“কথাকলি”


বহিয়া বহিয়া কাল; বিরহের বীণে
মালতি তোমার ই স্বপনে গোপনে; রোদনে রোদনে,
ভাসিতেছি জলে অথই সাগরে,
কূল নাহি দেয় দেখা; তোমারি বিহনে
বারিধারা সনে কপোলের
কতকথা।


চঞ্চল মন করে আরাধন নিত্য জ্বালাই ধূপ
যুগে যুগে কাল বহিছে গরল;
তুমি নাই তাই
অপরূপ।
সিক্ত নীহারে দারুন প্রহারে বইতেছি প্রাণ তরী
রাতের আঁধারে কেঁদে কেঁদে প্রেম;
তোমারি রাহেতে
নীহারি।
বকুল তমালে, নিধুবনে নাই; সুবাস অলির সাঁজ
সজ্জাতে নাই শরম পরম;
তোমার বিহনে
আজ।
যতদিন প্রেম অমর রহিতে; তোমার ই রাহীতে চলি
প্রণয় বিনেতে প্রহারে প্রাণেতে;
গেয়ে যাব কথা
কলি।


“ক্রন্দন”


নব বসন্তে আজি নব নব ঘ্রাণে
ফল্গুর ধারা বহে প্রশান্ত মনে।
হেরিয়া ভূলোক আজি স্নিগ্ধতা সনে
মাতে অলি গুঞ্জনে গুণ গুণ
গানে।


হেনকালে হেরি পলে কাঁদিল পরাণ
হীন গতি আঁধারেতে ডুবে আসমান।
বসন্তে নাহি প্রাণ কাঁদে সবে নাদে
রিক্ততা বহে যেথা শুধু
অবসাদে।


সেই খানে ফোটে নাই আজি সে গুলাব
যেন মনে হয় শুধু; ব্যর্থ নিনাদ।
বসন্ত যেন মিছে ধরণীর কোণ
নাই সেথা কতকথা শুধুই
ক্রন্দন।


“হতচ্ছাড়া”


জীবন যেথায় যেমন বিধায়; বিধাতা দিলেন গড়ে
ক্ষতে ভরা প্রাণ যেন আসমান
বুঝিস বাছা ওরে!
শক্ত যেথায় ধারন ধরণ পোক্ত যেথায় দুখ
নিত্য বোঝার জীবন ওরে
ছাইতে চলে ভুখ;
যেই দেশের ওই মৃত্তিকা ঐ গরল দিয়ে গড়া
তার প্রেমেতেই রয় যে তারা
শোন রে হতচ্ছাড়া;
গরল বায়ের মন্থনেতেই অমৃতের ঐ প্রাণ
তাই নিত্য সেবায় তাদের
গাই যে আমি
গান।