(আজ মাত্রাছাড়া লিখে ফেলেছি। খেয়ালের নিয়ম অনুযায়ী "সারাদিন যা লিখব প্রকাশ দিব" তাই সবই প্রকাশ দিলাম। কবি সকলের কাছে আমার অনুরোধ যেটুকু ইচ্ছে পাঠ করবেন বা যেটা ইচ্ছে সেটা। আসলে কি জানেন আমি খাতা কলম ব্যবহার করি না। এযাবতকাল বহু কবিতাই কালের স্রোত ভেসে গেছে। প্রকাশ দিলে এটা পরে আমি ধরতে পারবো তাই। শুভকামনা)


১০/০৯ মিঃ রাত পুনঃ নির্মান হলো ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে রবিঠাকুরের "স্মৃতি" কবিতাটি।


"স্মৃতি"


স্মৃতিরো ভূবনে হাড়ায়েছি আজি ওগো প্রিয়তমে,
হেরিনু শতেকো হাজারো স্মৃতি তব-
ধ্যানত নয়নে।
বহিতে অঙ্গনো আজি রোদনেতে বহে প্রাণ,
হিরক খোচিত জ্যোতি প্রভা হৃদ-
তব স্মৃতি অম্লান।
ত্বরিত ভূবনো হেরিনু সে গান
তব স্মৃতি প্রিয়তমা,
কালেরো স্রোতে বিধিরো বিধানে স্বপনে
হেরিনু তোমা।
গাহিনু সে গীতি সুভাষিত প্রীতি চেতনা রহিত প্রাণ,
প্রেম সে উজার বিজারিত পল
কেন কেন কেন-হরণেতে
ভগবান।
একদা সে গৃহে প্রভাত ও সাঁজে নিত্য সে কোন্দল,
ঘাত শত প্রতিঘাত-মুখরা সে বুলি-
লকলকে গনগন।
শত শত পল কত শত বিনিদ্র রজনিত,
মৌন সে দিন কত-অভিমানে
রঙ্গিত।
বুঝিনিতো সেই ক্ষনে আজ কেন জ্বাল বোনে,
শূণ্য এ হৃদয়েতে-ভালোবাসা কেন জাগে-
হতাসার ফাল্গুনে।


প্রিয় কবি ড. প্রীতিশ চৌধুরী মহাশয়ের আসরে প্রকাশিত নিঃসঙ্গ-বেদনা কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


ক্রন্দন


অনন্ত পিয়াসেতে তারাদের দেশে ভেসে
একদাতে গেয়েছিনু গীতি,
অধরেতে সোনা মেখে হাসি গান উল্লাসে
হয়েছিল প্রীতি।
অমর সে ইতিকথা ধরা প্রাণ প্রেম লতা
জড়াতে অঙ্গেতে মোহে,
দুলেছিনু আকাশেতে লহর সে বাতাসেতে-
হাসি গানে মাতোয়ারা
দোহে।
বসন্ত বিহারেতে বাসন্তি রং মেখে
ভরা জ্যোছনাত,
কায়া তনু হৃদ সনে জীবেনের সুরোগানে
মিলেছিনু শত।
বিধাতায় সহে নাই বিরহেতে গড়ে তাই,
পুষ্পিত কাননেতে পারিজাত হরণেতে
মন দিল মিলে তাই।
ঘন কালো হলো ধরা নিভে গেল আঁখিতারা,
সহস্র গরজনে ভৈরবে হৃদ প্রাণে
বজ্র সে নিপাতন,
কেহ নাহি কেহ নাহি ধরা মোহে
একান্ত আপন।
নিরবেতে আঁখিজল ঝরে বহে অবিচল,
সিক্ত এ ভূম,
মাথা ঠূকি বিধাতায় মিলিতে সে
ধাম-
যেথা সুবাসিত পারিজাত-প্রিয়তমা মোর
করিতেছে ক্রন্দন।


প্রিয় কবি এম ডি সবুজ মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "নারী" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


কালিকা


যুগ হতে যুগ কাল হতে কাল নারী নির্যাতন বহমান-
রুধিবে কে ধারা,
যুগে যুগে কালে কালে ক্ষয়িষ্ণু
অবলারা।
নাহি প্রাণ মুক্তি অবলা সে শক্তি ক্ষীণকায় অতি,
পাষন্ড পুরুষের রতি কায় কাম ক্রোধে-
যুগে যুগে বজ্জাতি।
আজি প্রাণ অনলেতে বিষাক্ত নিঃশ্বাসে-
কান্না সে রাশি রাশি,
আধুনিক মোড়কেতে মুখোসের আড়ালেতে,
বঁধু প্রাণ দিতে
ফাঁসি।
বজ্জাতি সীমা নাই আলোকিত জ্যোছনাই-
যেন শির উন্নত,
ফাঁদে গলে পলে পলে-নারীপ্রাণ কাঁদে
শত।
বহুধায় বিকশিত নারী জাতি ধর রূপ-
দূর্গা বা কালিকা মা-খাঁড়া হাতে
বিদ্যুৎ।
চকিত সে ঘাত বাণে ছিন্ন সে মস্তক-
মুক্তির আবাহনে অবসানে
তক্ষক।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "বাঁশী, আর বাজিস না-(ব্যঙ্গ)" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


আহ্বান


উদ্দাত্ত আহ্বানে ডাকি প্রাণ ভগবানে-
হে ঈশ্বর সখা,
নেমে এসো ধরণীতে নেমে এসো ধরনীতে
মানবেতে দিতে
দিশা।
দশ ভিতে কূল নাই মানবতা গান নাই
জরা প্রাণ ধরা,
প্রতারণা ছলনাতে মুর্হুমুহু প্রাণ মাতে-
শঠতায় হৃদ
ভরা।
আনো প্রাণ মনোহরা-সৌরভে তাত ভরা
পুষ্পিত গৌরব,
গাথা গানে দেহো প্রাণে
দেহো প্রাণে উছলিত
সৌরভ।
দিশাহীন সমাজেতে লহু ঝরে লালসাতে
কাম রতি কামনায়,
দেশে দেশে দশে দশে হিংস্রতা প্রাণে মেতে
দানবতা গাহে গান-সহস্র
অন্যায়।
উদ্দাত্ত আহ্বানে ডাকি প্রাণ ভগবানে-
হে ঈশ্বর সখা,
নেমে এসো ধরণীতে নেমে এসো ধরনীতে
মানবেতে দিতে
দিশা।


প্রিয় কবি খলিলুর রহমান মহাশয়ের আজ প্রকাশিত রাজভিখারি কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


ফরিয়াদ


পথ হারানোর খেলায় মাতি ধরতে চলি চাঁদ,
জীবন নদে বইতে চলি-
রবকে দিলেম বাদ।
ভুলতে চলি সে গান অলি ভুবন তারা কেই,
সড়া জ্ঞানে ধরায় চলি বিষয়
তাড়া তেই।
বিষয় আসয় কোন্দলে প্রাণ আকাশ অনেক উড়ি,
ভবের হাটে লোভ লালসায়-
অনেক জড়াজড়ি।
উড়তে আকাশ মিলতে ডানা ফরিয়াদের বান যে ছোটে,
না পাওয়ার ওই দুঃখে অনেক-
ব্যথার কলি হৃদয়
ফোটে।
শেষ বেলাতে হারিয়ে দিশা-নয়ন আকাশ তুলি,
রবের দেশে জোড় করেতে-তার দিশাতেই
চক্ষু মেলি।
দে না পরাণ ঠাকুর আমায় দে না দয়ার দান,
জীবন ভর ভুল করেছি-
করতে অপমান।


প্রিয় কবি যাদব চৌধুরী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "কবি এইচ আই হামজার "সুদিঠির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাই" কবিতার ইংরাজি অনুবাদ কবিতার উত্তররে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


দিশা


শিহরিত হল প্রাণ গরলো সে ছোবলেতে,
মিলে দিতে হৃদপ্রাণে সহস্র
নয়নেতে।
বাতাসেতে হলাহল অশ্রু সে বারি ঝড়,
মানবতা সীমানাতে শুরু যেন
পত ঝর।
কাঁদি প্রাণ অব্যক্ত নয়নেতে নাই বারি-
যেন হৃদে শূল বিঁধে হানা দিল
তরোবারি।
দিশাহীন সমাজেতে লালসাতে কামনাতে,
নর নারী মেতে ওঠে উদ্দাম
রতি ক্ষেতে।
পুষ্প সে কাননেতে আলো সে তো দিল নাতো-
লহু ঝরে ইতিহাসে ঝরে যায়
কত শত।
করজোড়ে ঈশ্বরে মাগিনু সে দয়া দান,
প্রভু হে দিশা দাও দিশা দাও-
মানুষেতে ভগবান।


প্রিয় কবি সৌমেন বন্ধ্যোপাধ্যায় (পীযূষ কবি) মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "নির্ণীত" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


খেলা


সব জীবনের একই গান
কলুষিত করে প্রাণ-
ভব দরিয়ার
খেলা,
খেলতে সাগর আকাশ চাঁদ-
যায় গো বয়ে
বেলা।
নিত্য সে গান কূজন পাখি-
চাতক বারি
কথা,
ধন লালিমা লোভ লালসায়-জীবন
ইতিকথা।


প্রিয় কবি মহঃ সানারুল মোমিন মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "ডানা মেলেছে কবিতা হয়ে" কবিতার উত্তরে কথাপোকথণে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


জয়োগান


দিগন্ত উড়ে চলে কবিতার কথাকলি,
দিকে দিকে সৌরভে-
উন্নত মাথা
তুলি।
রবি ধারা কিরণেতে-বহু ভালোবাসা বেসে,
দেশ হত দেশ দেশে-কোকিলের
কুঁহুতান,
অনন্ত মহাকাশে-
যুগ কাল নাগপাশে
ধরা আলো তারাকাশে-কবিতার
জয়োগান।


মোহাম্ম্দ আলী চৌধুরী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "শহিদ নূর হোসেন" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


ফাটাফাটি


বাহ রে বাহ! খোল করতাল নিছে বুল,
ফাটাফাটি কান্ড,
আজি রে ভাই আবির খেল-
ভাইঙ্গা দিব
ভান্ড।


কান্ড রে বাবা কান্ড-প্রকান্ড।

স্বৈরাচারের জিন্দাবাদ-
করেন যে সব মুনি,
আহা! আহা! আইজকে রে সব ভাইঙ্গা দিব-
প্রহর পল
গুনি।