রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার মাধো কবিতাটি যেখানে শেষ করেছিলেন তার পর থেকে আমার মাধো শুরু। আমার এ লেখাটি পাঠ করবার পূর্বে তাই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা মাধো কবিতাটি পাঠ করে নেবার অনুরোধ রইল। রবিঠাকুরের মাধো কবিতার লিঙ্ক https://www.bangla-kobita.com/rabindranath/madu/


কাজ ছেড়ে পথ গাঁয়ের পথে মাধো চলে আগে
তার পিছনে জায়া তার ওই; গর্ব স্বামীর ত্যাগে।
পা হাঁটা পথ দূর পাড়া গাঁ, শ ক্রোষ দূরের পথ
ক্লান্তি সয়ে পৌঁছে সেথায়; মাধোর মনোরথ।
পোঁছে সেথায় কোথায় সে হায়! কোথায় সাবেকদিঘি
চৌদিকে সার দালান কোঠা দেখলো হারা-নিধি।
পালটে গেছে উলট পালট নাই কো বাটি তার
তার স্থলে এক মস্ত দালান; দ্বারী সে প্রবেশ দ্বার।
দুলাল নাকি! তার ওই সুরত জিজ্ঞাসিল মাধো
রায়বাহাদুর দুলাল তনয় তুমিই নাকি হ্যা গো?
দুচোখ হারায় দুলাল আজি মাধোয় বলে ভাই
রায়বাহাদুর তাহার বাপে আজ দুনিয়ায় নাই।
ধন আর বিষয় সব ওই গেছে, জুয়াচুরির জালে
সব ওই হারায় গরিব আজি ইঙ্গ তার ওই চালে।
শেষ বেলাতে ডিউটি শেষে মাধোয় সাথে লয়ে
চললো সে তার বস্তি পানে শন সে কুটির ছায়ে।
মাধো এবং দুলাল জায়া এক ওই আঙিনায়
রয় সে কুটির ছোট্ট বসত বস্তি সেথায় হায়।
দু-চার দিনেই মাধো মাধো সবাই তার ওই পিছে
মাধোই হলো নয়ন মণি নেতাই মানে শেষে।
ভোট এলে দল মাধোই নেতা জিতলো মাধো ভোটে
মাধো মাধো ধ্বনির সে তাল সবার মুখে ফোটে।
জননেতা মাধো তাহার স্বভাব গুণেই সবে
বস্তি গড়ি স্বর্গ যেমন;  নাই কো দুটি ভবে।
এমনি করেই বছর গড়ায় দশটি বছর পর
মাধোই হলো মন্ত্রী সে দেশ গড়তে সে দেশ তার।
মাধোই আজি দেশ বিদেশে চর্চা তার ওই চলে
দুলাল তাহার স্নেহের ভ্রাতা-সে দিন সে তার চালে।