(বিঃ দ্রঃ এটা একটা কাল্পনিক চরিত্র ও ঘটনা। দৈবাত কারও সাথে মিলে গেলে লেখকের কোনও দায়বদ্ধতা নেই)


পেট ভারী নাক মোটা গদাধর দেহ
কাঁড়ি কাঁড়ি খায় মাল যদি দেয় কেহ।
রকমারি সাজ তার মাঝে মাঝে চমকায়
কাটমানি পকেটেতে যখনই ঝমকায়।
মাংসের দোকানী কপাকপ মারে কোপ
কেজি দুই দিতে হবে দেরি হলে হবে দোষ।
মারুতির ড্রাইভার রেডি হয় তড়িঘড়ি
ভালো করে গাড়ি ধোয় বাবু যাবে খড়িবাড়ি।


সুটে বুটে বাবুসাব বাড়ি থেকে বেড় হলে
ম্যাডামেতে ছুটে এসে দিয়ে যায় বড় থলে।
এক নয় দুই নয় জনা নয় ছ্যানাপোনা
তিন বেলা দিতে হবে পেট ভরে চারাপোনা।


রোজগার ভাল হলে বাবু যান সারদাতে
নাঁচগান ভারী মজা টাকা ছোড়ে দুই হাতে।
বেলা শেষে ফেরা পথে ঢুকে কোন দোকানেতে
হুন্ডায় কিনে সব ছুটি দেয় দোকানীকে।
বাড়ি ফিরে গিন্নিকে থলে ভরা মাল দেয়
কাঁড়ি কাঁড়ি মোমো চাউ এছাড়াও ফাউ দেয়।


বেতনের দম নহে ঠকানির কালো ধন
ঘুষ নয় কাজে করি-বুক ঠুকে তিনি কন।


ফ্রিজ আর এল সি ডি মাগ্নাতে কিনে ফেলে
চার মাস টাকা দিয়ে বাকি টাকা গিলে ফেলে।
দোকানীর চাপাচাপি সয়ে নেয় হাসি মুখে
পাওনার শেষ নাই-তবু খাবে দুধেভাতে।
দম নাই দালানের তবু তার ভারী শখ
ব্যাঙ্কের লোন চাই-এটা তার জেনো হক।


শেষমেশ লোন নিয়ে কিনলো দালান
চার মাসের অঙ্কটা-হেথা হলো বেসামাল।
নোটিশের শেষ নাই গেটে তার পোষ্টার
আঁকাবাঁকা ভুরু আজ রাগমাখা পোজ তার।
এভাবেই দিন কাটে মান যায় পথে ঘাটে
দিন তার শেষ আজি নাই আর লাটেবাটে।