"শ্রদ্ধাঞ্জলি"
আমার লেখা খেয়াল-৪৯ তম পর্ব তে প্রিয় কবি J. R. Agress মহাশয়রের কমেন্টের উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


তোমাদের ভালবাসা জোড় করে হৃদ ঝরি,
প্রণামেতে বারে বারে-মাথা নত
গড় করি।
আসরের প্রবাহেতে তরঙ্গ লহরেতে দিবানিশি আরাধন,
সাধ্য কি সাধ মোর, মিলে যেতে তা'রি লোক
সাধনেতে মনপ্রাণ।
কাননেতে কলি ফোটে গুঞ্জনে দিবা রাতে তাহাতেই মিলে মন,
জানি না'কো কেন ভবে, অনুভবে তারে ভেবে
তাহারই আগমন।
আগমনী গানে মেতে, তোমাদেরই কাননেতে ফুটিয়াছে কলি দ'ল
সযত্নে মনেপ্রাণে জল বায়ু দিয়ে প্রাণে
করিতেছ আরাধন।
অশ্রুতে বানভাসি, দিবা কি'বা রাত নিশি সুবাসেতে বায়ুময়,
জোড় করে গুণীজনে-ভালবাসা
কামনায়।
তোমাদের ভালবাসা জোড় করে হৃদ ঝরি,
প্রণামেতে বারে বারে-মাথা নত
গড় করি।


দুপ্রহর ১২/২৯ মিঃ ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিক পুনঃ রচিত হল রবিঠাকুরের গীতাঞ্জলি কাব্য মালঞ্চের ৭১ তম কবিতাটি। "আমি আমায় করব বড়ো"।
তাহার লেখাটি এইরূপঃ-"আমি আমায় করব বড়ো"।


আমি আমায় করব বড়ো
এই তো তোমার মায়া-
তোমার আলো রাঙ্গিয়ে দিয়ে
ফেলব রঙ্গিণ ছায়া।


তুমি তোমায় রাখবে দূরে,
ডাকবে তারে নানা সুরে
আপনারি বিরহ তোমার
আমায় নিল কায়া।


বিরহগান উঠল বেজে
বিশ্বগগনময়।
কত রঙ-এর কান্নাহাসি
কতই আশা-ভয়।


কত যে ঢেউ ওঠে পড়ে
কত স্বপন ভাঙ-এ গড়ে,
আমার মাঝে রচিলে যে
আপন পরাজয়।


iই যে তমার আড়ালখানি
দিলে তুমি ঢাকা,
দিবানিশির তুলি দিয়ে
হাজার ছবি আঁকা-
এরি মাঝে আপনাকে যে
বাঁধা রেখে বসলে সেজে
সোজা কিছু রাখলে না, সব
মধুর বাঁকে বাঁকা।


আকাশ জুড়ে আজ লেগেছে
তোমার আমার মেলা।
দূরে কাছে ছাড়িয়ে গেছে
তোমার আমার খেলা।
তোমার আমার গুঞ্জরণে
বাতাস মাতে কুঞ্জবনে,
তোমার আমার যাওয়া-আসায়
কাটে সকল বেলা।


(uma likhte pari na tai onnobhabe manage korte holo, keu ki shikhiye deben)


আর আমার লেখাটি এইরূপঃ-"আমি আমায় করব বড়ো"
"আমি আমায় করব বড়ো"


আমি আমায় করব বড়
হৃদয় মনে প্রাণে,
করতে না চাই ধরতে না চাই
ব'লে কিবা ধনে।
আমি আমায় করব বড়ো
হৃদয় মনে
প্রাণে।


সেই দিশাতে গগন ধরি
লগন ধরি প্রাণ,
গগন তলে বইতে হিয়া
দীন দুঃখীর গাইতে
গান।


আমি আমায় করবো বড়ো
হৃদয় ফল্গু ধারা,
মাটির সাথে মিলব আমি
দুখের বসুন্ধরা।
আজ সে ধরা বইছে লহু
কান্না অনেক রব,
নাই দিশাতে ঘুরছে মানুষ
দুখের কল-
রব।


বইছে লহু নাফ নদীতে
নীরিহ মানুষ জন,
বাঙলা মায়ের কোলের তলে
দীন দুঃখীর গান।
যুদ্ধ রবে ঢঙ্কা বাজে
কাঁদছে মেদিনী,
হুঙ্কারেতে দিচ্ছে হানা
করছে রে কিম
হানি।


আজ পরিশান মানব নিধন
যজ্ঞ রাজসুহ,
মানতে না'রে জীবন কাহন
কাঁদতে চলে
রুহ।


চল চলি ভাই উছল ধারায়
গাইতে সম্পৃতি,
আয় না আয়, এক ছাতা তল
শান্তি মেতে দিব্য
প্রীতি।


আসবি কি'না বল দিখিনি
দু'হাত করি জোড়,
পায়ের তলায় তোর ওই পরি
আয় না ভাই
মোর।


করব বড়ো দিল খালি মোর
শান্তি সোপান তলে,
আমি আমায় করব বড়ো
মানবতার দোলে।
আজ ফাগুনে আগুন জ্বলে
বসন্তেতে লহু,
পরান আমার অনেক কাঁদে
নাচ রে নাই
বিহু।


তোপের তলে জ্বলতে রে প্রাণ
আর না লাগে ভালো,
আয় না আয়, আয় রে সখা
দূর করি সব
কালো।


তমানিশায় নিরব নিধর
বিহগ কলতান,
আসবি কিনা আমার ডাকে
শান্তি সোপান
তল।


করতে বড়ো হৃদখানি তোর
দে না সখা আজ প্রভাতে,
উছল ধারায় বইতে ধরা
ধর না ধর, হাত সে
হাতে।


আমি আমায় করব বড়
হৃদয় মনে প্রাণে,
করতে না চাই ধরতে না চাই
ব'লে কিবা
ধনে।


আর আমার লেখাটির আমার করা ইংরাজি অনুবাদঃ-
“I'll make myself much by heart”


I'll make myself much by heart
Not in money or wealth.
I'll not go to gather a lot of
Treasure and so
I am looking for the poor world and
I always sing the song of their
Misery and the terrible
Life.    
I would like to make myself much
By heart.
I'll blend up myself with them
Those who are poor and miserable
I'll take care of them
By whole of my heart
I'II go beyond my capacity to
Serve them.
Today entire the world is weeping
Humanity has gone far far away,
The peoples are frustrated out
Of danger.
The Barmis are killing the humanity
The innocent people, the child,
Naf river is flooded with blood and
The people are escape away to
Bangladesh, The nation of love in world.
People of Bangladesh are  taking care of them.
The globe observing war like situation in
Each and every direction and
World itself has gone to mourn.
Kim, the president of N. Korea is roaring
In anger to make a world war.
Life is in great danger today and as a poet
My heart and  soul is crying and crying and so
I would like to appeal to entire race of the world
Please thy come under an umbrella and
Realize each other to keep peace of
The world.
Are you, are you, are you?
My earnest prayer to all,
Please, please, please, you can.
Listen, my brother and sister,
We should not make our self much
By the wealth and treasure but
Should heart and soul.
I'll make myself much by heart
Not in money or wealth.
I'll not go to gather a lot of
Treasure and so……


প্রিয় কবি রণজিৎ মাইতি মহাশয়ের গতকাল প্রকাশিত "এ কেমন আলো", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে কথপকথনে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


রব মোরে বানায় সাধক সাধ্য কি আর মোর,
তাহার বাণী তাহার প্রচার-
নিলেন আমার
দোর।
দোল দোলাতে দুলতে থাকি, প্রাণ হরিতে তিনি,
ভাবের দেশে হারিয়ে গিয়ে-
লিখতে থাকেন
যিনি।
ভালই লাগে তার সে ভাবে, হারিয়ে যেতে মন,
আর লাগেনা জগৎ ভালো-
সংসারেতে
মন।
সং সাজিতে সংসারেতে বিলীন হতেই তার সে দেশে,
ভাসতে সাগর জল,
উছল প্রাণে রব সে গীতি-
দিব্য কোলা-
হল।
হলাহলে এই দরিয়ায়, শান্তি কোথাও নাই,
তার সে দেশে রব সে বাণী,
হৃদ সে হরা
ভাই।
হরিৎ ক্ষেতে সুবাস মেতে লিখতে চলি আমি,
নয় রে আমি আমার স্বামী-
স্বয়ং লেখেন
তিনি।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "ছন্দের জাদুকরকে শ্রদ্ধাঞ্জলি", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“জাদু”


আহা! কি জাদু কি ছন্দেতে আজি তোহে বন্দেতে
মনপ্রাণ, দিবানিশি উড়ে ঘুরে,
গাহি তব, গাহি তব
জয়োগান।
ছন্দের জদুগড়ি লাগি তোহে পায়ে পরি
দেহ দান; সেলামেতে শত মেতে
বাংলার উত্থান।
উদয়নে তব দিশা-দূর হতে তমানিশা
মলিনতা নাহি প্রাণ,
ছন্দের জাদুগর জোড় করে প্রণামেতে
তুহি হৃদ মান
মন।
আজু ধারা মাধবেতে আধুনিকি পোষাকেতে নাই প্রাণ,
নাই প্রাণ নাই প্রান
নাই প্রাণ।
ধরা দিলি যদি মোহে চলো মিলি আজি দোহে
আরাধন;
ছন্দেতে মেতে প্রাণ গাহি আজু সেই গান
ছন্দেতে ছবি আঁকি, ছন্দের রব
তান।
প্রণাম হে প্রিয় কবি সত্যেন্দ্রনাথ


প্রিয় কবি লক্ষ্ণণ ভান্ডারী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "ভালবাসার প্রতিশ্রুতি", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“প্রতিশ্রুতি”


ও মোর জান হৃদয় আমার প্রতিশ্রুতি কেনই চাও,
কোথায় কেমন কিসের তরে
বলছি ওগো মোহ-
ময়।
আমার তুমি তোমার আমি এক দেহতেই লীন,
বইতে ভবে কান্না হাসি,
গাইতে সুখের
দিন।
পারিজাতের সেই কাননে ধন্য তোমার গান,
মুগ্ধ আমি তোমার সুরে-নাই রে সখী
মান।
গাইতে সে গান মুখর ধরা অমর প্রেমের ফল্গুধারায়,
গোলাপ বকুল শিউলী সে ঘ্রাণ
সেই দেশেতে ঘ্রাণটি
হারায়।
দিব্য প্রেমের অমর গানে প্রতিশ্রুতির বানটি নাই,
তোমার আমি আমার তুমি-
দীন প্রাণেতে বইতে
নই।
সেদিন ধরা অস্তাচলে গাইবে না আর রবি শশী,
মর্ম মরে জ্যোছনা আলোক-রইতে না আর
বিভায় নিশি।
মর্মর তান উঠবে ধরা নিশীথ যাবে ঢেকে,
যেদিন তোমার হৃদাকাশে
তমায় যাবে
ডেকে।


প্রিয় কবি ডা শাহানার মশিউর মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "মহাতারকা", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“উস্কানি”


আরে বুলবুল কয় কি রে!হ্যালার কবি গুলান,
এমন দিমু বাম্বু বাড়ি
চুলায় দিব হেই
পলান।
উস্কাইস রে! হেলার ব্যাটা,
কাব্য করিস ভালো!
উস্কানিতে পারবি কি তুই
জ্বালতে মানব
আলো!
টু পারসেন্ট সাহেব দেই, চার গিয়া বড়বাবু,
তিন খাইলো লিখতে এম বি,
নাইলে কি জল
কাবু।
বিশ পারসেন্ট ধরা লাভ, দশ পারসেন্ট খাইল ওরা,
তোরা কি'রে বুঝবি কবি! ভাবনাতেই
ওড়া ফেরা।
হেরাফেরি মুই কি করি! করায় দ্যাবতারা,
তারাই কয়া দেয় আমায়-দিবি সিমেন্ট
আধ সিতারা।
কড়াই মাইপ্যা ভাবলি কি'রে কামাই অনেক মোটা,
হ্যালায় শ্যালা পেমেন্ট যে দেয়-আধ বৎসর
বিতাইয়া।
তোদের পরান কাঁদে শুধু, গরীব জনার প্রতি,
অন্দর আয় দেখতে পরান-মোদের
দুর্গতি।
কিছু কি কানে ঢুকল
প্রিয় কবি।


প্রিয় কবি মোনায়েম সাহিত্য মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "কথা অমৃত-১৮২", কবিতার উত্তরে এইমাত্র কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


"স্বর্গ"


চাঁদেও কলঙ্ক রয়, ভরা জ্যোছনায়,
গুন আর দোষ দিয়ে গডা মানুষ
জানবেন মহাশয়।
আগুন কি আছে ধরা, ঘন ধূমা বিনা,
সেতার কি বাজে কানে,
কর্কশ নাহি
শুনা।
তাই রব দিছি কবি, গুনটাই দেখো চোখে,
গুনগান করে তায়-অতি তারে
ভালবেসে।
মতি পাবে গতি তায়, মন্দ সে দূরে যাবে,
পৃথিবীটা ধীরে ধীরে-স্বর্গেতে
গতি পাবে।


প্রিয় কবি মোঃ সানাউল্লাহ (আদৃত কবি) মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "আহা! কি সুখ", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“রা”


আর কি কবি! আপনি তো সবই কয়া দিলেন,
অহনে কইতে গিয়া, মুই কি হই
ভিলেন।
আজকাল কলিকাল অঙ্গ সে ঢাকাঢাকি,
ঢাক ঢোল পিটানিতে-রাহি নাই
কিছু বাকি।
তাই কি'রে ধুত্যেরি! বলে হ্যালা পুত তোরি,
দেখলি কি সাজ গোজ,
বলে হ্যালা দূরে যারে-আর গিয়ে দূর
খোজ।
খুজলাম বহু পথ, দিশা ভাই পাই নাই,
নিজ গৃহে পশ্চিমী, হাওয়া ঢল
বহে ভাই।
তাই সই মেনে নিছি, নিকাহ কি পথেঘাটে,
আর কি'গো কই সখা-রা নাই
মুখটাতে।


প্রিয় কবি এম ওয়াসিক আলি মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "বিবশতা", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
"আপন ভাল তো জগৎ ভালো",


আই কবি! প্রতিযোগিতায় মন
দিবেন না। দুঃখ শোক
মাইন্যা নিবেন।
হেইডা শুধু ভাবিবেন
"আপন ভাল তো জগৎ
ভালো",
আর একটা কথা মনে রাখিবেন,
"আজ যেটা আপনার দুঃখের কারণ
কাল বা পরশু
আপনিই হেই কথাটা বলিবেন-
ভালই হইছিল!
তহন বুঝতে পারি নাই",
কিছু কি ঢুকল কানে-
কই!


আমার লেখা খেয়াল ৪৯ তম তে প্রিয় কবি বিভূতি দাস মহাশয়ের সহিত কথপকথনে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“নোবেল”


বল সে বল, বোল্লা মা'রে সাধুম আমার হৃদে,
কাব্যগাঁথায় হেই বাঙালি-
সাধ্য কি আর
সাধে। "রাঁধে রাঁধে।
হেই সে লিখুম আলতাব সাব আকাশ উড়ে ঘুরে,
আনবে নোবেল হুনেন কত্তা
আর দিন সে
দূরে।
তার পিছনে লাইন আপনি এক এক এক করে,
জয় বাঙালি নয় কাঙ্গালি
দেখতে সে রন
ঝড়ে।
পতঝড়ে প্রাণ ঝরতে ঢল আধুনিকের ঝা,
চক্ষুগুলি গুলির মতন
দেখতে রবে
ধা।


প্রিয় কবি রণজিৎ মাইতি মহাশয়ের গতকাল প্রকাশিত "এ কেমন আলো কবিতার কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“নীলপরী”


হেই নীল পরীটা যেন দেয় বাড়িটা হৃদয়েতে,
দেখিনু সে তারি রূপ-জ্যোছনার
বারিতে।
অপরূপা সুন্দরী হৃদপ্রাণে তারে ভরি,
স্বপ্নীল দুনিয়ায়; ভব নদী পারাবারে
তারি লাগি কামনায়।
যেন মন মনে নাই, প্রাণ যেন প্রাণে নাই
যন্তর মন্তর; জাদুগরি যেন পরি!
নাই কোনো অন্তর।
প্রভু ওহ দয়াময় নীল ওই দরিয়ায়
বাঁধ মোর তরী খানি,
রব ও'রে শুন তুই-গা'ব
প্রেম গান
খানি।


প্রিয় কবি সুমিত্র দত্ত রায় মহাশয়ের আজ প্রকাশিত কবিতা "অণুকাব্য (১৪৬) অনির্বান", কবিতার উত্তরে একটু আগেই লেখা।


তাও নেভে ভালবাসা পেলে,
মনের আগুন, নিমেষে।
প্রেম কভু জ্বালায় আগুন
নিভাতে জুরি
নাই।


প্রিয় কবি প্রবীর চ্যাটার্জী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "শায়েওরি-৩", কবিতার উত্তরে একটু আগেই কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“অভিজ্ঞতা”


বাসরঘর আজ,নাই কোনো অভিজ্ঞতা, অতঃ
বেদম মদ আটা পেটে-
ভয়েতেই!
রাত গুজরান বেহুশ ঘোরে
জীবন ভর তানা তলে!
বহিতেই।
আরে বাবা আমি কই পুরাতন ছিল দেশ,
না আছিল মোবাইল নাই ছিল
নেট-বেশ!
ডান্ডা গুলি খেলে কি আর বি'য়ে শেখা যায়,
কি আর ভুল করছি আমি!
বাসর ঘরে খেলতে
হায়!


প্রিয় কবি রঞ্জন গিরি মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "থালায় শিক্ষা", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
"থাপ"


থামবি কি'না ওই মদনা
থাক থাক মদ মদ সাঁজিয়ে রাখিস,
থাকবো আমি তোর বাড়িতে
থাল বাজিয়ে যেমন
রাখিস।
থপ থপ থপ চলি আমি
থাকে আমার পকেটেই,
থাল বাজিয়ে নাই রে লাভ
থাক তুই থাক
বাড়িতেই।
থানার বড়বাবু মোরে
থানায় নিয়ে একদিন,
থর থরিরে কাঁপতে পরান
থাক সে কথা আজ সে
দিন।
থাকা থাকির চিন্তা না বুল
থানায় দখলদারি,
থাক থাক থাক পয়সা দিলাম
থাম তে রে ভাই রোষ
সে তারি।
থাকলে রে বুল পয়সা পকেট
থামায় আমায় কে!
থাকবি কি'না আমার সাথে
থাল বাজিয়ে বলবি
কি'রে।
থাক সে বাত আজকে নতুন
থালায় আমি খাব,
থপ থপিয়ে ঢল ঢলিয়ে,
থাপিয়ে রে ভাই
ভাবো।
থাপ দিবে তো গিন্নি মোর
থাক না এখন দূরেই রই,
থাপকিমারা ওসব বাণী
থস করে রে পট যে
কই।
থাকলো আর দু'পেগ বেঁচে
থাকলে পরে আরো খাব,
থাল সে আজ রান্নাঘরে
আজ কি আর বুঝে
পাব!
থাবরাবেন না'তো আবার
থোবরা ব্যান্ড!


প্রিয় কবি সোমেন রায় মহাশয়ের গতকাল প্রকাশিত "সুতনয়ার চিঠি ও আমার প্রলাপ", কবিতার উত্তরে কাল শুরু হয়েছে পথ চলা। পৃধিবীর সবচেয়ে দীর্ঘ আধুনিক কবিতা লেখা। প্রতিদিন এতখানি করেই লেখা হবে। ১০০০ লাইনের আগে কবিতা শেষ হবে না।
“সুতনয়া”


সুতনয়া মনে কি পরে সেদিনের কথা
জলন্ত অঙ্গার লেখা,
হৃদয়ে তোমারি কুসুমো কলিতে
দিয়েছিলে ব্যথা।
কোথায় সেদিন ডুবেছিলে খাদে
তিমির তরনী তব,
কাঁচকলা প্রাণ দেখিয়ে আমায়
গিয়েছিলে দূরে।
বাক্য তোমায় ছলায় কলায়
বাকরুদ্ধ হয়েছিল প্রাণ,
দূরে ছুড়ে ফেলেছিলে
গেয়েছি ব্যথার গান।
সুতনয়া মনে কি পরে
সুজন বন্ধু যেদিন ঘারধাক্কা দিল
ছুটে এসেছিলে আমার দরোজায়।
ফেলে কি দিয়েছেলেম আমি।
অনেক কান্না কেঁদেছিলে সুতনয়া।
তোমার চোখের এক একটি মোতি
হীরে আর মানিক, আমি কুড়িয়ে
নিয়েছিলে্ন সুতনয়া।
আমার বিতানে কুঁহু কুঁহু
গেয়ে উঠেছি্ল কোকিল আর
ময়ূরপঙ্খী পাখায় ভেসে গিয়েছি্লাম আমার প্রাণ।
সুতনয়া মনে কি পরে-
সেদিনে শিউলী ঝরা সকাল,
একটা একটা করে তুমি কুড়াচ্ছিলে ফুলগুলি।
আর আমি বিভোর তোমায় দেখছিলাম
তোমার দেশ শৈষ্টব, তোমার অধর
তোমাতে এতটাই মগ্ন ছিলাম-
চায়ের পেয়ালখানি কখন যে ঠান্ডা বরফ হয়ে গিয়েছি্ল,
আমি জানতেই পারিনি।
সে তুমি বুঝতে পেরে, তোমার সে কি হাসি!
সে হাসি কি ভুলে গেলে সুতনয়া ।
সে হাসি কি ভুলে গেছ
সুতনয়া।
হাসো হাসো হাসো! আজ!