রাত ৯/১৫ মিঃ ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে পূনঃ রচিত হলো রবি ঠাকুরের গীতাঞ্জলি কাব্য মালঞ্চের ৩৩ তম কবিতাটি, "তারা দিনের বেলা এসেছিল।
তাহার লেখাটি ছিল এইরূপঃ- "তারা দিনের বেলা এসেছিল"


তারা দিনের বেলা এসেছিল
আমার ঘরে,
বলেছিল, একটি পাশে
রইব প'ড়ে।


বলেছিল, দেবতা-সেবায়
আমরা হব তোমার সহায়-
যা-কিছু পাই প্রসাদ লব
পূজার পরে।


এমনি ক'রে দরিদ্র ক্ষীণ
মলিন বেশে
সংকোচেতে একটি কোণে
রইল এসে।


রাতে দেখি প্রবল হয়ে
পশে আমার দেবালয়ে,
মলিন হাতে পূজার বলি
হরণ করে।


আর আমার লেখাটি এইরূপঃ- "তারা দিনের বেলা এসেছিল"


তারা দিনের বেলা এসেছিল
তারা দিনের আলো
ছড়িয়েছিল।
হৃদয় পরান অরূপ রতন
স্নিন্ধতারই কোমল বচন
দুঃস্থ প্রাণে হৃদয় সাগর
প্রেম সে সুধা
গেয়েছিল।  
তারা দিনের আলো
ছড়িয়েছিল।
দীন দুঃখী দুঃস্থ অতি
পরান দিল তাদের ভাতি,
জ্বালতে অরূপ জ্ঞানের সাগর
শশীর ভবের জ্যোসস্না আলোক
জ্ঞানের প্রদীপ
জ্বেলেছিল
তারা দিনের আলো
ছড়িয়েছিল।
আজ ধরাতল উতল অতি,
মানবতার নাইকো গতি,
আলোক রহিত প্রাণ,
আজ সোপানে গাইতে ধরি,
লুব্ধ তাদের
গান।
আয় পুরাতন আয় না হেথা,
জ্বালিয়ে দে'না প্রেমের হোতা,
দিব্য কোলাহল,
আজ ধরাতল লহুর স্রোতে
বইছে হলাহল।
বিতান আজি কান্না বহে
কাঁদছে মাতা মা জননী,
কাঁদছে শিশু বিশ্বালয়ে
আর ভগ্নী মা
মামনি।
আয় না নিয়ে প্রেম সে ডালি,
ছরায় দে'না অলি গলি
আনাচ কোনাচ ভব,
আয় না আয় খেলতে আজি
প্রেম সে কলরব।
তারা দিনের বেলা এসেছিল
তারা দিনের আলোয়
এসেছিল।
হৃদয় পরান অরূপ রতন
স্নিন্ধতারই কোমল বচন
দুঃস্থ প্রাণে হৃদয় সাগর
প্রেম সে সুধা
গেয়েছিল।


আমার লেখাটির আমার করা ইংরাজি অনুবাদঃ-
“When, it was the light they came.”


When, it was the light
They came.
And they spread the light
Towards the world entire.
They sang the song of love
The compassion and pity
In this world.
They came to spread the light of love
To the suffering humanity of
The world.
They came to spread the knowledge
Of humanity to the world entire and
They sacrifice their life for and
Work of the poor and miserable
Section of the society.
As like as the Sun and the Moon
They scattered their divine gleam
Of knowledge towards them.
When, it was the light
They came.
And they came to scatter the light
Towards the world entire.
Today, the world is restless and
There are no hopes of light
Each and every corner of the world.
Humanity has sunk down
Deep into the sea.
So, I come forward and
Would like to spread their
Messages towards the human
All and entire the world
To enlighten them those who
Became worse in this world.
Today, entire the world are weeping,
The mother, the sister and the
Child with the brutal activities
Of the terrorist in each and every corner
Of the world.
Today, I would like to call those great people
To come here again to
Spread the humanity
Towards the world along
With me.
I would like pray to them
To give me the strength
In my heart and soul so that
I could be able to play with
Love and affection,
And come on success,
Which the purpose I came
In the line of activities of producing
The lyrics.


দুপ্রহর ৩/২২ মিঃ ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে পূনঃ রচিত হলো রবি ঠাকুরের গীতাঞ্জলি কাব্য মালঞ্চের ৩১ তম কবিতাটি, "বন্দী, তোরে কে বেঁধেছে"


তাহার লেখাটি এইরূপঃ-"বন্দী, তোরে কে বেঁধেছে"


বন্দী, তোরে কে বেঁধেছে
এত কঠিন ক'রে।


প্রভু আমার বেঁধেছে যে
বজ্রকঠিন ডোরে।
মনে ছিল সবার চেয়ে
আমিই হব বড়ো,
রাজার কড়ি করেছিলেম
নিজের ঘরে জড়ো।
ঘুম লাগিতে শুয়েছিলেম
প্রভুর শয্যা পেতে,
জেগে দেখি বাঁধা আছি
আপন ভান্ডারেতে।


বন্দী ওগো, কে গড়েছে
বজ্রবাঁধনখানি?


আপনি আমি গড়েছিলেম
বহু যতন মানি।
ভেবেছেলেম আমার প্রতাপ
করবে জগৎ গ্রাস,
আমি রব একলা স্বাধীন
সবাই হবে দাস।
তাই গড়েছি রজনীদিন
লোহার শিকলখানা-
কত আগুন কত আঘাত
নাইকো তাহার ঠিকানা।
গড়া যখন শেষ হয়েছে
কঠিন সুকঠোর,
দেখি আমার বন্দী করে
আমারি এই ডোর।


আর আমার লেখাটি এইরূপঃ-"বন্দী, তোরে কে বেঁধেছে"
"বন্দী, তোরে কে বেঁধেছে"


বন্দী, তোরে কে বেঁধেছে
সংসারেতে মায়ার জালে
বন্দী, তোরে কে বেঁধেছে
ছলকে বুলি মোহের তলে।


বন্দিদশায় ভাবলি রে তুই
ভব নদীর  সীমানেতে,
জলকে বারি ছলকে উঠি
ধন আর বিষয় আসয় মেতে।


কাম আর রতি করলি ভূষণ
দূর্জনেতে আর দিলি পা,
খল সে বুলি আওরে গেলি
বিলাসিতায় ডুবিয়ে গা।


মুক্তি! মুক্তি তুই কেমন পাবি
বন্ধনেতেই তোর ঠিকানা,
সাজার মেয়াদ পূর্ণ হলেও
ফেরৎ যাবি বন্দিখানা।  


ভবের দোরে শাস্তি দিল
আর দিল এই এক পৃথিবী,
আঁকতে দিল রঙিন তুলি
হৃদয় দিল আঁকতে ছবি।


আঁকলি রে তুই দস্যুপনা
হিংসা দ্বেষের কৃপাণ ধরি,
রক্ত লোহিত আর ছিটালি
মানবতা ছিন্ন করি।


মুক্তি ওরে নাইরে তোর
বৈতরণীর ওপার গেলে
তুল্যমূলে মাপতে তোরে
ফের পাঠাবে বন্দি ঘরে।


আমার লেখাটির আমার করা ইংরাজি অনুবাদঃ-
Who is the person trapped you?


The prisoner, do you know
Who is the person trapped you?
In love and affection in your family
In this earth.
You do not know why you are
Trapped here?
You thought of your family only
Entire the life long and
Engaged you to collect
The treasure and wealth
Keeping a deceptive mind
And soul.
You engaged thee to lead
A gorgeous life and to get
The romance of sex only.
How could you be release
From the prison?
No, no, no, it's not possible
It's not possible at all.
May you be release ,
Your turn may come
In due course of time but
When you are placed in front of king,
The God almighty,
He will evaluate you,
You deeds and acts which you
Performed here in your earthen life
I.e the behavior you done here.
You will not be qualified
To avail a life in heaven and so
Once again he will throw you
Into the prison for the rectification
Of your soul and heart.


প্রিয় কবি লক্ষ্ণন ভান্ডারী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "ফাগুনের গান (গীতি কবিতা)", র উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
"ফাগুন অনুরাগ"


কুঞ্জবন মাতলো ফুলে গুঞ্জনেতে গাইতে অলি,
হৃদ মনেতে আজ বহিছে, আজ ফাগুনের
আবির হোলি।
আজ প্রেমেতে মন মজেছে ফাগুন হাওয়ায় রাগ সে দোল,
বৃন্দাবনে খেলতে কানাই-রাঁধার সনে
দ্যোদুল দোল।
বাজায় বাঁশি কানুর রবে আজ উতলা মন ভুলেছে,
অভিসারের গোপন হৃদয়-আজ আকাশে
রব তুলেছে।
প্রজাপতির ডানায় ভেসে অঙ্গ ভাজে কোমল রঙ,
আহা! আহা! বৃন্দাবনে খেলছে কানাই
আয় রে সখী সাজাই
সং।
গীত বাদ্য আর ভাঙেতে, নেশায় হতেই চূর,
হিংসা দ্বেষের বারিক কণা-
আজকে সে প্রাণ
দূর।
ভালোবাসার সোপান তলে আঁচ ধরাতে রঙটি খেলি,
খেদ নাই প্রাণ আজ আকাশে
প্রেম সে সাগর ডাগর
মেলি।
জুই চামেলি চম্পাকলি আয় রে আয় খেলব হোলি,
আয় রে আয় প্রাণ খুলে আয়-
ভালোবাসার মিলতে
ডালি।
ডাল ডালেতে পু্ষ্প রবে রাগ ফাগুনে আকাশ মেলি,
আয় শিউলী, আয় শেফালী
ভালোবাসার রাগ সে
খেলি।
কুঞ্জবন মাতলো ফুলে গুঞ্জনেতে গাইতে অলি,
হৃদ মনেতে আজ বহিছে, আজ ফাগুনের
আবির হোলি।


প্রিয় কবি ছবি আনসারী মহাশয়ার আজ প্রকাশিত "বসন্তের কথকতা", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“আজ হোলি এসেছে”


ফাগুনেরই রঙটি আগুন দোল দিয়ে যায় প্রাণ,
আজ আকাশে রবি শশী
গাইতে প্রেমের
গান।
আহা! সোনার আলোয় ঝিক মিক ঝিক
কুঞ্জ বনে পুষ্পরাজি,
গুঞ্জনে প্রাণ অলির কোলে
আজকে আবির রং-টি
সাজি।
আহা! আহা! আয় রে সখী আজকে সে রং
ভালোবাসার ভবের দোরে,
মিলতে পরান প্রেমের ডালি
দে'না না আমায় মনটি
ভরে।
আজ হোলি এসেছে, আজ হোলি
এসেছে।
আহা! আহা! কৃষ্ণকলি বৃন্দাবনে
খেলতে কানাই রাঁধার সনে,
আয় না সখী আর খুলে দে
পরান তোর ওই
আমার মনে।
আজ হোলি এসেছে, আজ হোলি
এসেছে।
ফাগুনেরই রঙটি আগুন দোল দিয়ে যায় প্রাণ,
আজ আকাশে রবি শশী
গাইতে প্রেমের
গান।
আজ হোলি এসেছে, আজ হোলি
এসেছে।


আমার গতকাল প্রকাশিত খেয়াল ৬৬ তম'তে প্রিয় কবি শ ম শহীদ মহাশয়ের কমেন্টের উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“তাক ধিনা ধিন ধিন”


তাই নাকি! দেখ কি কয় কত্তা!
তাইলে নাচি, তাক ধিনা ধিন ধিন,
তাক ধিনা ধিন ধিন।
আজ হোলি এসেছে, আজ হোলি
এসেছে।
আজ ফাগুনে মাতাল হাওয়ায়
পেমের সুবাস মাতিয়ে নিন,
আজকে পরান প্রেমেই মেতে
আবির সুবাস মাখিয়ে
নিন।
তাক ধিনা ধিন ধিন,
তাক ধিনা ধিন ধিন।
আজ হোলি এসেছে, আজ হোলি
এসেছে।
বৃন্দাবনে কানাই খেলে
রঙ বাহারি আবির গুলে
আজকে সখী আয়না পরান
আয় না আজি প্রেমের
দোলে।
আজ হোলি এসেছে।
আজ হোলি এসেছে।
আজ হোলি এসেছে।
আজ হোলি
এসেছে।
আজকে আকাশ বাতাস মাতে
পেম সকাসে সখীর তা'তে,
বসন্তেরই রঙ ফাগুনে
আর আগুনে
মৌতাতে।
লহর উছল ফাগুন রঙ-এ
প্রেম দরিয়ার আজকে ভাসি,
আজকে দ্রোহ নাই রে দ্বেশ
আজকে ভালো বাসা-
বাসি।
আজকে প্রেমের মিলবো ডালি
সখী তোর ওই কোমল বদন,
হর হর বোলে গাঞ্জা খেয়ে
আজকে আমি হবই
মদন।
মদন মোহন কান্তি ধরায়
আজকে দিতেই প্রেমসন্দেশ,
আজ বাতাসে আজ ভাসালেম
আবিরকণায় স্বর্ণ
হেম।
হেমের দ্যুতি প্রেমের দ্যুতি
আজ আকাশে ভাসাই রব,
আয় না সখী দু'হাত ধরি
করতে প্রেমের
কলরব।
আজ হোলি এসেছে।
আজ হোলি এসেছে।
আজ ফাগুনে মাতাল হাওয়ায়
পেমের সুবাস মাতিয়ে নিন,
আজকে পরান প্রেমেই মেতে
আবির সুবাস মাখিয়ে
নিন।
তাক ধিনা ধিন ধিন,
তাক ধিনা ধিন
ধিন।
আজ হোলি এসেছে।
আজ হোলি
এসেছে।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "ত্রিপুরা", কবিতাটির উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


গুণীর কদর জ্ঞানের ডেরায় মলিন কভু হতেই নয়,
ধন ধান্যে পুষ্পে সে রয়
উচ্চ শিরে অতি-
শয়।
মলিনতার নাই ঠিকানা হিংসা দ্বেষের নেইকো বাণী,
দশের তরে দেশের তরে
অমর র'বে সে কোর-
বানি।
ধন্য দেশ ধন্য মাতে শির নেহারি দু'কর জোড়ি,
ভ্রান্ত দিশা ক্লান্ত পরান
আর দেশের ওই
অঙ্গ ভরি।
বিভাবরীর সেই দেশেতে চাইতে মা'গো বল না সবাই,
এই ধরাতে প্রাণ ধারাতে
শাসন কেমন বল না
তাই।
গুণীর কদর জ্ঞানের ডেরায় মলিন কভু হতেই নয়,
ধন ধান্যে পুষ্পে সে রয়
উচ্চ শিরে অতি-
শয়।


প্রিয় কবি মোনায়েম সাহিত্য মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "কথা অমৃত-১৯৮", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
জীবন তো একদিন.........


কি হবে বৈভব আর বিত্তে মেতে!
কি হবে ধন সে গরিমাতে
জীবন তো
একদিন.........।
একদিন সে কালেরো স্রোতে
মিলে যাবে মোহনায়।
সেদিন কি ডাক দেবে কেউ
দু'ফোঁটা অশ্রু নিরবে ঝরাতে
বেদনার দেশে ভেসে
আপন ভেবে এই
দরিয়ায়।
কি হবে বৈভব আর বিত্তে মেতে
কি হবে ধন সে গরিমাতে
জীবন তো
একদিন.........।


প্রিয় কবি এম ওয়াসিক আলি মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "জীবনের রহস্য", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“মহাকাল”


অনন্ত অন্তরে ঘুমন্ত প্রান্তরে মহামায়া মহাকাল,
জীবনের সাগরেতে ডুবন্ত নিদ্রাতে
অনন্ত বহে কাল।
কানামাছি ভো ভো যাকে পাবি তাকে ছোঁ
কানা মাঝি করে খেলা
আর ছল ছলকে তো!
ঝলকেতে বারিজল অশ্রুতে হলাহল দিগন্তে বহে দিশা,
আর প্রাণ পারাবারে ভবনদী এইপারে
জলন্ত তমানিশা।
প্রাণ বহি বেদনাতে রাশি রাশি কামনাতে সদা শঙ্কিত,
ওই পারে ভবনদী জানি নাই, জানি নাই
জানি নাই, চমকিত!
বেদনার ঢুলি ধরি পারাবার বেয়ে চলি আশ যতটুকু শ্বাস,
আজ বেলা সায়াহ্নে আর ভবে দিশা পাই
যতটুকু নিঃশ্বাস।


প্রিয় কবি রঙ্গন গিরি মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "বসন্ত ফাগুনে!", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“নানার ঘরের হোলি”


নানার ঘরে চলছে হোলি
নানির সে'কি রঙ্গ রে ভাই,
নানার শালার সেই কি ঢল
নানির সঙ্গে বাঁধছড়া
টাই।
নানা তো ভাই ক্ষেপে ব্যোম
না'রে ভাই বাঠাম না!
নানার চোনা পিচকারিতে
নানির শালার ভাষান
গা।
না'রে ভাই হাসসি নারে,
নানা তো ভাই খুব খুশি,
না'রে ভাই ভাগে নাই
নানায় মারে সে এক
ঘুশি।
না'রে ভাই নাক ফাঁটেনি
নানা তো ভাই স্নেন্সলেস,
না'রে ভাই ভয় পায় নাই
নানির সাথে হতেই
প্লেস।


প্রিয় কবি শ ম শহীদ মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "ভূঁতের ভয়", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।
“সঙ্গী”


ভূতের পুতের গল্প শুনে
হার কাঁপানি উঠল ঝড়,
কেনমতর ভূত খানি ভাই
রঘুর ভয়েই পগার
পার।
পার হয়নি ভীষণ চালাক
ভানখানি সে দেখিয়েছিল,
আমরা গাছের দামড়া ডাল
রঘুর মাথায় ফেলে
দিল,
ওমা বলে যেই না রঘু
বাপ বাপ দৌড় দৌড়েছিল
ব্যাটাচ্ছলে বেদম পাজি
ফটাস করে ল্যাং
দিল।
মটকে ঘার ফটাস করে
জানটা যেই বেড় হলো,
জড়িয়ে গলা রঘু ভুতের
সেই থেকে সে বন্ধু
হলো।
আসলে কি সেই ভূতটি
বড্ড ভীষণ একা ছিল,
ভাল্লাগে কি একা একা
তাই রঘুকে সঙ্গী
নিল।


প্রিয় কবি সোমেন রায় মহাশয়ের সেদিন প্রকাশিত "সুতনয়ার চিঠি ও আমার প্রলাপ", কবিতার উত্তরে শুরু হয়েছিল পথচলা। পৃধিবীর সবচেয়ে দীর্ঘ আধুনিক কবিতা লেখার পালা। প্রতিদিন এতখানি করেই লেখা হবে। ১০০০ লাইনের আগে কবিতা শেষ হবে না।
(আজকের পর্বটি প্রিয় কবি মনোজ ভৌমিক(দুর্নিবার কবি) মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "অ-মঙ্গল দহন", কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা)
“সুতনয়া”


সুতনয়া, আমি দেখতে পাচ্ছি, আমি দেখতে পাচ্ছি,
তোমার চোখে আগুনের ঝিলিক,
শক্ত হয়েছে তোমার চোয়াল,
নিমেষেই মিশে গেছে সে অশ্রুকণা,
সুতনয়া, এই তো সময়, এই তো সময়
সুতনয়া, সুতনয়া জাগো জাগো জাগো,
ওই তো, ওই শুনতে পাচ্ছি তোমার হৃদয়ের
মর্মর তান, সুতনয়া, আজ হেসে উঠতে চলেছে
ধরা, সমগ্র ব্যথিত নারীজাতি,
আজ তোমার বন্দনায় অপেক্ষারত,
এক একটি অগ্নিস্ফুলিঙ্গ রুধির ধারায়
লোহিত বরণে মিলতে তোমার ধারায়,
সুতনয়া, আর দেরী নয়, আর দেরী নয়,
রুদ্র ধর তাল, প্রলয় নাচনে
কম্পিত প্রায় কর মেদিনী,
আকাশ বাতাস মুখরিত করো হুঙ্কারে,
সিংঘ বাহিনী মহিষাসুর মর্দিনী
রুপে সংহার করো এ সমাজের যত জীর্ণতা,
সুজন মাঝিদের গড়া সোনার লঙ্কা,
ছারখার করে দিতে ভূমি,
কালবৈশাখীর তুফান ভৈরবে
সাক্ষাৎ মূর্ত যমের বাণী,
সুতনয়া, তোমার চোখে আগুনের ফুলকি,
যেন ঝরে ঝরে পরে তপ্ত গলিত লাভা,
সুতনয়া, ওই বাজে ঊলুধ্বনি,
শঙ্খনিনাদে কম্পিত মেদিনী,
আজ সেই মহেন্দ্রক্ষণ,
সুতনয়া, আর অপেক্ষাতে রইলাম
হৃদয়, অপেক্ষাতা রইলাম সেই ক্ষণ,
সেই ক্ষণ, সেই ক্ষণ,
সেই ক্ষণ, সুতনয়া।