“ক্ষমা নাই”


দমকে দমকে আসিলো দেহেতে; মৃত্যুর ধরা বাণী
করোনার দমে কাঁপিলো ভূতল চায়নার গড়া গ্লানি।
ছায়িলো ভয়াল কালোতে করাল, গ্রাসিলো মেদিনী তল
ঘৃণ্য সে পল কালিমা লেপিতে, হরিতে
মানবো বল।
বলিয়ান দেশ জ্ঞানের গরিমা;  নত হলো শির খানি
কাঁপিলো ভূ-লোক দোদ্যুল দোলেতে মৃত্যুর ধরা বাণী।
দেশ হতে দেশ ঘাত প্রতিঘাত; রুধিলো ক্ষণিক পল
ক্ষীণ সে প্রহার প্রতিরোধ তাহে; কাটিলো সে
সুর তাল।
তন্দ্রা হরনী বিভীষিকা সম লহমাতে জাল ফেলে
ঝটিকা সফরে অণু সে কণা তে; কদম কদম চলে।
বহ্নি শিখাতে ভীষণ রূপে তে, রুধিলো ধরার গতি
রুদ্ধ দ্বারেতে গতি হীনতায়; লক্ষ
নিযুত ক্ষতি।
কলির কালিতে রচিতে সে গীত চায়নার অবদান
কুরূপ যেখানে কদাকার রূপে চর্চাতে বিজ্ঞান।
ধিক , শত ধিক তোহে শাপেতে জড়ানু আজি
ধ্বংস প্রলয়ে গণিতে সে পল; ক্ষমা নাই
শোন ক্ষমা নাই তোর
কারসাজি।


“দিব্য বিধান”


হে মহামান্য পরম কৃপাময় শুন হে প্রার্থনা
কাঁদিতেছি মোরা দুখে;
দিব্য তোমার ই ঘাতক প্রহারে
কোনখানে কেউ নাই
সুখে।


দুষ্টের লয় বিধান তোমার ই সুষ্ঠুর কিবা দোষ কহো
তাহাদের তরে তনু কি তোমার; নাই কি
খানিক স্নেহ।
স্নেহের সে পল কতদূর আর, কত পথ আর বাকি  
হাঁকিছে মেদিনী দুয়ারে তোমার ই; শুন হে
পরম সাকি।
দিব্য বিধানে ঝরাও গগনে করুণা তোমার ই চাই
কাঁদিতেছি রব বদ্ধ দুয়ারে; পালাবার
পথ নাই।