(গতকাল আমার লেখা কবিতা ভোটের পর প্রকাশ দেবার পর সে লেখার ভূয়সী প্রশংসা করে শ্রদ্ধেয় কবি শ ম শহীদ মহাশয় লেখাটিকে একটি সত্য ঘটনার অবলম্বনে প্রকাশ দেবার স্বার্থে লেখাটির প্রথম দু-লাইন এভাবে লেখেন, "দুই হাজার চার..........................অনেক মানুষ মরে", ও একুশ আগস্ট ২০০৪ মাননীয়া শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হানার অবলম্বনে লিখতে অনুরোধ করেন ও একটি লিঙ্ক আমাকে দেন ঘটনাটি জানবার জন্যে। সেভাবেই আজ লেখাটিকে লিখলাম। পুলিশ সেদিন নিরীহ জজ মিঁয়াকে মিথ্যে অপরাধী সাজিয়ে সিআইডির নির্দেশে গ্রেপ্তার করেছিল যাকে পরবর্তীতে নিরপরাধ বলে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় আদালত। আওয়ামী লিগ কে নেত্রীত্ব বিহীন করবার জন্যই মন্ত্রী নেতারাই জঙ্গিদের সাথে হাত মিলিয়ে এই কান্ড করেছিল। সৌভাগ্য বশত তিনি বেঁচে গিয়েছিলেন সে হামলা থেকে। শ্রদ্ধেয় কবি শ ম শহীদ উদ্যোগ না নিলে এ লেখাটি কোনও দিনও লেখা হতো না। তাই এ লেখাটিকে যৌথ উদ্যোগে লেখা বলেই প্রকাশ দিলাম।)


দুই হাজার চার আগস্ট একুশ-গুলিস্থান চত্তরে
জনসভায়...ফাটলো বোমা অনেক মানুষ মরে।
সবাই বলে গৌড় নিতাই
করলো এমন কান্ডটাই,
হাজার পুলিশ লোক লস্কর, ছিপ দিয়ে মাছ ধরে।


ছিপ খেল সে রাঘব বোয়াল যায় কী তাকে তোলা!
কী আর করা? ছিপ ফেলে ঝপ -পড়লো ধরা ভোলা।
ভুল ভুলানী স্বভাব তার ঐ
তাকে দিয়েই ভাজলো খই,
নাটের গুরু রাজার রাজা, খাচ্ছে দোলায় দোলা।


এক, দুই, তিন, মাস মাহিনা-গড়ায় বছর চার
ভোলা যথা জজ মিঁয়া ভাই-এল বাহির দ্বার।
মিথ্যে সবই জানলো সবাই
এশিয়া থেকে সুদূর দুবাই,
পুলিশ তথা সিআইডি রই-হলো ভীষণ হার।


রাঘব যারা বিভীষণ ঐ-মন্ত্রী নেতা কেতা
উচ্চ থেকে উচ্চ তর-তাদের সবার মাথা।
জল ঘোলা আর ওস্তাদিতে
মাপার তাদের নাইকো ফিতে,
শক্তি আর বাহু বলেই-ঘোরায় কালের চাকা।


এক যুগ কাল পার হয়ে যায়-ধরতে তাদের টিকি
মারতে যারা গ্রেনেড বোমা-শেখ হাসিনার প্রতি।
মন্ত্রী নেতা সবাই তারা
এতই সহজ তাদের ধরা!
শেষ রায়েতে ফাঁসির দড়ি, চাই; বিচারকের মতি।