Sanjay Karmakar
badge icon
Founding Members
  · 3 mins  ·
যুগল রম্য রচনা, "শোল কদুর ঝাল ঝোল"
.
"শোভা রাণী বিশ্বাস"
.
বাজার থেকে আনল স্বামী মস্তবড়ো শোল,
কচি কদুর সাথে নাকি রাঁধতে হবে ঝোল।
মা-ঠাকুমা বলেন, জমে শোলের সাথে কদু,
তরকারিটা হয় মজাদার স্বাদ যেন তার মধু।


ব্যাগটা হাতে স্বামী আমার সবজি বাজার যায়,
বাজার ঘুরে একটা কচি কদু যদি পায়।
সারা বাজার ঘুরে ঘুরে পায়নি কদুর ক,
চিন্তা করে হায় যদুনাথ হয়ে গেলেন থ।


হতাশ হয়ে ঠায় দাঁডিয়ে ভবছিল বারবার,
কদু-শোলের ঝোলটা খাওয়া মিলল নারে আর।
প্যাঁচার মত মুখটা করে ফিরছে যখন ঘর,
আকাশসম কষ্ট বুকে ভাঙছিল মড় মড়।


আশার আলো  দেখতে পেলো একটুখানি পরে,
চোখদুটো তার পড়ল যখন একটি কাঁচের ঘরে।  
যত্ন করে সাজিয়ে রাখা গুটিকয়েক কদু,
ভাবতে থাকে আনবে কিনে, থাকবে খুশি বধু।


আস্তে করে বলল স্বামী, দাম নেবে ভাই কতো?
একটা নিতে চাইলে তুমি দাও টাকা দেড়শত।
উঠল ঘুরে মাথা, বলে থাক বাড়িতে মাছ,
কদু রেখে ফিরল কিনে বাচ্চা কদুর গাছ।
.
"সঞ্জয় কর্মকার"
.
গাছটি লাগায় বাড়ির পিছন মাচাং বেঁধে দিলো
হাল পানি দেয় রোজ সকালে গাছ হচ্ছে ফুলো।
তর তর তর উঠতে থাকে মাচাং ধরে টান
লোভ লাসসা নিয়েই যদুর উতল যে বেশ প্রাণ।
.
মাস দুয়েকেই সে গাছ উঠে মাচাং বহি চাল
ফুল এলো তায় কুসুম কুসুম হলদে চটা লাল।
দুইটা ঝোলে দুইটা চালে বেশ হয়েছে বড়ো
বৌ বলে যাও এবার বাজার শোল টি জোগার করো।
.
পুনঃ যদু বাজার চলে ব্যাগ টি দুলে দুলে
হটাত তার খেয়াল হলো নেয়নি টাকা ভুলে।
ফিরলে বাড়ি টাকার খোঁজে বউ ঝি হলো লাল
রাগের চোটে চিল চিলায়ে দু-দশ দিলো গাল।
.
ভরসা তার ফরসা হলো যদুর মতিভ্রমে
মারলো তালা খাস দুয়ারে চলল যদুর সনে।
এক হাত শোল বাজার করি ফিরল যখন থুরি
লাউ পাড়তে গিয়েই দ্যাখে সব গিয়েছে চুরি।