"রসে বসে"


নিরেন খুড়ো দশ হাজারি
বাপ রে কী সে ক্রোধ,
পান থেকে চুন খসলো যদি
খুড়োর, হুশ থাকেনা
বোধ।
দন্ত তো নাই হার জির জির
কুকড়ানো ত্বক ছাল,
একশত প্রায় বয়স হলো
খুড়ো, তাও রসনায়
লাল।
পথ্য গুলান দিন রাত্তির  
বউমা তারে দেয়,
এগুলি কী! মুখ খিঁচিয়ে;
খুড়ো, ছুড়েই ফেলে
দেয়।
সেই দিনেতে বৌমা খুড়োর
দুঃখ দরদ বোধে,
মাংস পাঁঠার আনলো কিনে
বেশ, ঝাল দিয়ে পাক
রাঁধে।
জয় গোবিন্দ, রাধে রাধে
যেই না নিছে মুখে,
উ মা'রে! বাবা ওরে!
খুড়োর, বিঁধল যে শেল
বুকে।
খুড়োর মুখ ঘা তেই ভরা
হুল ফুটানো ঝাল;
বুক ধরপর কাঁপন শুরু
খুড়োর, শরীর হলো
লাল।
খোল করতাল আসলো বাড়ি
চার পায়াতে বাঁশে,
শ্বাসটি খুড়োর রোধ হলো যে
খুড়ো, মরলো রসে
বসে।


খুড়ো, মরলো রসে
বসে।