"কান্না-৩"


নানা নানি টোনাটুনি টেনে টুনে চলছিল
অভাবেতে ধুঁকলেও ভালোবাসা বোল
ছিল।
ছেলে পিলে দূর দেশে সাহেব ও মেম ছিল
দেখে নাতো বাবা মা'রে সেম সেম সেম
ছিল।
গেম তারা খেলে দিল হঠাৎ ওই আসে গাঁয়
বাবা মা'রে প্রেম দিতে বেশ তারা চম-
কায়।
নানা নানি ভাবে তারা পূত্র কী বঁধু মাতা
জরা কালে বেশ হলো আসলেই তারা
ত্রাতা।
রোশনাই জ্বলে ঘরে সপুতেতে কহে মাতা
জীর্ণ এ কুটিরেতে রবে কেন তব
মাথা।
মহলটা গড়ে দিব দুই চারি মাসেতেই
হেথা হোথা দলিলেতে করে দাও আজি
সই।
সহি দান সারা হলে বলে চলো আশ্রমে
কাল থেকে কাজ হেথা শুরু হবে জোর
দমে।
আজও নানা কেঁদে চলে এক যুগ গত প্রায়
আজও বহে যায় আঁশু নানি কবে গত
হায়।


সময় ৫/০১ এর সংযোজনঃ


আমার বন্ধু দিলীপ বিশ্বাসের লেখা
(ও বলতে থাকল আর আমি টাইপ করতে থাকলাম)


"গরিবের সংসার"


কী আর কমু, দুঃখের সংসার। এক কে জি আটা লইয়া আয়।
তুমি তো বাপ, হামাক পাঁচ ট্যাহা দিছ,
আটার দাম তো সারে পাঁচ ট্যাহা।
যা হইব তাই লইয়া আয়।  
বাপ, আটা তো লইছি, খড়ি নাই , চুলা জ্বলবো ক্যামনে!
ওই ছেরি, বেশি পেচাল পারস না, আটা গুইলা খাইয়া ফেলা।
কী জে কন না, আটা কী গুইলা খাওন যায়।
এক কাম কর , আইজ রোদ্দুরটা ভালই কড়া দিছে।
ওই যে বেলচাখান, ভালই গরম হইছে।
রুটি বেইল্যা হেইডার উপর কিছুক্ষণ রাখলেই পাইক্যা যাইব নে।
ও ছেরির মা, বেলচাত কয়খান রুটি বানাও।
ক্ষিদায় প্যাট জ্বলত্যাছে।