষে পোষ্টাপিসের
দে বাড়ির ওই পিশির
ঘর।
ধাওয়া দিয়ে আর কি হবে
ধোলাই দাও নানা,
ধা কুর কুর দেখিয়ে দিলাম
খান্ত পিশির গুন্ডা
খানা।
ধাই করে মার মারবে শালায়,
ধর থেকে শির মুড়ে,
ধাই ধাই নাচ নাচবে শালা
ধূর নানি আর যাবে
সরে।
ধরতে নানা খান্ত পিশি
ধর যাবে হাজার দশ,
ধন খসলেও শান্তি পাবে
ধনতেরাসে নানি
বশ।