"একটা পাখি বসে আছে গাছের কিনারায়", এই লাইনটি দিয়ে শুরু করেছিলাম। বিভিন্ন কবিগণ বিভিন্ন ভাব বিন্যাসে অপূর্ব সব লেখা লিখেছেন। সে লেখাগুলি কবিতার ক্লাস ১ম তে মন্তব্যের ঘরে আছে। আপনারা দেখে নিতে পারেন। তাদের লেখাতে আমিও কিছু না কিছু লিখেছি।


কবিতার ২য় ক্লাসে আমি মন কিভাবে সমানুপাতিক করতে হয় তা নিয়ে কিছুটা চর্চা করেছি। এবার আবার ফিরে যাব কবিতা লেখায়।


কবিতার ২য় ক্লাসে মন্তব্য করতে গিয়ে আমি লিখেছিলাম, "উড়ছে আকাশ মন সুদূরে" মানে মন সুদূর আকাশে উড়ছে। আজ তাহলে এটা দিয়েই শুরু করা যাক। আমার মনে হয় মন তখনই সুদূর আকাশে উড়ে যায় যখন মনে খুব আনন্দ হয়। প্রেমেও হতে পারে আবার কবি কৌশলে তা দিয়েই দুঃখের বেদনার কবিতা লিখে দিতে পারেন। আমি সবচেয়ে কঠিন বিষয়টাই নেব। দুঃখের কবিতা লিখতে চেষ্টা করব এ লাইন দিয়ে শুরু করে।


উড়ছে আকাশ মন সুদূরে সাগর পানে চাই,
জন্মে ধরায় জীবন তারায়-
সুখের দিশা
নাই।
ও'রে সুখের দিশা নাই।
ঈশান কোণে মেঘ জমেছে জলধ বারি ঘন,
অশ্রু নয়ন আর ভেসে যায়
এমন জীবন
কেন?


এটুকু লিখতে গিয়ে একটা ভাবের জগতে ডুবে গিয়েছিলাম। হ্যা, যেটা আমি বলতে চাইছি সেটা হ'ল কনসেনট্রেশান। ডুবে যেতে হবে ভাবের জগতে, মনকে একত্রিত করতে হবে। আর দুনিয়া পিছে পরে রইবে লেখবার সময়।


আমার সাথে অনেক সময়ই এমন হয় যখন আমি একটি কবিতা লিখতে থাকি তখন কেউ হটাৎ এসে গেলে বা আমায় ডাকলে চমকে উঠি। আমার বাচ্চারা ধমক খেতে খেতে শিখে গেছে। আমি লিখতে থাকলে চুপ করে এসে বসে থাকে। লেখা থেকে বার হলেই কথা হয়।


কেন বলছি। বলছি একারণেই আপনাকেও এমন কনসেনট্রেশান শিখতে হবে। অর্জুন শুধু মাছের চোখটাই দেখতে পেয়েছিল, মাছটি তার দৃষ্টির বাইরে ছিল। আমার নিজস্ব একটা তত্ন আছে, সেটাকে আমি এলিমিনেশান তত্ব বলি, যা আমাকে মন কনসেনট্রেশানে সাহায্য করে। আগামী ক্লাসে সে তত্ব নিয়ে আলোচনা করব।


আপতত আপনারা কয়েক লাইন লিখুন প্রথম লাইনের প্রথম অংশটি নিয়ে "উড়ছে আকাশ মন সুদূরে"। আপনাদের লেখার মন্তব্যের উত্তরে আমি আমার কবিতাটি এগিয়ে নিতে চলব।


আন্তরিক শুভকামনা সহ আপনাদের প্রিয় সঞ্জয় কর্মকার।