কাঁকড়া বিছার গল্প


লেখা তো চলবেই। কিন্ত আজ থেকে কারো নাম প্রকাশ দিতে পারবো না। কারন আমার লেখা খেয়াল ৬৯ ব্যান করা হয়েছে এই কথা বলে যে এটা স্বরচিত কবিতার আসর এখানে ভিন্ন আঙ্গিকে লিখে প্রকাশ করা যাবে না। আমার লেখাগুলি আমার লেখার আগে পৃথিবীতে ছিল কি? না'কি ভগবান বা অন্য কেউ লিখে দিয়ে গেছে! তাহলে! আমি হতবাক, বিস্মিত! এও কি সম্ভব!  আজ প্রর্যন্ত এই পৃথিবীতে যত কবিতা লেখা হয়েছে একই ভাবনার ভিন্ন ভিন্ন রূপ ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিক। "আমার সোনার বাংলা", কতজন কবি ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকে লিখেছেন বলতে পারেন। দেশভক্তি্র যত লেখা একই ভাবনার ভিন্ন ভিন্ন রূপ আর আঙ্গিক। যার যেমন দক্ষতা তার তেমন লেখা।  "ভালোবাসা",বিষয় একটিই অথচ হাজার হাজা লক্ষ লক্ষ কবিতা ভিন্ন ভিন্ন ভাবে আর ভিন্ন আঙ্গিকে লেখা। প্রতিবাদী লেখা, ব্যাপার একটাই, বিদ্রোহ, ভিন্ন ভিন্ন রূপে আর আঙ্গিকে লক্ষ লক্ষ লেখা।  আমার কবিতা লেখার আগ্রহ এতে আরও বেড়ে গেল আর জেদ। এরপর একের পর এক আমার কবিতার বই বের হবে আর আপনাদের আর্শীবাদ সঙ্গে থাকলে নোবেল প্রাইজ টাও এনে দেবার চেষ্টা করবো। আমার জন্ম কবিতার জন্যই আর সে ক্ষমতা আশা করি আছে আমার। কাঁকড়া বিছার গল্পটা আর একবার মনে পড়লো।


“পথ চেয়ে তোর কাটলো দিশা”


পথ চেয়ে তোর কাটলো দিশা
কাটলো সুরোতাল,
পাইনি সথা দাও নি ধরা
গড়তে সুশীল এই ধরা
তল।


আজ বেদনায় মন বেঁধেছি
করাল ছায়ার গ্রাসে,
তাই তো ডাকি আজকে ধরা
তোমায় যে চাই
বাঁধন পশে।


আজ সে ধরা উতল অতি
দিক বিদিকে কান্না ঝরা,
দিলেন প্রভু আদেশ আমায়
গড়তে সে দল আগুন
ঝড়া।


আজ ফাগুনে রক্ত ঝরে,
মা বোনেরা কাঁদছে দ্বারে,
ইজ্জৎ আর মান সে নাই
নাই রে রঙ ঊষার
ভোরে,


কি হবে রে ধন বাঢ় আর
শান শৌকত আকাশ ছোঁয়া,
নাই যদি প্রাণ কাঁদতে পরান
এক পৃথিবী মাগছে
দোয়া।


কী পাস তুই জঙ্গীপণায়
মাতম মানায় বিষ্ফোটে,
ধ্বংস গানে কী সুখ তোর
পথ কি পাবি
জান্নাতে।


মানুষ কী তুই প্রাণ কাঁদেনা
মা বোনেদের দুঃখ দেখে,
দেখলি ধরা গাইতে জীবন
পাললো যারা
জান্নাতে।


পারবি কি'রে প্রাণের স্রোত
এই ধরাতে মুছে দিতে!
তুচ্ছ তোর ওই জঙ্গীপণা
জয় জীবনের দরো-
গাতে।


নফরতের ওই বীজ বুনে প্রাণ
দু'চার দিনের কারবারী,
ধন্য জীবন বইতে ধরায়
পারবি কি'রে দিতেই
দারি।


আজ সে রব দিলেম আমি
আয় আমারি ছাতার তলে,
দিতেই ক্ষমা ধরবো রে তায়,
মানবে জানি আমার
বোলে।


আয় রে আয় আয় শয়তান
ঘুচাই তোর ওই অপনাম
খুশির গীতে প্রাণ ধারাতে
গাইবে ধরা তোর ওই
মান।


পথ চেয়ে তো কাটল নিশি
কাটলো সুরোতাল,
পাইনি সথা দেখতে তোমায়
গড়তে আগুন
দল।


নাই বা দিলি প্রাণটি আগুন
বিষ নিয়ে ওই খেল রে তুই
রব দিয়েছি আমার ধরা
নাম নিশানি মিটবে
ভুঁই।


আমার লেখাটির আমার করা ইংরাজি অনুবাদ


The waiting for them over night
has gone to vain
You did not respond my call
To come with me to
Create a better world.


So, I am not happy today and
My heart and soul
Get morose.
I want you to come in the
Main steam of life.


Today the world is very hot
I could heard the noise of weeping
In each and every direction of the
World.


My lord has given me the task
To make the forces, and  
To perform  the mission
Of love, and  to bring you into the
Main stream of life.


Today, mothers and the sisters
Are in great danger and they are weeping
They have lost their respect and
Dignity in each corner of the
World entire.


What will be the riches and the riches?
If there is no peace in mind and
Soul where sorrow engulf
The entire of the world.


What you could get in destruction
Would you reach the heaven
In this way?


Could you be able to finish the force of life
From this world?
You could do nothing by and the way of
Your brutal terrorist  activities
In this earth.
You could do nonsense for and
Just a while only.


Today, I call you to please come
In the main stream of life,
I will pray to my God so that
He shows his mercy to you.
By hook or crook, I will bring it
For you.


Or otherwise, be ready
I will come with my great force
To kill and finish you.


“ওহে কিসের প্রতীক্ষায়”


হেথা ছায়ার পানে দাঁড়িয়ে ওহে কিসের প্রতীক্ষায়
বিবর্ণ মুখে নাহিকো রা-তুমি,
দাঁড়িয়ে কিসের আশায়।
ছলনাতে বেয়ে পঙ্কিল রাহে জীবনো বাঁধিলে অতি,
বিষয়েতে প্রাণ আসয়েতে গান  
ধনে র'লে মাতি।
ছল বল কলা ভরে নিতে মেলা ছিনে নিতে শত ধায়,
মঞ্জিল রাহি আকাশো কুসুম
বাসনা সে অতিকায়।
কাম রিপু লোভ আশ শত ভোগ আর আশা রাশি রাশি,
প্রাণোধায় মাতি রস রঙ রূপ
আর শত দাস দাসি।
প্রিয় দিলে রব আপনো যাহা ঠেলে দিলে আর দূর,
দুনয়ন মুদে ঘন অঞ্জনে
বেদনা বিধুর।
শঠতাতে মেতে দানবের ভেষে কেড়ে নিতে ভূমে,
হেরিলে না প্রাণ করিছে রোদন
কত শত দীন জনে।
আকাশ লভিতে ধনের পাহার গড়িতে স্বর্ণ মহল,
দিবা কিবা রাতি করিলে বেসাতি
দুষ্ট বেজাতিয় ঢল।
খলনায় ধরা বিষাক্ত ছোবলেতে দীন প্রাণে দুর্গতি,
লালসায় মেতে প্রাণ, এক ধরা বেদনাতে
দিলে তারে ঠেলে মতি।
মৌতাতে ধরা হলাহলে প্রাণ জীবনো গাহিতে গীতি,
চাহিলে না দ্বার দীন জনে তার
কণা সম দ্যুতি।
সংসার ভব পারাবার ভূম দান ধ্যানে মান বহে,
কপট সে সুখ আশাতে মজিলে
তুচ্ছতা অবহেলে।
পার সে কিনারা দিগন্তে আজি খুজিছো ছায়ারো কোল,
ক্ষুদিত পাষান ভূমেতে আজি
লভিতে সে শান্ত উপকূল।
ধুলি ধূসরিত অঙ্গ তোমারি হৃদয় তামসিক অতি,
নাই নাই নাই বহিতে সে উপকূল
প্রশান্ত প্রাণোগতি।
তরীতে তোমারি হলাহল ভরা বিষের বীণেতে গড়া,
বেণীতে লতায় কাঁটায় কাঁটায়
নাই নাই নাই, নাই প্রাণ
মনোহরা।  
দেবতার ঘরে নাই স্থান ওরে শোন পাপিষ্ট শোন,
ইহলোকে আজি বিচার তোহারি
সে পল আজিকে গোন।
কোথা ছায়ার পানে দাঁড়িয়ে তুমি কিসের প্রতীক্ষায়
বিবর্ণ মুখে নাহিকো রা-তুমি,
দাঁড়িয়ে কিসের আশায়।
মৌতাতে ধরা হলাহলে প্রাণ জীবনো গাহিতে গীতি,
চাহিলে না দ্বার দীন জনে তার
কণা সম দ্যুতি।
সংসার ভব পারাবার ভূম দান ধ্যানে মান বহে,
কপতো সে সুখ আশাতে মজিলে
তুচ্ছতা অবহেলে।
পার সে কিনারা দিগন্তে আজি খুজিছো ছায়ারো কোল,
ক্ষুদিত পাষান ভূমে ধুলি ধুসরিত
লভিতে সে শান্ত উপকূল।


“সুতনয়া”


সুপ্ত আগ্নেয়গিরি জেগে উঠেছে আজ
থর থর কম্পিত ধরনী,
লাল আভায় উদ্ভাসিত দিকচক্রবাল
তপ্ত লাভার উৎগিরন হয়েছে শুরু,
গানে গানে মধুর বসুন্ধরা,
বিহগ চঞ্চুতে ফিরে পেয়ে সুমধুর কলি,
প্রণ সঞ্চারিত হয়ে শুস্ক সে ভূম,
হর্ষধ্বনিতে ভেষে যায় অঞ্চল
হাজার হাজার সুতনয়া বন্দনারত,
হাজার হাজার্ প্রজ্জ্বলিত তপ্ত জলন্ত শিখা,
মিলতে সে ধারায়,
ওরে ওরে বাজা ঊলুধ্বনি,
শঙ্খ নিনাদে ঘোষনা আসন্ন যুদ্ধের।
সুতনয়া, শস্ত্র ধরো মেদিনী,
শঙ্খ চক্র গদা পদ্ম,
রূপ সাজো মা দূর্গা মহিষাসুর মর্দিনী,
আর আমার রই বরাভয়,
জীর্ণ পর্ণ কুটিরের দ্বার,
তোমারি অপেক্ষায়।
সুতনয়া, যাও যাও যাও,
ঝাপিয়ে পরো সুজন মাঝিদের গড়া
স্বর্ণ লঙ্কায়, সুতনয়া আজ তুমি একা নও,
হাজার হাজার সুতনা আজ তোমার
বাহিনী, যাও, যাও সুতনয়া,
তোমার আগুনে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে
রাখ করে তোল সুজন মাঝি
পালতোলা সোনার তরী আর
শত ললনার সারি।
সুতনয়া, বেড়িয়ে পর সে যুদ্ধে,
ক্লান্তি তোমায় গ্রাস করবেনা সুতনয়া,
মনে রেখ সুতনয়া, সে চরম দুর্ভোভ
সে চমম নির্যাতন, সুতনয়া,
যাও আজই শুরু হবে সে রণ,
মহাভৈরবে ঝাপিতে পরে,
রনংদেহী মূর্তি
সুতনয়া, আজ থেকে শুরু হল
নতুন অধ্যায়,
পুরষ শাসিত সমাজে নারীর উত্থান।
সুতনয়া, যাও, যাও
বেড়িয়ে পর আজই।