(শিবেন খুড়ো পাহারাদারের কাজ করে রাতে ঘুমোনোর অপরাধে চাকরি খুইয়ে বৃন্দাবনে চলে যাবার পর খুড়ির গল্প। আগের পাহারাদার কবিতায় খুড়োর সে কাহিনী লেখা আছে)


এমন হলে বল তো ভায়া বেরেন কারুর কাজ করে
শিবেন খুড়ির হালৎ কী যে, কেমন করে বুঝাই ওরে!
খুড়োও নাই ছাওয়াল পাওয়াল
যেমুন গরুর আস্ত গোয়াল,
কেউ দেখে না বুড়ির পানে, খুড়ি তো ভাই ভয়েই মরে।


পাই পয়সা নাই তো ঘরে, খুড়ি ঘোরেন দ্বারে দ্বারে
ভিক্ষা করেই দিন কেটে যায়, খুড়ির ভীষণ শরম ধরে।
মান ইজ্জত সবই গেছে
যাবেন না কী লটকে গাছে,
টিকিট বিনেই টেরেন ধরে-বুড়ি চলেন হরিদ্বারে।


"ঝুটা"


ছাকনি দিয়ে ছাকতে তো চাই আস্ত গোটা গোটা
বলবো কী ভাই ছাকনিতে মোর বড় বড় ফুটা।
ফুটা কপাল মেনেই নিছি
রাত হলে খাই মালটি দিশি,
এই দুনিয়া বড় লোকের, মোদের জাহান ঝুটা।