কেউ জেতে, কেউ হারে,
             জীবনেতে বারে বারে,
সাতরঙা, নাও সে তো,
              মেদিনীর দ্বারে দ্বারে।


মাছরাঙা মাছ তারি,
              জেলে তারি নৌকায়,
ঘুরে ফিরে, নদী খাতে,
               সততই শঙ্কায়।

ঢেউ, তারি  উত্তাল,
               বহে ধারা অবিরাম,
কাল, তারি প্রবাহের,
                নিয়তির পরিণাম।


কিছু আশা, বুকে তারি,
                কিছু তারি ধরা অরি
লিপি, তারি ললাটের,
                যাহা কিছু বাহাদুরি।


আসে যায়, নাহি হায়!
                 অমরতা নাহি ভবে,
কেহ নাই, কেহ নাই,
                 বাঁচে সে তো অনুভবে।


রবি তারি রোশনাই,
                 দিবারাতে ঢালে তায়
ভ্রষ্ট সে, নীড় সে তো,
                 বিষয়ের পথে ধায়!


সৎ যে বা সদাচারী,
                 আভা তারি সদা বহে
সেই ধনে ধনী জনে,
                 অমরতা রচে তাহে।


(কবিতায় জীবনকে জেলের সাথে তুলনা করা হয়েছে আর বিষয় আশয় ধন দৌলত মাছরাঙা পাখির ছোঁ মেরে ধরা মাছের সাথে তুলনা করা হয়েছে। নদী আর তার উত্তাল প্রবাহে যেন বয়ে চলে জীবন, আর তা সততই শঙ্কার সঙ্গে। কবিতায় এও বলা হয়েছে যে নিয়তিই শেষ কথা , মরণকে শাশ্বত করে তুলে ধরে বলা হয়েছে যে কালে কালে যুগে যুগে জন্ম নিলেও কেহই অমরতা পায় না এ পৃথিবীতে। কিন্তু দিবাকরের মত দিন রাত ভালো চিন্তা আর মানবহিতের কাজই পারে মানুষের অনুভবে, মানুষের অন্তরে চিরস্থায়ী্ভাবে স্থান পেতে। অমরতা এভাবেই পাওয়া যেতে পারে আর তাই কবিতাটির নামকরণ করেছি অমরতা বলেই। ধন্যবাদ আর শুভকামনা রইল)