দুপ্রহর ১২/৩৫ মিঃ ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে পুনঃ রচিত হলো রবিঠাকুরের গীতাঞ্জলি কাব্য মালঞ্চের ২০ তম কবিতাটি
"যেদিন ফুটলো কমল কিছুই জানি নাই"।


রবিঠাকুরের লেখা কাব্যটি এইরূপঃ-


যেদিন ফুটল কমল কিছুই জানি নাই
আমি ছিলেম অন্যমনে।
আমার সাজিয়ে সাজি তারে আনি নাই
সে যে রইল সংগোপনে।


মাঝে মাঝে হিয়া আকুলপ্রায়,
স্বপন দেখে চমকে উঠে যায়,
মন্দ মধুর গন্ধ আসে হায়
কোথায় দখিন-সমীরণে।


ওগো সেই সুগন্ধে ফিরায় উদাসিয়া
আমায় দেশে দেশান্তে।
যেন সন্ধানে তার উঠে নিশ্বাসিয়া
ভুবন নবীন বসন্তে।


কে জানিত দূরে তো নেই সে,
আমারি গো আমারি সেই যে,
এ মাধুরী ফুটেছে হায় রে
আমার হৃদয়-উপবনে।


আর আমার লেখাটি এইরূপঃ-"যেদিন ফুটলো কমল কিছুই জানি নাই"।


যেদিন ফুটল কমল কিছুই জানি নাই
অবুঝ প্রাণেতে পুস্পিত কাননেতে
কলতান বহে তাই।
শুধাই সে আঁখিতারা কেমনে পশিল
হৃদয়ের আঙ্গিনাতে,
যেমনে শুভ্র, জোয়ার আসিতে
প্রভাত ঊষাতে
মেতে।


মৌতাতে রব, ঘ্রাণ সে প্রবল
জীবনেতে অতিশয়,
কোন সে আধার
পশিল হৃদয়েতে, কহিলাম
মহাশয়।


যেদিন ফুটলো কমল কিছুই জানি নাই,
প্রেমের সে কলি নিরবে ফুটিল,
হৃদয়ের আঙ্গিনায়।
প্রফুল্ল ধরা বিকশিত কলি বসন্ত বিহারেতে,
ভুবন মোহিনী রূপ সে কান্তি
তাহারে ভালোবেসে।


স্বয়নে স্বপনে দিবানিশি তারে
সাধিতে সে আরাধন,
বহিতে নির্ঝর বায়ু সে প্রবল,
বাসন্তি লগন।


যেদিন ফুটল কমল কিছুই জানি নাই
অবুঝ প্রাণেতে পুস্পিত কাননেতে
কলতান বহে তাই।


আমার লেখাটির আমার করা ইংরাজি অনুবাদঃ-
“I knew it not the day when the lotus bloomed”


The day when the lotus bloomed and
My mind deviated,
Alas! I knew it not.
I was feeling very happy that day.
I asked myself how the person
Enter into my heart,
To make it delight with
Light of the rising sun.
Realized the great sweetness
Extremely high in life,
I got amazed to think how the person!
With such glory!
I knew it not, the day the lotus of love bloomed
Silently In the courtyard of my heart.
I was extremely glad to fly with her,
She was the wonderful creatures of
The earth.
And she got became my
Dream girl.
The day when the lotus bloomed and
My mind deviated,
i knew it not.


প্রিয় কবি লক্ষ্ণণ ভান্ডারী মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "সাঁজের প্রদীপ জ্বলে" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


মিলন মহামেলা


ওরে ওরে মাদল বাজা পরাণ আজি গগন তলে,
উত্তরে বাস ফুরফুরে বয়,
আজিকে লহর তুফান
তোলে।
প্রজাপতি প্রাণ উড়তে চলে মেঘের কিনারায়,
বাদল বায়ু তান ধরেছে
আকাশ আঙ্গিনায়।
বুলবুল আজ শিষ মেতেছে রব সে মধুর ধ্বনি,
কল কাকুলি প্রাণ ভুলেছে
হৃদ মনেতে শুনি।
আয়না সখী ভাসিয়ে ভেলা আকাশ ধরি খেলা,
আলোকেরই জোয়ার গাঙ-এ
মিলন মহামেলা।
ওরে ওরে মাদল বাজা পরাণ আজি গগন তলে,
উত্তরে বাস ফুরফুরে বয়,
আজিকে লহর তুফান
তোলে।
মন মিতালী শোন সহেলী আজ পহেলী ধরতে মানা,
হৃদ খুলে আয় আকাশ ভেলায়-
আয়না সখী আয়না
সোনা।
বায় দখিনা বাতাস ওরে পরাণ মিলে আয়না সখী,
মাদল বাজে আজ প্রাণেতে-
আয়রে সোনা
প্রাণোপাখি।
ওরে ওরে মাদল বাজা পরাণ আজি গগন তলে,
উত্তরে বাস ফুরফুরে বয়,
আজিকে লহর তুফান
তোলে।


প্রিয় কবি মোঃ সানাউল্লাহ (আদৃত কবি) মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "কি মধুর বাণী" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


“পিরিতি”


ওষ্ঠ তব মধুর বাণী জ্যোছনা আলোক দিশা,
রিনিঝিনি বাজতে পরাণ,
দূর সে তমানিশা।
ও সখী গো বাসতে ভাল, আকাশ কলরব,
ও সখী লো মিলতে পরাণ
আজকে অনুরাগ।
ওষ্ঠে তোর ওই বীণের সুরে
হারিয়ে গেছে হৃদয় মোর,
ও সখী লো ভালোবাসি
দে না প্রানে ঊষার
দোর।
দ্বীপ জ্বালা রে তোর ওই শিখায়
শিখায় দে না প্রেম পিরিতি,
তোর দিশাতেই দিন বয়ে যাই
জ্বালতে আমার হৃদয়
বাতি।


প্রিয় কবি শ ম শহীদ মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "হারুদার কান্ডকারখানা-৫" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


“ব্রীজ”


হারুদাদা দারু খেয়ে গল্পেতে মজেন,
বলেন তিনি দুই ঠিকাদার
ইংরেজ আর
গজেন।
ইংরেজ ভাই তার সে দেশে ডাকেন গজেনরে,
তলব পেয়ে গজেন ভায়া
হোথায় গেল
উড়ে।
দেশ দুনিয়া দেখল অনেক কাজের বাহার ভাব,
কয়'শ কোটির কাজ করে সে
দু-এক কোটি
লাভ।
গজেন ভায়া করেন মায়া এই কি কাজের ঘটা,
ভাবতে গজেন কামাই কেমন
দেখতে পাবি
বেটা।
গজেন ডাকেন ইংরেজেরে এই দেশেতে আইতে,
আইলে তিনি নিলেন তারে
ব্রীজ খানি দেখাইতে।
ব্রীজ সে কোথা কল কল জল বইছে নদীখানি,
ইংরেজ ভাই চোখ কপালে
কই গো হেথায়
ব্রীজ খানি।
চটকে সে গোঁফ গজেন বলেন ব্রীজ তো হেথা গড়ে দিছি,
সাহের খেলেন দশ পারসেন্ট
বাকি সবি বাড়ি
নিছি।


প্রিয় কবি রঞ্জন গিরি মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "তবলা! ত-বর্গ (ব্যাঞ্জন বর্ণ) কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


“তাথা থই থই”


তাথা থই তাতা থই
তাও বেশ নাচ ভাল,
তালতলা বেলতলা
তাক ধুম টাক ভাল।
তারি মাঝে আঁকে রেখা
তাড়াতাড়ি দেখে নাও,
তারি ধারে চারিধারে-
তারি চুল গুন গাও।
তাই বলে তাই তাই
তালি কভু দিও নাকো,
তাল তাল জবাবেতে
তাল তুমি পাবে নাকো।
তাই বলি তাল তুলি
তাল তারে দিও নাকো,
তার থেকে দশ হাত
তক্ষুনি দূর হটো।