গীতিকাব্য খেয়াল দিয়ে পথ চলা শুরু সিরিজ "খেয়াল" 100 তার লক্ষ্য।


খেয়াল


অশান্ত জীবনেতে শান্তির কামনাতে ধৈর্যের কিনারায়
অশান্ত হিল্লোল বায়ু বহে হলাহল,
তারি মাঝে বয়ে চলে বয়ে চলে
সারি মেঘে উড়ে চলে
খোয়াবেতে-খেয়াল।
খেয়ালেতে নেই বাঁধা শান্তির মেঘ সাদা মধুমেয় জ্যোছনায়-
দোষ নাই দোষ নাই দোষ নাই।
খেয়ালেতে বহে মন দিবানিশি আলোরন
প্রভাতেরি কামনায়।
দোষ নাই দোষ নাই দোষ নাই।
দোষ নাই দোষ নাই দোষ নাই।
আলোকিত রোশনাই। ঝলমলে রোশনাই।
দোষ নাই দোষ নাই দোষ নাই।
শত ব্যথা ধরে হৃদ অশ্রুতে ভরা দিক
কান্না সে রাশি রাশি।
তবু মন খেয়ালেতে যেন ধরা মনোহরা
ভালোবাসি।ভালোবাসি।
প্রজাপতি ডানা মিলে অন্তর দিশা নীলে
মানবতা গাহি গান-
আর কিছু নাহি চাহি আর কিছু নাহি চাহি
ভালোবাসা করো দান।
অশান্ত জীবনেতে শান্তির কামনাতে ধৈর্যের কিনারায়,
অশান্ত হিল্লোল বায়ু বহে হলাহল,
তারি মাঝে বয়ে চলে বয়ে চলে
সারি মেঘে উড়ে চলে
খোয়াবেতে খেয়াল।


প্রিয় কবি অনীক মজুমদার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "শত সহস্র প্রণাম কবি তোমায়" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


কাঁদছি


কাঁদছি আমি শুধুই কাঁদি তোমরা দিলে মান,
অশ্রু অনেক ঝরে বুকে-তোমায়
সেলাম।
না জানি কি ইচ্ছে রবের বানায় মোরে কবি,
লিখন আমার সেই লিখে দেয়
তার আশীষেই
রবি।
জ্বালতে প্রাণে জ্যোছনা আলোক তিনিই যে দেন ধরা,
স্নিগ্ধ আলোক বান ভেসে যায়-
দারুন মনোহরা।
চিনতে আমি ভাবের দেশে পাই না খুজে কূল,
কান্না অনেক ঝরতে আঁখি-ভাসতে
তারি কূল।
কর জোড়েতে সেলাম জানাই-কান্না অঝোর ধারা,
চাই যে আমি দেখতে শান-
হিংসা রহিত
ধরা।
সেই দিশাতে লিখতে চলি তোমরা সুহৃদ সখা,
কাঁদছি প্রাণ কাঁদতে প্রাণ-
দেখতে তোমার
লেখা।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র সরকার মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "অধিক শিক্ষা-(ব্যঙ্গ)" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


মতি হারা


আজ মতি হারা যুব বেদনাতে কাঁদে প্রাণ,
কলি সব ঝরে গেছে-
দিকে দিকে দেখি
ম্লান।
দহনেতে জ্বলনেতে দশ দিশা দাবনল,
রুদ্ধ সে গতিধারা অস্থির
গনগন।
প্রশান্তি দিকে নাই মর্ম সে মৃতপ্রায়,
ভুল দিশা কাল লয়ে-রাজসিক
অতিকায়।  
এসো যুব সম্পদ ধরো গান তাল লয়ে,
বিকেকটা জাগ্রত-করো সবে
অন্তরে।
পুকারিছে দেশমাতা অন্তর ধর জ্ঞান,
টানটান শিরদাঁড়া লহু তেজ
কর পণ।
দেশ জাতি ডুবে মরে-সাথি-কান্ডারি ধর হাত,
কোকিলের কুহুতাণে মানবেরি জয়োগানে
ঝরজল অবসানে আনিতে
প্রভাত।


আলোচনা বিভাগে ড. শাহানারা মশিউর মহাশয়ার আজ প্রকাশিত "অবাধ্য অশ্রু এবং একটি কবিতা" লেখার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


একান্নবর্তী পরিবার


একান্নবর্তী পরিবার-
আমরা নিমগ্ন হই এখানে বিভিন্ন অনুভুতি আর
তার প্রকাশ করতে পারি
আপন খেয়ালে।
কখনো হাসি কখনো বা দুচোখ ভেসে যায়
সে অনুভূতি প্রকাশে।
আনন্দে উদ্বেল হই আবার বিষাদিত হৃদয়
মোহাচ্ছন্ন হয়ে পরি।
এক হার্দিক অনুভূতির পরশ পাই হেথায়,
যা আজ দুনিয়ায়
লুপ্তপ্রায়।
কতই না স্নিগ্ধ সে পরশ।
সে শান্তির পরশ দুনির্বার আকর্ষণে
বেঁধে রাখে সবাকার
হৃদয়।
জীবন হয়ে ওঠে স্রোতস্বীনি।
সে প্রবাহ ধারায় যে কনকরাজি হাজার হাজার,
হিরক খচিত ঢেউ এর শৃঙ্খল।
সে মোহময় আবেশ জড়া পল সাগর তরঙ্গের মতোই-
রাত কিবা দিন কূলে
আছড়ে পরতে
থাকে।
জয় হোক এই আসরের।
জয় হোক কবিতার।


প্রিয় কবি শ.ম. শহীদ মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "কৃষক" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


খোল-করতাল


দে না দে দ্যান ধ্যানাদ্যান
কাব্যগাথায় হয়না বুল,
হাড্ডি ভেঙ্গে ছাল ছাড়াতে
বুলি তুই ফুটা
হুল।
হুলুস্থুলুস করনা বে
ছাড়িয়ে দিতেই ওদের ছাল,
বাজিয়ে দিতেই ওদের ঘর-,
শিঙ্গা আর খোল-
করতাল।
ফসল ফলাই আমরা যদি
লাঙ্গল দিয়ে হারে,
পাইসাগুলি গুনতে ওরে-
চোর আর বাটপারে!
ঠিক কইছি না
কত্তা।