“এখনো ঘোর ভাঙে না তোর”


এখনো ঘোর ভাঙে না তোর
বেলা যে যায় বয়ে,
উদিত রবির কিরন পশেতে
চাহিতে তোহায়
কহে।
তরুলতাশাখ বিহগ কূজণ
ধরিতে আজি মধুরো সে তান,
গুঞ্জনে অলি পুষ্পে ভ্রমিয়া
নাই রে সে সুর
কলির গান।
এক ধরাতল গরল সে বীষ
আশিস প্রভুর নাই যে দান,
ঊষার পানে চাইছে রে গীত
আজ সে পাষাণ মর্মরে
তান।
মঞ্জিল আজ পূব দিশাতে
তিমিরো রজনী বিদায় পল,
হিংসা ও দ্বেষ চায় অবসান
উজল প্রাণের এক
ধরাতল।
এখনো ঘোর ভাঙে না তোর
বেলা যে যায় বয়ে,
উদিত রবির কিরন পশেতে
চাহিতে তোহায়
কহে।
তরুণ প্রাণের অরুণ দল
জাগ রে জাগ বীর সে জাত,
আজ ধরাতল উষ্মা বহে,
জাত বিদ্বেষ আর
বজ্জাত।
তিমিরো রাত্রি অঞ্জন ঘন
ক্ষুদিত পাষাণ দল,
ফেনাইছে ঘোর নিঠুরো করালে
মাতিয়া ধরনী তল।
অশনীত বাড়ি ভৈরবে ঘন
মাতিয়া গগনে আজ
মহাধাম আজ পতিত ভূতলে
হিংসা দ্বেষের
রাজ।
আজিকে ধরনী ঊষাপানে চেয়ে
টলমলো পায় কম্পিত স্বর,
কান্ডারি আজি ঘোর সে ভাঙো
বহিতে তোমারি উছলো
দাঁর।
কান্ডারি খোল, খোল খোল
দ্বার………..।
উছলো সাগরো টলমলো বায়
অশান্ত ঘূর্ণিত পাঁক,
ভাঙাতে আজিকে ঘোর সে তোমার
মহাকাল দিয়েছে ডাক।
আজকে পাষাণ শঠ সে ভূম
অন্তর বিষ হলাহল.........
আজকে দেউল বন্ধ্যা সে প্রাণ
অশ্রু ভাসে এক
ধরাতল।
আজ ফাগুনে রক্ত হোলি
হৃদ প্রাণেতে নেইকো আশা,
দূর হতে দূর প্রেম চলে যায়
গহীন আঁধার
তমানিশা।
শূণ্য আজি হৃদ বঞ্জর
প্রাণের অধোগতি,
নাই রে ধরা নাই মিতালি
কান্না সে রব করুণ
গতি।
স্নিগ্ধ কায়া রোদন তলে
দহন অনল অন্তরে,
নাইরে নয়ন হৃদ ভেসে যায়
দহন জ্বালা
পান্তরে।
বকুল ঘ্রাণে ঝরায় জ্বালা
জুই শিউলীর বিতানেতে,
গনগনে প্রাণ নয়ন ঝরায়
বিদ্বেষ আর হিংসা
মেতে।।
আজ কলতান বিহগ ভোলে
শঠ শঠতা ছলনাতে,
আজ ধরাতল উষ্ণ ভারি
দ্বেষ বিদ্বেষ হিংসা
মেতে।
তাই কি বারি উছল ধরা
রক্ত লহু বইতে স্রোত,
এক ধরাতল সইতে রোদন
আর ধরা ধন
ওতোপ্রোত।
এখনো ঘোর ভাঙে না তোর
বেলা যে যায় বয়ে,
উদিত রবির কিরন পশেতে
চাহিতে তোহায়
কহে।


“নানার ঢেকি”


চিনতে নানা কি যে ভুল
চিনল না'রে শালাটিকে,
চিটাগুরের চেয়েও চিপুক
চাটলো রে বেশ
নানিটিকে।
চাউনিখানি ভোলাভালা
চাঁন যেন ভাই একখানা,
চাঁদনি রাতে পাল্টায় ভোল
চাল চিঁবোতে নানি্র
খানা।
চাল কি আর ধরতে নানা
চন্দ্রলোকেরে অভিযানে,
চালাক  নানি দেয় না সুজোগ
চন চনা চন প্রেমের
গানে।
চাই কি আর নানার দুখ
চাইলে পরেই পারব কী!
চচ্চরিতে ফোরণ দিলে
চক্ষু মুদে নানার
ঢেকি।


"অজয় নদীর গাঁথা"


আঁখিজল টলোমলো অজয়ের ক্ষীণধারা
ঝির ঝির বয়ে চলে যেন নদ
প্রাণোহারা।
পুরাকালে ভরা গাঙে মত্ত সে মদো নদ
আজি হারা বৈভবে ঝুকে যেন
তারি কাঁধ।
দুইধার গড়া তারি গাম্য সে নদী বহে
ছেলে বুড়ো গ্রামবাসী নদ কি'বা
নদী কহে।
ঘাট বাঁধা পাষাণেতে বঁধু সবে করে খেলা
কাঁখে জল কলসীতে নিত্য সে
দুই বেলা।
ছোট ছোট কচি কাঁচা জলকেলি খেলে তায়,
দাঁড় বেয়ে বৈঠাতে তরী সারি
বয়ে যায়।
দুই ধারে কাশ বন সমীরণ ঢেউ খেলে,
তরঙ্গ উছলিত নদীজলে
বয়ে চলে।
নদী প্রাণ মাতা আদি গ্রামখানি তারি গড়া,
শাল বন পিয়াশালে অতিশয়
মনোহরা।
বিপুল্যে নাই নদী বৈভবে শান তারি,
রবিবারে তারি কূলে কেনাবেচা
হাট গড়ি।
গরু গুলি টানে গাড়ি পসারেতে ভরা তায়,
বিকিকিনি সাঁজ কালে বেলা হলে
ফিরে যায়।
সাঁজ কালে মনোরম আলো রং আর জল,
ধীরে ধীরে শান্ত সে মিটে যায়
কোলাহল।
আঁধার সে গ্রাসে গাঁ’য় শুনঘান পথঘাট
অজয় স প্রাণ মাতা জোড় করে
আঁখিপাত।


“সকল দেশের সেরা”


হও আগুয়ান আজ এসেছে পল সে সময় কাল,
জাত বেজাতের নৃত্যদোলে
আজকে বেহাল
হাল।
আজকে তরী ঝড় ঝঞ্ঝায় ডুবতে চলে নাও,
আজকে সে প্রাণ মুষ্ঠিধরে
আজ সে দেশের
গাও।
শঠ ছলনায় মাতলো যারা হিংসা দ্বেষের আগুন জ্বালে,
আজ সে পণ মারতে বেজাত
কুলাঙ্গারের খল সে
দ্বারে।
ভষ্ম করে আকাশ উড়ান মিলতে ডানা নীলে,
আজ ধরাতল আছাড় মেরে
ফাঁসির সোপান
তলে।
আজ ইতিহাস গড়তে চলি বাংলা মায়ের দামাল মোরা,
গড়বো দেশ ধরার মাঝে
সকল দেশের
সেরা।


“ঠিকানা”


ঘোরাঘুরি তাও, নাই কাম
ঘৃন্য শালার রসের ভান্ড,
ঘর বাড় সুখ একটু নানার,
ঘন ঘন তরিৎ
কান্ড।
ঘন্টা বেঁধে দেবে নানা
ঘাটাল শালার গলার নলি,
ঘুরঘুর করলে পরেই
ঘন ঘন বাঁজবে
দুলি।
ঘরামি কি পায় রে ঘর
ঘেচু হবে নানা,
ঘর সামলাও নিজের আগে
ঘরের নানির মন
ঠিকানা।
ঘন্টা পাবে তাইলে শালা,
ঘেচুর মতই মুখ হবে,
ঘর থেকে দূর ভাগবে তবে
ঘুরঘুরানি শেষ
হবে।