আজ ডাক্তার দেখাতে গিয়ে বিকাল থেকে অনেক রাত হয়ে গেল। রাত ১০/45 বাজে, এখনো একটাও কবিতা লিখি নাই। তাই পুরানা ১৯৯৯ সালের ডায়েরীর লেখা খেকে থেকে "খেয়াল" পরিচালনা করলাম।


ধ্বংস


সৃষ্টিতে আমি সুখি হই
ধ্বংসে বড় ব্যথা লাগে প্রাণে;
প্রার্থনা করি আমি কবি
এ বিশ্ব সুখেরই প্লাবণে ভেসে যাক
সৃষ্টির সুমধুর
গানে।


ধ্বংসের লীলা ধ্বংস হোক
ধ্বংস হোক দুনিয়ার যত স্বৈরাচারী,
ধ্বংস হোক যুদ্ধপিপাসু
যত আছে বীর;
উড্ডিন হোক শান্তির শুভ্র পতাকা,
যুদ্ধের নিনাদ রহিবে না এ বিশ্বে-
অস্ত্রাগারে হবে না মারনাস্ত্রের
ভীড়।


ধ্বংসের মাঝে আমি দেখি আলোকের ঈশারা,
সুখেরই প্লাবণ দেখি সুমধুর বসুন্ধরা;
হিংসা ও বিদ্বেষ ধ্বংশ হোক
এক অন্তিম যুদ্ধে।


তারপর সুন্দর সুশীতল ধরা মাঝে-
এস বীরগন গাহি মোরা
সৃষ্টির জয়োগান।


কর্মকার


কর্মী আমি কর্মী কর্মই মোর ধর্ম
কর্মী আমি কর্মী ধর্মই মোর কর্ম।
ধার্মীক আমি ধর্ম মেনেছি কর্ম মেনেছি সার
ধর্মের নামে কর্ম করি আমি কর্মকার।


সদা জাগ্রত প্রহরী আমি ধর্মরক্ষাকারী,
ধার্মীক আমি ধার্মীক আমি মহাধর্মধারী।


মন্দির ঠাই দেয় নাই মোরে
তাই নিরাকার দেবে পূজি,
মন্ত্র শিক্ষা হয় নাই মোর তাই
কর্মেই ঈশ্বর খুজি।


কর্মী আমি কর্মী কর্মই মোর ধর্ম
কর্মী আমি কর্মী ধর্মই মোর কর্ম।


কর্মে আলয় মোর তাই আমি কর্মকার,
মহাকর্মকারী আমি যে তাই মহাধর্মধার।


কেউ বলে নাস্তিক আমি তাই পাপময়,
গৈরিকধারী সাধুজন তাই মোর তরে বিদ্বেষময়।


কর্মের তরে জন্মেছি আমি
কর্মেই হবে প্রাণ বিষর্জণ,
সাধুজন না দিক সম্মান
কর্মেই আমি ঈশ্বরে
করিব অর্জন।


সচেতনতা


পৃথিবী বিদ্রোহ করেছে জীবজগতের বিরুদ্ধে আজ
রণঢঙ্কার বাজে শোন ওই-
প্রকৃতি সেজেছে রণসজ্জার সাজ।


প্রাণবায়ু কমেছে বাতাসে
ভরেছে কলকারখানার বিষাক্ত গ্যাসে,
শ্যামল বনানী হয়েছে শহর
বিনিদ্র আমি গুনি যে প্রহর,
আকুল চোখেতে আকাশেতে চোখ পাতি
সোনার ক্ষেত গিয়াছে ফাঁটি
দিন গুনি বৃষ্টির আশায়।


প্রভাত ও সাজের কুয়াশা হয়েছে ধোঁয়াশা,
বন্যার জলে ডুবে যায় শহর গ্রামের সোনার ক্ষেত,
ওজোনস্তর কমেছে আকাশে,
অতিবেগুনিরশ্মি পশিছে বাতাসে,
রোগে রোগে ক্ষয় হয় জীবকূল।


মানুষে মানু্ষে বিভেদের ছায়া,
যুদ্ধের ঢঙ্কা বাজে দেশে ও বিদেশে,
ওরে সুখনিদ্রা নাহি রে হয়,
প্রতি পলে পলে-
মহামারী, দুভিক্ষ বন্যা ক্ষরা ধংসের ভয়।


আয় মোরা তাই সবাই মেলে-
মানবশৃঙ্খল রচি,
বৃদ্ধ যুবা নর ও নারী-
বাচ্চা কাঁচা ও কচি।


ধ্বংশ হতে দেবনা
সুন্দর এই পৃথিবীকে মোরা,
সুমধুর এ বসুন্ধরা-
বৈচিত্র রস রং রুপে ভরা।


নির্ভীক


ঝড় আমি দুরন্ত আমি নির্ভীক ,
সাইক্লোন ঘূর্ণী আমি দুরন্ত,
বিষাক্ত বারুদ আমি ধ্বংশ,
আবার শান্তির প্রতীক আমি
আমি নির্ভীক।


সাম্য শান্তির গান,
মৌত্রীর অটুট বন্ধন,
খুজে ফিরি আমি দিকে দিকে।


মধুর এ বসুন্ধরা, আজ-
আজ বারুদের গন্ধে ভরা,
হৃদয়ের মাঝে ক্রন্দন ওঠে তাই।


ভেঙ্গে ফেলে দেই আমি তাই
শোষণের অট্টালিকা,
অত্যাচারী আর অত্যাচারের
তাই আমি ধ্বংশ,
আমি দুরন্ত আমি প্রচন্ড
আমি নির্ভীক।


জওয়ান


বিজয়কেতন উড়িয়ে দে ভাই
উচ্চে করি শির,
মাতৃভূমি উদ্ধারেতে
লড়ছে শত বীর।


মুশকো ভ্যালি কারগিলেতে
মুষ্ঠি ধরি প্রাণ,
লড়ছে দ্যাখো মারছে কত
শহীদ হচ্ছে রে জওয়ান।


প্রাণের মায়া নেইকো মোটে
দেশের তরে ভাই,
দেশের তরে দশের তরে
তাদের প্রাণের মায়া নাই।


অর্থ নিয়ে স্বার্থভরে
আমারা লড়াই করি,
ওরা দেখ প্রাণটি দিয়ে
বাঁচায় মাতৃভূমি।


শত্রুবধে হিংসারোধে,
বাঁধলো যে কোমর,
যমের মুখে ছাইটি দিয়ে
ওরা হচ্ছে রে অমর।


মুশকো ভ্যালি কারগিলেতে
মুষ্টি করি প্রাণ,
লড়ছে দেখো মারছে কত
শহীদ হচ্ছে রে জওয়ান।


(এটা এইমাত্র লেখা)
ঢ্যামনাপনা


ঢিল মেরে আর হবে কি
ঢিলেপনা করলে তো!
ঢিপঢিপানি বুক নিয়ে আর
ঢ্যামনাটাকে পাবে
নাকো।
ঢপের চপ ভাবলে নানা
ঢাক পিটিয়ে এলাম যখন,
ঢাল তরোবার সঙ্গে নিয়ে
ঢাং কুরা কুর শুনলে না
কান।
ঢাক বাজিয়ে আর কি নানা,
ঢাকেশ্বরি নানি রে,
ঢ্যামনাপনা শালার গানে
ঢং ঢ্ং ঢং মত্ত
বে।