(আজ ভাবছিলাম প্রকাশ দিতে পারবো না তবে, ফটাফট কয়েকটি লেখা হয়ে গেল তাই রক্ষা)


“শীত বুড়ি”


তাও তো ভালো শীত মরেছে ঠাণ্ডা যে নাই অতি
ভাবোই তো ভায় ভাল্লাগে কী; যাদের নাই
গতি।
আগুন জ্বেলে পথ মানেতে রাত সে ভয়াল বড়
করতে শরীল একটু গরম; শীতেই জড়-
সড়!
ছোট্ট শিশু নাই পোষাকে কাঁনছে মায়ের কোলে
মা যে তাকে আঁচল তলে! শীত পোষাকে  
দুলে!
তাই তো বলি শীত বুড়ি তুই; থাকনা দূরেই আজ
হিমেল পরশ দিস না অতি; বরফ হিমেল
রাজ।
তোমরা যারা শীতল খোঁজো, শুনই পায়ে ধরি
আর ডেকো না পরাণ মেলি; আনতে শীত
বুড়ি।


“বাবুর ঘর”


মরণ কী এতই সোজা! বড্ড বেশি ঘোরেল তা
ব্যবসা পাতি ধান্দা পানি; সব কিছু আজ
ছাতার মাথা।
গিন্নি তো আর তা বোঝে নি, সব কিছুতেই উচ্চ ভাও
তাই তো দাদা আসর ফেলে; ঘুরছি এখন
সুদূর গাঁও।
গাঁ এর লোকে সহজ সরল, ঠক ঠকানীর গল্প করি
কাজ করি না এমন নহে, ঘর বাঁচাতে
লেজুর ধরি।
নিত্য ভাও বাড়ছে আকাশ, আলু পিঁয়াজ পটল মূলো
গিন্নি ও সব ধার ধারে না, নিত্য বাজায়
ধামা কূলো।
মরতে তো চাই, মরণ কোথা; দূর হোতি দূর পালিয়ে যায়
ঘর বেঁধেছে যম রাজেতে, গরিব যারা
তাদের গাঁ'য়।
আমরা বলদ না উঁচুতে, নাই তো অনেক নীচন তাই
আচ্ছে দিনে চামড়া খুলে দিনগুলি দা
যাচ্ছেতাই।
ভাবছি এবার ডাকাত হবো; দিন দাহারে লুটবো গড়
ট্যাহাও হবে মান ও রবে, বলবে রহিস
বাবুর ঘর।


“ভুখ”
(কেউ যদি ষষ্ট শ্রেণীর বিদ্যা লয়ে শিল্পপতি হয় আর লক্ষ লোক কে কাজ দিতে পারে, তো তার পায়ে ঠেকাই মাথা। লেখাটি আসর বরেণ্য প্রিয় কবি শ ম শহীদের প্রতি উৎসর্গীকৃত)


তাও তো দাদা লক্ষ শ্রমিক
পাচ্ছে তো কাজ রোজ
করুক না সে ভাজ নীতিতেই
খাক না রাজ
ভোগ।


কী আসে যায় ষষ্ট কী বা,
গ্যাজুয়েট ই ধরো
কেউ কী পারে কাজ দিতে ভায়
বলতে কী বা
পারো।


তাই তো ক্ষোভে ফুটছি না দা
ভাবছি এমন লুক
থাকতো জুদি হাজার লাখে
মিটতো কোটির
ভুখ।


“গতি”


পালাবার পথ নাই
অগতির গতি তাই;
রুদ্ধ যে পথ সে তো
উচ্ছাসে ভুলে
যাই।