“বাবুনের হাসি ও ওঝার কেরামতি"


(মাসির রঙ্গ তামাসা দেখে ছোট্ট বাবুন হেসে ওঠে, তার হাসি আর থামছে না। এরপরের কান্ড কবিতায় শুনুন)


সেই যে হাসি থামছে না আর
ঘামছে মাসির গা,
হাসছে আর নাঁচছে বাবুন
তাইরে নাইরে না।
খাইতে হাসে গাইতে হাসে
উচ্চ সে রব হাসি
গাঁয়ের লোকে কপাল ঠুকে
দিচ্ছে কানে ঠাসি।


ঠাসি রে বাবা ঠাসি।


কী হলো যে কাঁদছে মা তার
বাধায় গন্ডগোল,
মাসির তিনি ছাল ছাড়ালেন
মুখরা কটু বোল।
তার বাপে যায় ওষুধ খানায়
বদ্যি কবিরাজ,
নানান ওষুদ খাওয়ান তিনি
হয় না কোন কাজ।
হাসছে বাবুন হাসতে রবে
ভেংচি কেটে মুখ,
আর ঘরেতে চিন্তা সবার
দুখেই ফাঁটে বুক।
সবাই বলে ভুত ধরেছে
ওঝায় ডেকে আনো,
অনেক হলো এবার তো ভাই
মোদের কথা শোন।
আসলো ওঝা ঝার ফুকেতে
সর্ষি দানায় বিঁধে,
জোরসে মারে ঝাড়ুর বাড়ি
বাবুন সোনা কাঁদে।
সেই গাঁয়েতে এখন ওঝা
নাম ডাকেতে ভারী,
অসুখ বিসুখ যাই হোক না
সবাই দৌড়ায় তার বাড়ি।