(গত আরাই বছরে পাঁচ হাজারের ওপরে কবিতা লিখলেও সরকারি হিসাবে আজকে আমার ৯০০ তম লেখা আর তাই এ দিনটাতে আজ লেখা সব কবিতাই প্রকাশ দিলাম স্মরণীয় করে রাখতে)


“কলি”
(ফুল এ কবিতায় মানবতাকে বলা হয়েছে)


ভ্রান্ত দিশায় ক্লান্ত পথের; বাঁকের ধারে জুঁই
হাসনেহেনা শিউলি বকুল কোঁচর
মেপে থুই।
তারপরেতে, যেই না গেছি পদ্ম কলির খোঁজে
অন্ধ কানাই কুচলে দিল; সে ফুল
চোখ বুঁজে।
ফুলের সে বাস ধাইলো আকাশ; ধ্বজা তুলে গাঁয়
এ গ্রাম হতে ও গ্রামেতে, হাঁটলো সে
পায় পায়।
দুস্থ সে ফুল মন্দিরেতে কেউ নিল না তুলে
যে ফুল সুবাস হারিয়েছিল তার সে
পদতলে।
আকাশ বাতাস রিক্ত আজি মানবতার বলি
স্নিগ্ধ সে ফুল মানব হৃদয়; শূন্য
আজি খালি।
তাই কালিতে লেপতে সেথায় সাদায় কালোয় চলি
দুস্থ গাঁ'য়ের এ পথ ও পথ গাইতে
চলি কলি।


শিশুতোষ লেখা, “হাঁদা”


হাপুস নয়ন অঝর ঝোরা
ছাতিম গাছের পো
বজ্র আঁটুন ফস্কা গেড়ো
মারলো বাজেই ছোঁ।


মৌবনেতে ছই নাঁচেতে
হুলোয় ডাকে মিউ
ব্যাঙের ছাতার তলে দু তাল
কুকুর ডাকে ভেউ।


ভুলভুলিতে বুলবুলিতে
যেই না গেছে খেতে
চাকুম চুকুম ছিলছিলানী
মার খেলো খুব বেতে।


বেতের বাড়ি সহ্য কী আর
হয় কী বলো দাদা
চুপটি করে ঘরেই থাকো
যেমুন থাকে হাঁদা।


রম্য রচনা, “শীতল পাটি”


বুলবুলি, কিছু শিখলি?
তাইলে ত্বরা ছিকল দে রে
আসছে তেড়ে! ভাঙতে তোর ওই নেশার ঘোর;
এখন বুঝি কাঁদিস কেনে, বন্ধ কেনে প্রিয়ার
ডোর।
শিস তো বাজাস নেশার ঘোরে
প্রিয়ার তাতে গেলই বয়ে
তার চেয়ে বরং, ভরং ছেড়ে; শুনবি না!
আসছে দিদি ডান্ডা
লয়ে।
থাকতে সময় শুধরে যা রে; মাফ চা গে পা'টি ধরে
শীতল পাটির পাট বিছানা;
বলছি ওরে পাবি
ফিরে।


লিমেরিক, “গড্ডালিকা”


হেই কাহিনী সবায় জানে মানতে কে বা পারে
কাঁনতে থাকে সময় গেলে কালেই জুদি ধরে।
জ্যান্ত ঘাটের পানায় ভরা
দিন দুনিয়া অবাক করা,
থাকতে সময় গড্ডালিকায় গা ভাসিয়ে মরে।


বিদ্রোহী লেখা, “পুকুর চুরি”


না ধরে কী থাকতে পারি
দুখের দরিয়ায়;
দিন দুপুরে হচ্ছে যেথায়
পুকুর চুরি ভায়।


বয়স কী তায় এসেই গেলো
এমন জুদি ভাব;
মারতে কুঠার শান দিয়ে তা
ভাঙবো মাথায় ডাব।


ডানকুনিতে থানকুনিতে
আছেই সবাই জেগে;
বাল্যে বিহা রুখতে মোরা
যা বর যা শো গে।


স্বপ্ন দেখেই কাটায় দে রে
দু তিন বছর আর;
আসলি জুদি নিতেই শিশু
আর পাবিনে পাড়!